এনআরবিসি ব্যাংকের ৮ম বার্ষিক সাধারণ সভা

  • Update Time : ০৬:২৬:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুন ২০২১
  • / 182

নিজস্ব প্রতিবেদক:

এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংকের ৮ম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৬ জুন) করোনাভাইরাসের সংক্রমনের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমালের সভাপতিত্বে বার্ষিক সাধারণ সভায় সকল পরিচালক, উদ্যোক্তা, শেয়ারহোল্ডার এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম আউলিয়াসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন। সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেটের উজ্জ্বল নক্ষত্র বিশ্বের নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান অংশ নেন।

এজিএমে ২০২০ সালের জন্য সাড়ে ১২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন করেন শেয়ারহোল্ডাররা। এরমধ্যে নগদ লভ্যাংশ সাড়ে ৭ শতাংশ এবং স্টক ডিভিডেন্ট ৫ শতাংশ।

এজিএমে গত বছরের ব্যালান্সশিট, ৪ চারজন পরিচালকের পুনর্নির্বাচিতসহ সব আলোচ্যসূচি বিনিয়োগকারীদের ভোটে অনুমোদিত হয়।

সভায় জানানো হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে এনআরবিসি ব্যাংক আর্থিক সূচকগুলোতে অগ্রগতি হয়েছে। ব্যাংকের আমানত ৭ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা থেকে সাড়ে ২৫ শতাংশ বেড়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ১৭ কোটি টাকা। ঋণের পরিমান বেড়েছে ২০.৬৭ শতাংশ। গত বছর শেষ ঋণের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা; আগের বছর যা ছিল ৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা। নিট মুনাফা ১১৪ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩৪ কোটি টাকা। শেয়ার প্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৩১ পয়সা। ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের হার মাত্র ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

১২ দশমিক ৫২ শতাংশ মূলধন সংরক্ষণ করে আর্থিক শক্তিমত্তার পরিচয় দিয়েছে ব্যাংকটি। এজিএমে আলোচনায় জানানো হয়, সরকারের রাজস্ব আহরণ থেকে শুরু করে সকল কাজে অংশীদার হওয়া। জনগনের টাকা জনগনের কাছে সহজ প্রক্রিয়ায় ঋণ দিচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক। এই লক্ষ্যে চালু করা হয়েছে মাইক্রোক্রেডিট স্কিম।

পার্টনারশিপ ব্যাংকিংয়ে এই স্কিমের আওতায় আগামী ১ বছরে ১ লাখ প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে ঋণ দেওয়া হবে। এই ঋণের অর্থ বিনিয়োগ করে তারা নিজেদের কর্মের ব্যবস্থা করে স্বনির্ভর হতে পারবেন। ব্যাংকিং কার্যক্রমের পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো এবং করোনা বিস্তার রোধে ওষুধ বিতরণ, পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লোভস অসহায়দের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে মানবিক ব্যাংকের উপাধি পেয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক।

এজিএমে ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল বলেন, এনআরবিসি ব্যাংক শুধু একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানই নয়, এটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানও। সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য ব্যাংকটি কাজ করছে। সম্প্রতি ব্যাংকটি ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প চালু করেছে যার উদ্দেশ্য প্রান্তিক পর্যায়ের অন্তত ১ লাখ মানুষকে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে সোনারবাংলা গড়ে তোলা। সোনার বাংলা বাস্তবায়নের লক্ষে বর্তমান সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করছে এনআরবিসি ব্যাংক।

সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পক্ষে সাকিব আল হাসান বলেন, এনআরবিসি ব্যাংকে বিনিয়োগ করে আমরা সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লাভবান হয়েছি। এই ব্যাংকের পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন দক্ষ ও সফল প্রবাসী উদ্যোক্তারা।

সঠিকভাবে পরিচালনার কারণে খেলাপি ঋণ অনেক কম। আমরা প্রত্যাশা করি ব্যাংকটি আরও ভালো করবে। বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন। সর্বোপরি বাংলাদেশের মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে ব্যাংকিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এই প্রত্যাশা করছি।

করোনাভাইরাসের সংকটের সময় ব্যাংকটির সেবা পৌঁছে যাচ্ছে জনগণের দোরগোড়ায়। এজন্য শাখা, উপশাখা, বুথসহ অন্যান্য সেবাকেন্দ্র সারাদেশে চালু করা হচ্ছে। সরকারের রাজস্ব সংগ্রহের কাজে অংশীদার হতে ট্রেজারি চালান গ্রহণ করছে ব্যাংকটি। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ব্যাংকের শাখা দাঁড়িয়েছে ৮৩, উপশাখা রয়েছে ৪৫০টি; এর মধ্যে রয়েছে বিআরটিএ কালেকশন বুথ, পল্লী বিদ্যুতের বিল কালেকশন বুথ, ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিসে বুথ ও ডিপিডিসি ও ডেসকোতে বিল কালেকশন বুথ। এছাড়া সারাদেশে ৫৯৬টি এজেন্ট পয়েন্ট রয়েছে ব্যাংকটির। জনগণের সেবায় সমস্ত কর্মকান্ডে এনআরবিসি ব্যাংক এগিয়ে যাচ্ছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

Please Share This Post in Your Social Media


এনআরবিসি ব্যাংকের ৮ম বার্ষিক সাধারণ সভা

Update Time : ০৬:২৬:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংকের ৮ম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৬ জুন) করোনাভাইরাসের সংক্রমনের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমালের সভাপতিত্বে বার্ষিক সাধারণ সভায় সকল পরিচালক, উদ্যোক্তা, শেয়ারহোল্ডার এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম আউলিয়াসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন। সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেটের উজ্জ্বল নক্ষত্র বিশ্বের নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান অংশ নেন।

এজিএমে ২০২০ সালের জন্য সাড়ে ১২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন করেন শেয়ারহোল্ডাররা। এরমধ্যে নগদ লভ্যাংশ সাড়ে ৭ শতাংশ এবং স্টক ডিভিডেন্ট ৫ শতাংশ।

এজিএমে গত বছরের ব্যালান্সশিট, ৪ চারজন পরিচালকের পুনর্নির্বাচিতসহ সব আলোচ্যসূচি বিনিয়োগকারীদের ভোটে অনুমোদিত হয়।

সভায় জানানো হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে এনআরবিসি ব্যাংক আর্থিক সূচকগুলোতে অগ্রগতি হয়েছে। ব্যাংকের আমানত ৭ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা থেকে সাড়ে ২৫ শতাংশ বেড়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ১৭ কোটি টাকা। ঋণের পরিমান বেড়েছে ২০.৬৭ শতাংশ। গত বছর শেষ ঋণের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা; আগের বছর যা ছিল ৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা। নিট মুনাফা ১১৪ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩৪ কোটি টাকা। শেয়ার প্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৩১ পয়সা। ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের হার মাত্র ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

১২ দশমিক ৫২ শতাংশ মূলধন সংরক্ষণ করে আর্থিক শক্তিমত্তার পরিচয় দিয়েছে ব্যাংকটি। এজিএমে আলোচনায় জানানো হয়, সরকারের রাজস্ব আহরণ থেকে শুরু করে সকল কাজে অংশীদার হওয়া। জনগনের টাকা জনগনের কাছে সহজ প্রক্রিয়ায় ঋণ দিচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক। এই লক্ষ্যে চালু করা হয়েছে মাইক্রোক্রেডিট স্কিম।

পার্টনারশিপ ব্যাংকিংয়ে এই স্কিমের আওতায় আগামী ১ বছরে ১ লাখ প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে ঋণ দেওয়া হবে। এই ঋণের অর্থ বিনিয়োগ করে তারা নিজেদের কর্মের ব্যবস্থা করে স্বনির্ভর হতে পারবেন। ব্যাংকিং কার্যক্রমের পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো এবং করোনা বিস্তার রোধে ওষুধ বিতরণ, পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লোভস অসহায়দের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে মানবিক ব্যাংকের উপাধি পেয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক।

এজিএমে ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল বলেন, এনআরবিসি ব্যাংক শুধু একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানই নয়, এটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানও। সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য ব্যাংকটি কাজ করছে। সম্প্রতি ব্যাংকটি ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প চালু করেছে যার উদ্দেশ্য প্রান্তিক পর্যায়ের অন্তত ১ লাখ মানুষকে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে সোনারবাংলা গড়ে তোলা। সোনার বাংলা বাস্তবায়নের লক্ষে বর্তমান সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করছে এনআরবিসি ব্যাংক।

সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পক্ষে সাকিব আল হাসান বলেন, এনআরবিসি ব্যাংকে বিনিয়োগ করে আমরা সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লাভবান হয়েছি। এই ব্যাংকের পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন দক্ষ ও সফল প্রবাসী উদ্যোক্তারা।

সঠিকভাবে পরিচালনার কারণে খেলাপি ঋণ অনেক কম। আমরা প্রত্যাশা করি ব্যাংকটি আরও ভালো করবে। বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন। সর্বোপরি বাংলাদেশের মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে ব্যাংকিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এই প্রত্যাশা করছি।

করোনাভাইরাসের সংকটের সময় ব্যাংকটির সেবা পৌঁছে যাচ্ছে জনগণের দোরগোড়ায়। এজন্য শাখা, উপশাখা, বুথসহ অন্যান্য সেবাকেন্দ্র সারাদেশে চালু করা হচ্ছে। সরকারের রাজস্ব সংগ্রহের কাজে অংশীদার হতে ট্রেজারি চালান গ্রহণ করছে ব্যাংকটি। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ব্যাংকের শাখা দাঁড়িয়েছে ৮৩, উপশাখা রয়েছে ৪৫০টি; এর মধ্যে রয়েছে বিআরটিএ কালেকশন বুথ, পল্লী বিদ্যুতের বিল কালেকশন বুথ, ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিসে বুথ ও ডিপিডিসি ও ডেসকোতে বিল কালেকশন বুথ। এছাড়া সারাদেশে ৫৯৬টি এজেন্ট পয়েন্ট রয়েছে ব্যাংকটির। জনগণের সেবায় সমস্ত কর্মকান্ডে এনআরবিসি ব্যাংক এগিয়ে যাচ্ছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে।