মহান বিজয় দিবসে বিডি সমাচার সম্পাদক মহসিন হোসেনের শুভেচ্ছা
- Update Time : ০১:০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২২
- / 467
বিডি সমাচার ডেস্ক:
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসীকে বিজয় দিবসের রক্তিম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিডি সমাচার ২৪ ডটকম এর সম্পাদক মোঃ মহসিন হোসেন।
মহসিন হোসেন বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের এ দিনে আমরা একাত্তরের সেই অকুতভয় বীর সৈনিকদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। যাদের আত্মত্যাগে আমাদের আজকের এ বিজয়, পেয়েছি লালসবুজ পতাকা এবং মানচিত্র।
তিনি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থক, বিদেশি বন্ধু, যুদ্ধাহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যসহ সর্বস্তরের জনগণকে, যারা বাঙালি জাতির বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন তাদের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
তিনি আরো বলেন,নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
মুক্তিযুদ্ধের এই বীরত্বপূর্ণ ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে, তাদের সামনে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশদভাবে জানাতে হবে তাদের।
দেশের জন্য, সুন্দর সমাজ বিনির্মাণের জন্য আলোকিত মানুষ চাই। আলোকিত মানুষ সৃষ্টি হয় বই পাঠের মধ্য দিয়ে। তাই নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস, ঐতিহ্য ধারণ করে তাদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে।
মহসিন হোসেন বলেন, আজ সেই বিজয়ের-গৌরবের বাঁধভাঙা আনন্দের দিন। একই সঙ্গে লাখো স্বজন হারানোর শোকে ব্যথাতুর-বিহ্বল হওয়ারও দিন। তীব্র শোষণের কুহক জাল ভেদ করে ঠিক ৫১ বছর আগে একাত্তরের এই দিনটিতে প্রভাতী সূর্যের আলোয় ঝিকমিকিয়ে উঠেছিল বাংলার শিশিরভেজা মাটি, অবসান হয়েছিল পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর সাড়ে তেইশ’ বছরের নির্বিচার শোষণ, বঞ্চনা আর নির্যাতনের কালো অধ্যায়। ৯ মাসের জঠর-যন্ত্রণা শেষে এদিন জন্ম নেয় একটি নতুন দেশ- স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ। ঝড়ের ভেতরে বিকশিত অটল বৃক্ষের জীবন্ত প্রতীক স্বাধীনতা নামের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ আজো প্রচ- ঝাঁকি দেয় রক্তে, শাণিত করে চেতনা।
যত রক্ত প্রবাহিত হলো বাংলার সবুজে সবুজে, যেন তত জল প্রবাহিত হয়নি গঙ্গা-যমুনায়। রক্তে রক্তে এখানকার সবুজেরা রক্তিম সূর্যকেও হার মানিয়েছিল সে বেলায়। রক্ত দিয়েই সীমানা গড়েছিলেন বীর বাঙালি। তাই তো লাল-সবুজের পতাকা ‘রক্তস্নাত বাংলাদেশ’র প্রতিচ্ছবি মেলে ধরে।