৪ সপ্তাহে গায়েব বিনিয়োগকারীদের সাড়ে ৮১ হাজার কোটি টাকা

  • Update Time : ০১:০৭:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪
  • / 69

দেশের শেয়ারবাজার এক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে পার করছে অনেক দিন ধরে টানা দরপতন চলছে। গত এক মাসের বেশি কর্মদিবসের মধ্যে মাত্র চার কর্মদিবস সামান্য উত্থান হয়েছে। বাকি ২৬ কর্মদিবসই পতনের বৃত্তে আটকে ছিল। এরমধ্যে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার উভয় শেয়ারবাজারে সামান্য উত্থান হয়েছে।

তবে সপ্তাহের হিসাবে গত চার সপ্তাহেই শেয়ারবাজারে পতনের বৃত্তে ছিল। যার কারণে ৪ সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের গায়েব হয়ে গেছে সাড়ে ৮১ হাজার কোটি টাকা। এমন পতনে বিনিয়োগকারীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাদের লোকসানের পাল্লা অসহনীয় অবস্থায় উপনীত হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯২ হাজার ৫৪০ কোটি টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসের লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৯ হাজার ২২৯ কোটি টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিও বা বিনিয়োগ কমেছে ১৩ হাজার ৩১১ কোটি টাকা বা ১.৯২ শতাংশ।

এর আগের তিন সপ্তাহে বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছে ৬৮ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা। চার সপ্তাহ মিলে বিনিয়োগকারীদের নাই সাড়ে ৮১ হাজার কোটি টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১ হাজার ৯৭৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৮৫ কোটি ১৪ লাখ টাকার। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকার বা ০.৪৭ শতাংশ।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬৩ পয়েন্ট বা ২.৭৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫৭৭৮ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই ৩০ সূচক ৪৬.৬৩ পয়েন্ট বা ২.২৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২০১১ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৩ টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৫টির বা ৮.৯০ শতাংশের, কমেছে ৩৪৩ টির বা ৮৭.২৭ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫ টির বা ৩.৮১ শতাংশের।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৯৭ কোটি ১৭ লাখ টাকার। সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৮৩ পয়েন্ট বা ২.২৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৬৫৫৩ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১২ টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৪৮ টির দর বেড়েছে, ২৪৩ টির দর কমেছে এবং ২১ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


৪ সপ্তাহে গায়েব বিনিয়োগকারীদের সাড়ে ৮১ হাজার কোটি টাকা

Update Time : ০১:০৭:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪

দেশের শেয়ারবাজার এক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে পার করছে অনেক দিন ধরে টানা দরপতন চলছে। গত এক মাসের বেশি কর্মদিবসের মধ্যে মাত্র চার কর্মদিবস সামান্য উত্থান হয়েছে। বাকি ২৬ কর্মদিবসই পতনের বৃত্তে আটকে ছিল। এরমধ্যে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার উভয় শেয়ারবাজারে সামান্য উত্থান হয়েছে।

তবে সপ্তাহের হিসাবে গত চার সপ্তাহেই শেয়ারবাজারে পতনের বৃত্তে ছিল। যার কারণে ৪ সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের গায়েব হয়ে গেছে সাড়ে ৮১ হাজার কোটি টাকা। এমন পতনে বিনিয়োগকারীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাদের লোকসানের পাল্লা অসহনীয় অবস্থায় উপনীত হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯২ হাজার ৫৪০ কোটি টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসের লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৯ হাজার ২২৯ কোটি টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিও বা বিনিয়োগ কমেছে ১৩ হাজার ৩১১ কোটি টাকা বা ১.৯২ শতাংশ।

এর আগের তিন সপ্তাহে বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছে ৬৮ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা। চার সপ্তাহ মিলে বিনিয়োগকারীদের নাই সাড়ে ৮১ হাজার কোটি টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১ হাজার ৯৭৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৮৫ কোটি ১৪ লাখ টাকার। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকার বা ০.৪৭ শতাংশ।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬৩ পয়েন্ট বা ২.৭৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫৭৭৮ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই ৩০ সূচক ৪৬.৬৩ পয়েন্ট বা ২.২৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২০১১ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৩ টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৫টির বা ৮.৯০ শতাংশের, কমেছে ৩৪৩ টির বা ৮৭.২৭ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫ টির বা ৩.৮১ শতাংশের।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৯৭ কোটি ১৭ লাখ টাকার। সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৮৩ পয়েন্ট বা ২.২৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৬৫৫৩ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১২ টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৪৮ টির দর বেড়েছে, ২৪৩ টির দর কমেছে এবং ২১ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।