পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৭ ব্যাংকের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

  • Update Time : ১২:৪৭:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 21

অনিয়ম ও দুর্নীতি ঠেকাতে সম্প্রতি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সাত ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব ব্যাংকের কী পরিমাণ টাকা প্রভাবশালীদের কাছে আটকে রয়েছে ও চলমান সংকট কাটানোর পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চেয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)। এর মধ্যে প্রথম ছয়টি এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন। তবে পর্ষদ পুনর্গঠন করে গ্রুপটির নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা হয়েছে এসব ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, অনিয়ম ও দুর্নীতি ঠেকাতে যেসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে, ওই ব্যাংকগুলোর কী পরিমাণ টাকা প্রভাবশালীদের কাছে আটকে রয়েছে, তা জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি এসব ব্যাংকে যে তারল্য সংকট চলছে, তা থেকে উত্তরণে কী পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আজ এসব তথ্য নিয়ে পুনর্গঠন করা ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর নিরুদ্দেশ হয়ে যান গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে যোগ দেন আহসান এইচ মনসুর।

সম্প্রতি গভর্নর সাংবাদিকদের বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা নিয়ে ফেরত দেননি, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্বল ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হবে।

২০ আগস্ট ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদ বিলুপ্তের মাধ্যমে সেই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। এখন পুনর্গঠিত পর্ষদের মাধ্যমে কীভাবে ব্যাংকগুলোর উন্নতি করা যায়, তা নিয়ে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সভা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৭ ব্যাংকের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

Update Time : ১২:৪৭:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অনিয়ম ও দুর্নীতি ঠেকাতে সম্প্রতি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সাত ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব ব্যাংকের কী পরিমাণ টাকা প্রভাবশালীদের কাছে আটকে রয়েছে ও চলমান সংকট কাটানোর পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চেয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)। এর মধ্যে প্রথম ছয়টি এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন। তবে পর্ষদ পুনর্গঠন করে গ্রুপটির নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা হয়েছে এসব ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, অনিয়ম ও দুর্নীতি ঠেকাতে যেসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে, ওই ব্যাংকগুলোর কী পরিমাণ টাকা প্রভাবশালীদের কাছে আটকে রয়েছে, তা জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি এসব ব্যাংকে যে তারল্য সংকট চলছে, তা থেকে উত্তরণে কী পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আজ এসব তথ্য নিয়ে পুনর্গঠন করা ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর নিরুদ্দেশ হয়ে যান গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে যোগ দেন আহসান এইচ মনসুর।

সম্প্রতি গভর্নর সাংবাদিকদের বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা নিয়ে ফেরত দেননি, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্বল ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হবে।

২০ আগস্ট ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদ বিলুপ্তের মাধ্যমে সেই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। এখন পুনর্গঠিত পর্ষদের মাধ্যমে কীভাবে ব্যাংকগুলোর উন্নতি করা যায়, তা নিয়ে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সভা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি।