৬৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি
- Update Time : ০২:১৯:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
- / 53
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। নয়টি সাধারণ, মাদ্রাসা এবং কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী। তবে, এবার দেশের ৬৫টি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কেউ পাস করতে পারেনি। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৪২টি। সেই হিসাবে এবার কেউ পাস করেনি এমন কলেজের সংখ্যা ২৩টি বেড়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হয়। সেই ফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে। ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, এ বছর ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীরা ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি পাস করেছে এবং ১৫ হাজার ৯৫৫ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে। ১১টি শিক্ষাবোর্ডে মোট ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে, মোট ৮০ হাজার ৯৩৩ জন মেয়ে ও ৬৪ হাজার ৯৭৮ জন ছেলে।
এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৩১ হাজার ৩৭৬ জন।
এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের দুই হাজার ৬৯৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন। সেখানে পাস করেছে ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন শিক্ষার্থী। গত বছর ১১টি বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৯২ হাজার ৩৬৫ জন শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সাল থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হারে মেয়েরা এগিয়ে থাকছে। ২০০৯ সালে ছেলেরা শেষবারের মতো পাসের হারে মেয়েদের চেয়ে এগিয়ে ছিল। সে বছর মোট পাসের হার ছিল ৭৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং মেয়েদের পাসের হার ছিল ৭৪ দশমিক ৫০ শতাংশ।
এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ২ হাজার ৬৯৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৬৬ হাজার ১৩ জন ও ছাত্রী ৬ লাখ ৬৫ হাজার ৪৫ জন।
২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ৩০ জুন। মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখের বেশি। সাতটি পরীক্ষা হওয়ার পর সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তখন পর্যন্ত ছয়টি বিষয়ের পরীক্ষা বাকি ছিল। এ ছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষাও বাকি।
Advertisement
কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাকি পরীক্ষা পিছিয়ে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন সরকার। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন সময়সূচিতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
যদিও বাকি পরীক্ষা আর নেওয়া সম্ভব হয়নি। গত ২০ আগস্ট সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে কিছু পরীক্ষার্থী বিক্ষোভ ও ঘেরাও করলে এবারের এইচএসসি বা সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা বিভাগ।
যেসব বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর পূর্ণ নম্বরের ভিত্তিতে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে মাঝপথে বাতিল করা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল তৈরি হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিষয় ম্যাপিং করে।