বিনোদন জগত শুধু পুরুষতান্ত্রিকই নয়, একনায়কতন্ত্রিকও: স্বরা
- Update Time : ০৯:৩৫:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪
- / 56
বিনোদন ডেস্ক:
একাধিক ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে ভারত। এরই মধ্যে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে দেশটির বিনোদন জগতের যত যৌন কেলেঙ্কারি। এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলিউড তারকা স্বরা ভাস্কর দাবি করলেন, তাদের বিনোদন জগত শুধু পুরুষতান্ত্রিকই নয়, একনায়কতন্ত্রিকও।
সম্পতি অভিনয়শিল্পীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে টালমাটাল দক্ষিণ ভারতের মালায়ালাম চলচ্চিত্র জগৎ। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মরত নারীদের হয়রানি, শোষণ এবং দুর্ব্যবহারের ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে হেমা প্রতিবেদন। তাতে বেরিয়ে আসছে দায়ী ব্যক্তিদের নাম। এরই মধ্যে চুপসে গেছেন নির্মাতা রঞ্জিত বালাকৃষ্ণ ও প্রযোজক ও অভিনেতা সিদ্দিকি। অ্যাসোসিয়েশন অব মালায়ালাম মুভি আর্টিস্ট থেকে পদত্যাগ করেছেন সিদ্দিকি। এবার যৌন হয়রানির প্রতিবাদে সংগঠন থেকে পদত্যাগ করলেন সভাপতি ও অভিনেতা মোহনলাল ও ১৭ জন সদস্য।
পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছেন, কমিটির কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে কয়েকজন অভিনেত্রীকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। সেই দায় স্বীকার করে কার্যনির্বাহী কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সভাপতি এবং সংগঠনের প্রত্যেক সদস্য। আশা করছি, সংগঠনটি নতুন নেতৃত্ব পাবে, যারা এসব অভিযোগের যথার্থ বিচার করবেন। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা ও সঠিক দিকনির্দেশনার জন্য ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সবাইকে ধন্যবাদ।
এদিকে ইনস্টাগ্রামে স্বরা ভাস্কর লিখেছেন, বিনোদন জগত শুধু পুরুষতান্ত্রিকই নয়, বরং এখানে একনায়কতন্ত্রও চলে। সফল অভিনেতারা মুহূর্তে ভগবান হয়ে ওঠেন। তারা যা করেন, সবই যেন ঠিক। তারা যদি অসন্তোষ তৈরি করার মতো কিছু করেন, অন্যরা সেটা এড়িয়ে যান। কেউ এসবের প্রতিবাদ করলে তাকেই সমস্যার জন্য দায়ী বলে ধরে নেওয়া হয়।’
সম্প্রতি প্রকাশিত হেমা কমিটির প্রতিবেদন দেখে ভেঙে পড়েছেন স্বরা। সে প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘কমিশনের রিপোর্টে যা এসেছে, তা দেখে আমি ভেঙে পড়েছি। খুব খারাপ লাগছে, কারণ এই রিপোর্টের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতার মিল খুঁজে পেয়েছি।’ তিনি আরও লেখেন, ‘বিনোদন জগৎ সব সময়ে পুরুষের কথামতো চলে। পুরুষের ক্ষমতায় চলে। নীতিগতভাবে কেউ সঠিক কথা বললেও কেউ কোনও গুরুত্ব দেয় না। পুরুষতন্ত্রকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া বেশ সহজ।’
কেরালা হাইকোর্টের একজন সাবেক বিচারপতির নেতৃত্বে ২০১৭ সালে গঠিত হয় রাজ্য সরকারের হেমা কমিটি। সম্প্রতি তাদের দেওয়া ২৯০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অঙ্গন ‘শক্তিশালী মাফিয়া পুরুষদের হাতে’ চলে এবং ‘নারীদের ওপর ব্যাপক যৌন হয়রানি’ চালানো হয়। এ ছাড়া চলচ্চিত্র অঙ্গনের জুনিয়র আর্টিস্টদের টয়লেট ও পোশাক বদলের কক্ষ অপ্রতুল, তাদের পর্যাপ্ত খাবার ও পানির ব্যবস্থা নেই, পারিশ্রমিক অত্যন্ত কম এবং বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও রাখা হয়নি।