করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে
- Update Time : ০১:৫৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১
- / 363
Covid-19 virus variants সময়ের সাথে সাথে দ্রুত রূপ পরিবর্তন করছে। বাংলাদেশের মত ঘনবসতির দেশে নতুন variant দ্রুত ছড়াতে পারে। তাই Covid-19 New Treament Protocol ব্যবস্থাপনা প্রতিপালন অত্যন্ত জরুরি। এ ব্যাপারে সবাইকে আতংকিত না হয়ে সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে। টিকা নেওয়ার পাশাপাশি কঠোরভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। সামাজিক অনুষ্ঠানসহ যে কোন ধরণের জমায়েত পরিহার করতে হবে, ঈদ শপিং খুব সাবধানে করতে হবে। না করলে সবছেয়ে ভালো।
ঢাকা শহর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষজনের যাতায়াত বন্ধ করতে ফেরিঘাটগুলোতে আধাসামরিক বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হবে রবিবার থেকে বলে জানিয়েছেন প্রশাসন।
গত দুই দিন মুন্সীগঞ্জের মাওয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে হাজার-হাজার মানুষ ভিড় করেছে। এদের অনেকে ঈদ উদযাপনের জন্য গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন।
এমন পরিস্থিতি যাতে আর তৈরি না হয় সেজন্য বিজিবি মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
শুক্রবার সকাল থেকেই দেখা যায়, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। ফেরিতে ঠাসাঠাসি করে মানুষকে নদী পারাপার হতে দেখা যায়।
ঈদকে সামনে রেখে নৌরুট দিয়ে ঘরে ফিরছে মানুষ। সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও সংক্রমণের শঙ্কা নিয়ে গাদাগাদি করে ঘরে ফিরছেন যাত্রীরা,এভাবে চলাফেরা করলে হাসপাতালেও জায়গা হবে না। তাই সবাইকে বলবো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা যে যেখানেই আছেন এবার সেখানে ঈদ পালন করুন। সুস্থ থাকুন,ভালো থাকুন, বাঁচলে আবারো ঈদ করা যাবে।
দেশে করোনার সংক্রমণ মাঝে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও এখন আবার এর হার বাড়ছে- সংবাদমাধ্যমের এ খবর আমাদের উদ্বিগ্ন না করে পারে না। কারণ এত শঙ্কা, এত মৃত্যু, সব সংকট এখন সহনীয় হয়ে গেছে।
বিশেষত করোনাকালীন বিভিন্ন চিকিৎসালয়ের, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অব্যবস্থাপনা, চিকিৎসার নামে গলাকাটা নীতি মানুষকে এতই অতিষ্ঠ করেছে যে, মানুষ যেন স্বাস্থ্যমুখী হতে চায় না। মানুষের সংকটকে পুঁজি করে সারা দেশে বেসরকারি ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্যাথলজিতে চিকিৎসার নামে চলছে গলাকাটা বাণিজ্য।
এসব প্রতিষ্ঠানে সরকারি স্বাস্থ্যনীতির তোয়াক্কা না করে চলছে অবাধ বাণিজ্য। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এসব বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো অবাধে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সাহস পায় কিভাবে তা আমাদের বোধগম্য নয়।চিকিৎসা সেবার নামে দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে দীর্ঘদিন থেকে চলা এসব অনিয়মের লাগাম টানতে অবশেষে কঠোর হচ্ছে সরকার।
বেসরকারি এসব হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সেবার মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। পাশাপাশি অফিস চলাকালে সরকারি হাসপাতালের কোনো চিকিৎসক বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে থাকতে পারবেন না।
মনে রাখা জরুরি, মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প নেই। করোনাকে সামনে নিয়ে স্বাস্থ্য খাতকে সচেতন করছে সরকার। তারা একদিকে হাসপাতাল, ক্লিনিক ডাক্তার অন্যদিকে জনগণকেও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার কথা বলছে। দুটোই চলছে সমান্তরালে।
এমতাবস্থায় যদি আমরা সচেতন না হই, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলি কিংবা মাস্ক ব্যবহারে উদাসীন থাকি, তাহলে আরও বড় ঝুঁকির মুখে পড়তে হতে পারে। মাস্ক ব্যবহার না করলে সরকারি অফিসে সেবা মিলবে না কিংবা ঘরের বাইরে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক- সরকারের তরফে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। আমরা এও দেখছি, মাস্ক ব্যবহারে জনসচেতনতা বাড়াতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানাও করা হচ্ছে।
এর পরও ‘মাস্ক ব্যবহারের বালাই নেই’- এমন সংবাদ শিরোনাম উদ্বিগ্ন হওয়ার বিষয়ই বটে। আমরা মনে করি, শুধু আইন কিংবা অভিযান চালিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা যাবে না যদি মানুষের আত্মোপলব্ধি পুষ্ট না হয়। অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে মানুষের সজাগ হওয়া বাঞ্ছনীয়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আমাদেও মনে রাখা উচিত। আমাদের দেশের স্বাস্থ্যসেবা বরাবরই গলদে পরিপূর্ণ। দেশে চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত সরকারি হাসপাতাল না থাকার কারণে মানুষ বেসরকারি হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল। তাই সেই সুযোগ নিচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালগুলো।