‘পুঁজিবাজারের সমস্যাগুলো হয়তো দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবে না’

  • Update Time : ০৯:২৯:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪
  • / 8

পুঁজিবাজারের সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে। সমস্যাগুলো হয়তো দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবে না। এখন পুঁজিবাজারের সংস্কার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।

সোমবার (২১ অক্টোবর) চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) নতুন বোর্ড সদস্য, শীর্ষ কর্মকর্তারা এবং সিএসই ট্রেক হোল্ডার কোম্পানীগুলোর সাথে বিএসইসি’র সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় পুঁজিবাজার সংস্কার নিয়ে এমন মন্তব্য করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, পুঁজিবাজারের যে সমস্যাগুলো বিদ্যমান আছে সেগুলো সমাধান করতে হবে যা হয়তো দ্রুত সম্ভব নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সংস্কার। এই সংস্কারের কাজ একা সম্ভব নয়। সেজন্য সবার মতামত নেয়া হচ্ছে এবং ধীরে ধীরে আইন ও নিয়মের মধ্যে থেকে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে এই সংস্কার সম্পন্ন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, সবার স্বপ্ন পুঁজিবাজার হবে দেশের অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু এবং একই সাথে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের উৎস। এই লক্ষ্যে একটি সমৃদ্ধ ও সফল পুঁজিবাজার গড়ার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র সাথে সাথে পুঁজিবাজারের সাথে জড়িত সকল অংশীজনদের মিলেমিশে অনেক কাজ করতে হবে।

চট্টগ্রামে সিএসই’র কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বিএসইসি’র চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, বিএসইসি’র কমিশনার মুঃ মোহসিন চৌধুরী, বিএসইসি’র কমিশনার মোঃ আলী আকবর, বিএসইসি’র কমিশনার ফারজানা লালারুখ, বিএসইসি’র কর্মকার্তারা এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত নতুন বোর্ড সদস্যরা, সিএসই ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার ও সিএসই’র শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠিত সভায় সিএসই’র পক্ষ হতে একটি প্রেজেন্টেশন প্রদান করা হয়। প্রেজেন্টেশনে সিএসই’র বর্তমান অবকাঠামো, জনবল, ক্রিয়াকলাপসহ বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যত সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ, করণীয় ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রেজেন্টেশনের পর সভায় উক্ত বিষয়গুলোসহ দেশের পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়। এসময় কমোডিটি এক্সচেঞ্জ, কমোডিটি ডিরেভেটিভস, সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় উঠে আসে।

এছাড়াও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এর ট্রেক হোল্ডার কোম্পানীগুলো এবং স্থানীয় অংশীজনদের সাথে বিএসইসি’র পৃথক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ট্রেক হোল্ডার কোম্পানীসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ বিএসইসি’র নিকট তাদের বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেন এবং আগামীতে দেশে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ পুঁজিবাজারের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

বাজারে সুশাসন নিশ্চিতকরণ, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধিতে করণীয়, পাবলিক ইস্যু ও মার্জিন রুলের সংস্কারসহ পুঁজিবাজারের বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাব আলোচনায় উঠে আসে। এসময় বিএসইসি’র চেয়ারম্যানসহ কমিশন প্রস্তাবসমূহ মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং সার্বিক বিবেচনাপূর্বক সংস্কারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


‘পুঁজিবাজারের সমস্যাগুলো হয়তো দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবে না’

Update Time : ০৯:২৯:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

পুঁজিবাজারের সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে। সমস্যাগুলো হয়তো দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবে না। এখন পুঁজিবাজারের সংস্কার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।

সোমবার (২১ অক্টোবর) চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) নতুন বোর্ড সদস্য, শীর্ষ কর্মকর্তারা এবং সিএসই ট্রেক হোল্ডার কোম্পানীগুলোর সাথে বিএসইসি’র সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় পুঁজিবাজার সংস্কার নিয়ে এমন মন্তব্য করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, পুঁজিবাজারের যে সমস্যাগুলো বিদ্যমান আছে সেগুলো সমাধান করতে হবে যা হয়তো দ্রুত সম্ভব নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সংস্কার। এই সংস্কারের কাজ একা সম্ভব নয়। সেজন্য সবার মতামত নেয়া হচ্ছে এবং ধীরে ধীরে আইন ও নিয়মের মধ্যে থেকে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে এই সংস্কার সম্পন্ন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, সবার স্বপ্ন পুঁজিবাজার হবে দেশের অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু এবং একই সাথে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের উৎস। এই লক্ষ্যে একটি সমৃদ্ধ ও সফল পুঁজিবাজার গড়ার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র সাথে সাথে পুঁজিবাজারের সাথে জড়িত সকল অংশীজনদের মিলেমিশে অনেক কাজ করতে হবে।

চট্টগ্রামে সিএসই’র কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বিএসইসি’র চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, বিএসইসি’র কমিশনার মুঃ মোহসিন চৌধুরী, বিএসইসি’র কমিশনার মোঃ আলী আকবর, বিএসইসি’র কমিশনার ফারজানা লালারুখ, বিএসইসি’র কর্মকার্তারা এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত নতুন বোর্ড সদস্যরা, সিএসই ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার ও সিএসই’র শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠিত সভায় সিএসই’র পক্ষ হতে একটি প্রেজেন্টেশন প্রদান করা হয়। প্রেজেন্টেশনে সিএসই’র বর্তমান অবকাঠামো, জনবল, ক্রিয়াকলাপসহ বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যত সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ, করণীয় ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রেজেন্টেশনের পর সভায় উক্ত বিষয়গুলোসহ দেশের পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়। এসময় কমোডিটি এক্সচেঞ্জ, কমোডিটি ডিরেভেটিভস, সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় উঠে আসে।

এছাড়াও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এর ট্রেক হোল্ডার কোম্পানীগুলো এবং স্থানীয় অংশীজনদের সাথে বিএসইসি’র পৃথক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ট্রেক হোল্ডার কোম্পানীসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ বিএসইসি’র নিকট তাদের বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেন এবং আগামীতে দেশে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ পুঁজিবাজারের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

বাজারে সুশাসন নিশ্চিতকরণ, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধিতে করণীয়, পাবলিক ইস্যু ও মার্জিন রুলের সংস্কারসহ পুঁজিবাজারের বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাব আলোচনায় উঠে আসে। এসময় বিএসইসি’র চেয়ারম্যানসহ কমিশন প্রস্তাবসমূহ মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং সার্বিক বিবেচনাপূর্বক সংস্কারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেন।