এনআরবিসি ব্যাংকের এজিএমে অংশ নিয়ে সাকিব বললেন লাভবান হয়েছি

  • Update Time : ০৬:১৮:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুন ২০২১
  • / 180

ক্রিকেটার থেকে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীতে পরিণত হওয়া সাকিব আল হাসান এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এনআরবিসি ব্যাংকে বিনিয়োগ করে আমরা সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লাভবান হয়েছি।

শনিবার (২৬ জুন) অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির ৮ম বার্ষিক সাধারণ সভায় সাধারণ শেয়ারহোল্ডার হিসেবে অংশ নেন এই তারকা ক্রিকেটার। এর আগে তালিভুক্ত কোনো কোম্পানির এজিএমে কোনো তারকা খেলোয়াড়কে অংশ নিতে দেখা যায়নি। সভায় ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের ঘোষণা করা সাড়ে ১২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়।

অনলাইন প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত এই এজিএমে সাধারণ শেয়ারহোল্ডার হিসেবে অংশ নিয়ে সাকিব আল হাসান বলেন, ‘এনআরবিসি ব্যাংকে বিনিয়োগ করে আমরা সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লাভবান হয়েছি। এ ব্যাংকের পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন দক্ষ ও সফল প্রবাসী উদ্যোক্তারা।’

তিনি বলেন, সঠিকভাবে পরিচালনার কারণে খেলাপি ঋণ অনেক কম। আমরা প্রত্যাশা করি ব্যাংকটি আরও ভালো করবে। বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন। সর্বোপরি বাংলাদেশের মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে ব্যাংকিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এ প্রত্যাশা করছি।

jagonews24

পুঁজিবাজারে নতুন তালিকাভুক্ত হওয়া ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২০ সালের সমাপ্ত বছরের জন্য সাড়ে ১২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এর মধ্যে নগদ লভ্যাংশ সাড়ে ৭ শতাংশ এবং বোনাস শেয়ার ৫ শতাংশ। এই লভ্যাংশের পাশাপাশি এজিএমে ২০২০ সালের ব্যালান্সশিট, চারজন পরিচালকের পুনর্নিবাচিত হওয়ার বিষয়টিও অনুমোদিত হয়।

সভায় জানানো হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে এনআরবিসি ব্যাংক আর্থিক সূচকগুলোতে অগ্রগতি হয়েছে। ব্যাংকের আমানত ৭ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা থেকে সাড়ে ২৫ শতাংশ বেড়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ১৭ কোটি টাকা। ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ২০.৬৭ শতাংশ।

গত বছর শেষ ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা, আগের বছর যা ছিল ৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা। নিট মুনাফা ১১৪ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩৪ কোটি টাকা। শেয়ারপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৩১ পয়সা। ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের হার মাত্র ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ১২ দশমিক ৫২ শতাংশ মূলধন সংরক্ষণ করে আর্থিক শক্তিমত্তার পরিচয় দিয়েছে ব্যাংকটি।

এজিএমে আলোচনায় জানানো হয়, সরকারের রাজস্ব আহরণ থেকে শুরু করে সব কাজে অংশীদার হওয়ার পাশাপাশি জনগণের টাকায় জনগণের কাছে সহজ প্রক্রিয়ায় ঋণ দিচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক। এ লক্ষ্যে চালু করা হয়েছে মাইক্রোক্রেডিট স্কিম।

পার্টনারশিপ ব্যাংকিংয়ে এই স্কিমের আওতায় আগামী এক বছর ১ লাখ প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে ঋণ দেওয়া হবে। এই ঋণের অর্থ বিনিয়োগ করে তারা নিজেদের কর্মের ব্যবস্থা করে স্বনির্ভর হতে পারবেন।

ব্যাংকিং কার্যক্রমের পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো এবং করোনা বিস্তার রোধে ওষুধ বিতরণ, পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লাভস, অসহায়দের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে মানবিক ব্যাংকের উপাধি পেয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক।

এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমালের সভাপতিত্বে বার্ষিক সাধারণ সভায় সব পরিচালক, উদ্যোক্তা, শেয়ারহোল্ডার এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম আউলিয়াসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল বলেন, এনআরবিসি ব্যাংক শুধু একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানই নয়, এটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানও। সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য ব্যাংকটি কাজ করছে। সম্প্রতি ব্যাংকটি ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প চালু করেছে, যার উদ্দেশ্য প্রান্তিক পর্যায়ের অন্তত ১ লাখ মানুষকে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলা।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে সোনার বাংলা গড়ে তোলা। সোনার বাংলা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করছে এনআরবিসি ব্যাংক।

Please Share This Post in Your Social Media


এনআরবিসি ব্যাংকের এজিএমে অংশ নিয়ে সাকিব বললেন লাভবান হয়েছি

Update Time : ০৬:১৮:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুন ২০২১

ক্রিকেটার থেকে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীতে পরিণত হওয়া সাকিব আল হাসান এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এনআরবিসি ব্যাংকে বিনিয়োগ করে আমরা সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লাভবান হয়েছি।

শনিবার (২৬ জুন) অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির ৮ম বার্ষিক সাধারণ সভায় সাধারণ শেয়ারহোল্ডার হিসেবে অংশ নেন এই তারকা ক্রিকেটার। এর আগে তালিভুক্ত কোনো কোম্পানির এজিএমে কোনো তারকা খেলোয়াড়কে অংশ নিতে দেখা যায়নি। সভায় ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের ঘোষণা করা সাড়ে ১২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়।

অনলাইন প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত এই এজিএমে সাধারণ শেয়ারহোল্ডার হিসেবে অংশ নিয়ে সাকিব আল হাসান বলেন, ‘এনআরবিসি ব্যাংকে বিনিয়োগ করে আমরা সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লাভবান হয়েছি। এ ব্যাংকের পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন দক্ষ ও সফল প্রবাসী উদ্যোক্তারা।’

তিনি বলেন, সঠিকভাবে পরিচালনার কারণে খেলাপি ঋণ অনেক কম। আমরা প্রত্যাশা করি ব্যাংকটি আরও ভালো করবে। বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন। সর্বোপরি বাংলাদেশের মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে ব্যাংকিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এ প্রত্যাশা করছি।

jagonews24

পুঁজিবাজারে নতুন তালিকাভুক্ত হওয়া ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২০ সালের সমাপ্ত বছরের জন্য সাড়ে ১২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এর মধ্যে নগদ লভ্যাংশ সাড়ে ৭ শতাংশ এবং বোনাস শেয়ার ৫ শতাংশ। এই লভ্যাংশের পাশাপাশি এজিএমে ২০২০ সালের ব্যালান্সশিট, চারজন পরিচালকের পুনর্নিবাচিত হওয়ার বিষয়টিও অনুমোদিত হয়।

সভায় জানানো হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে এনআরবিসি ব্যাংক আর্থিক সূচকগুলোতে অগ্রগতি হয়েছে। ব্যাংকের আমানত ৭ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা থেকে সাড়ে ২৫ শতাংশ বেড়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ১৭ কোটি টাকা। ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ২০.৬৭ শতাংশ।

গত বছর শেষ ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা, আগের বছর যা ছিল ৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা। নিট মুনাফা ১১৪ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩৪ কোটি টাকা। শেয়ারপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৩১ পয়সা। ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের হার মাত্র ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ১২ দশমিক ৫২ শতাংশ মূলধন সংরক্ষণ করে আর্থিক শক্তিমত্তার পরিচয় দিয়েছে ব্যাংকটি।

এজিএমে আলোচনায় জানানো হয়, সরকারের রাজস্ব আহরণ থেকে শুরু করে সব কাজে অংশীদার হওয়ার পাশাপাশি জনগণের টাকায় জনগণের কাছে সহজ প্রক্রিয়ায় ঋণ দিচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক। এ লক্ষ্যে চালু করা হয়েছে মাইক্রোক্রেডিট স্কিম।

পার্টনারশিপ ব্যাংকিংয়ে এই স্কিমের আওতায় আগামী এক বছর ১ লাখ প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে ঋণ দেওয়া হবে। এই ঋণের অর্থ বিনিয়োগ করে তারা নিজেদের কর্মের ব্যবস্থা করে স্বনির্ভর হতে পারবেন।

ব্যাংকিং কার্যক্রমের পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো এবং করোনা বিস্তার রোধে ওষুধ বিতরণ, পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লাভস, অসহায়দের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে মানবিক ব্যাংকের উপাধি পেয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক।

এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমালের সভাপতিত্বে বার্ষিক সাধারণ সভায় সব পরিচালক, উদ্যোক্তা, শেয়ারহোল্ডার এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম আউলিয়াসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল বলেন, এনআরবিসি ব্যাংক শুধু একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানই নয়, এটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানও। সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য ব্যাংকটি কাজ করছে। সম্প্রতি ব্যাংকটি ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প চালু করেছে, যার উদ্দেশ্য প্রান্তিক পর্যায়ের অন্তত ১ লাখ মানুষকে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলা।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে সোনার বাংলা গড়ে তোলা। সোনার বাংলা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করছে এনআরবিসি ব্যাংক।