লাগামহীন পেঁয়াজের বাজার, দফায় দফায় বাড়ছে দাম

  • Update Time : ১২:৩৩:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
  • / 7

এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। গত সপ্তাহে এক কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকা। যা এখন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বিক্রেতা ও পাইকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরবরাহ সংকট ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে খুচরায় পণ্যটির দাম বেড়েছে।

মালিবাগ কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী রাজু বলেন, গত সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে দাম বাড়া শুরু হয়েছে। ভারতে পেঁয়াজ বিক্রিতে কড়াকড়ি, আবার সেখানেও দাম বেড়েছে। বৃষ্টিতে পেঁয়াজ আসতেও সমস্যা হচ্ছে। সব মিলিয়ে দাম বেড়েছে।

শ্যামবাজারের আড়তদার  রেজোয়ান আহমেদ রিফাত বলেন, শীতের আগে এই সময়টায় দেশি পেঁয়াজ ফুরিয়ে আসে। ফলে দাম বেড়ে যায়। অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি চালু থাকলেও দাম বেশি হওয়ায় তা পড়তায় পড়ছে না। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। শীতের সবজি উঠলে দাম কমা শুরু হবে।

এদিকে শুল্ক কমলেও উল্টো ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে চিনির দাম। দোকানভেদে এক কেজি খোলা ও প্যাকেট চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে পণ্যটির সরবরাহ বাড়েনি।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যানুযায়ী, খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম প্রতি লিটারে ১ থেকে ২ টাকা বেড়েছে এক সপ্তাহে। এ অনুযায়ী বাজারে খোলা সয়াবিন বিক্রি হওয়ার কথা ১৫৬ থেকে ১৬০ টাকা। তবে বাজারে খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ১৭০ থেকে ১৭২ টাকা ও পাম অয়েল ১৬৫ থেকে ১৬৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত তেল ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৫ লিটারের সয়াবিন ৮০০ থেকে ৮১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দুই সপ্তাহ আগেও ডিমের বাজার ছিল অস্থির। প্রতি ডজন ডিম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বর্তমান বাজারে দাম নির্ধারণ করে দেওয়ায় পণ্যটির দাম ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায় নেমে এসেছে। তবে এ দাম সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ৮ থেকে ১২ টাকা বেশি।

অন্যদিকে মোটা চাল ব্রি-২৮ প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৬২ টাকায় এবং মিনিকেট মানভেদে ৭৪ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেশিরভাগ সবজি ৮০ টাকার ওপরে থাকলেও চলতি সপ্তাহে কমেছে কয়েকটির দাম। প্রতি কেজি গোল বেগুন মানভেদে ১০০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি করলা ১০০ টাকা, পটোল, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, ঢ্যাঁড়স ও ধুন্দল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, শসা মানভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুরমুখি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, শিম ১২০ থেকে ১৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

লেবু ৩০ টাকা হালি, কলা ৪০ টাকা হালি, কাঁচামরিচ ২০০ টাকা ও আলু ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতি পিস লম্বা লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া রুই ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, টেংরা ৮০০ টাকা, কৈ ২২০ টাকা, সিলভার কার্প ২২০ টাকা, পাঙাশ ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, শিং ৮০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media


লাগামহীন পেঁয়াজের বাজার, দফায় দফায় বাড়ছে দাম

Update Time : ১২:৩৩:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। গত সপ্তাহে এক কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকা। যা এখন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বিক্রেতা ও পাইকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরবরাহ সংকট ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে খুচরায় পণ্যটির দাম বেড়েছে।

মালিবাগ কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী রাজু বলেন, গত সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে দাম বাড়া শুরু হয়েছে। ভারতে পেঁয়াজ বিক্রিতে কড়াকড়ি, আবার সেখানেও দাম বেড়েছে। বৃষ্টিতে পেঁয়াজ আসতেও সমস্যা হচ্ছে। সব মিলিয়ে দাম বেড়েছে।

শ্যামবাজারের আড়তদার  রেজোয়ান আহমেদ রিফাত বলেন, শীতের আগে এই সময়টায় দেশি পেঁয়াজ ফুরিয়ে আসে। ফলে দাম বেড়ে যায়। অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি চালু থাকলেও দাম বেশি হওয়ায় তা পড়তায় পড়ছে না। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। শীতের সবজি উঠলে দাম কমা শুরু হবে।

এদিকে শুল্ক কমলেও উল্টো ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে চিনির দাম। দোকানভেদে এক কেজি খোলা ও প্যাকেট চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে পণ্যটির সরবরাহ বাড়েনি।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যানুযায়ী, খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম প্রতি লিটারে ১ থেকে ২ টাকা বেড়েছে এক সপ্তাহে। এ অনুযায়ী বাজারে খোলা সয়াবিন বিক্রি হওয়ার কথা ১৫৬ থেকে ১৬০ টাকা। তবে বাজারে খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ১৭০ থেকে ১৭২ টাকা ও পাম অয়েল ১৬৫ থেকে ১৬৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত তেল ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৫ লিটারের সয়াবিন ৮০০ থেকে ৮১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দুই সপ্তাহ আগেও ডিমের বাজার ছিল অস্থির। প্রতি ডজন ডিম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বর্তমান বাজারে দাম নির্ধারণ করে দেওয়ায় পণ্যটির দাম ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায় নেমে এসেছে। তবে এ দাম সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ৮ থেকে ১২ টাকা বেশি।

অন্যদিকে মোটা চাল ব্রি-২৮ প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৬২ টাকায় এবং মিনিকেট মানভেদে ৭৪ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেশিরভাগ সবজি ৮০ টাকার ওপরে থাকলেও চলতি সপ্তাহে কমেছে কয়েকটির দাম। প্রতি কেজি গোল বেগুন মানভেদে ১০০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি করলা ১০০ টাকা, পটোল, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, ঢ্যাঁড়স ও ধুন্দল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, শসা মানভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুরমুখি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, শিম ১২০ থেকে ১৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

লেবু ৩০ টাকা হালি, কলা ৪০ টাকা হালি, কাঁচামরিচ ২০০ টাকা ও আলু ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতি পিস লম্বা লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া রুই ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, টেংরা ৮০০ টাকা, কৈ ২২০ টাকা, সিলভার কার্প ২২০ টাকা, পাঙাশ ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, শিং ৮০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।