তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ৪৬টি কূপ খননের পরিকল্পনা

  • Update Time : ১১:০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩
  • / 121

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের। তবে দ্রুত সময়ে জ্বালানি সমস্যার সমাধানে ২০২৪ সালের মধ্যেই খনন কার্যক্রম শেষ করতে চায় সংস্থাটি। পার্বত্য অঞ্চলেও চালানো হবে তেল-গ্যাসের অনুসন্ধান।

দেশের গ্যাসভিত্তিক শিল্পকারখানা বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা। তবে গ্যাসের উৎস ও উত্তোলন তেমন বাড়ছে না। বাধ্য হয়েই বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের মুজদ ছিল ৯ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। বিদ্যমান চাহিদা বিবেচনায় যা শেষ হয়ে যাবে আগামী ১০ বছরের মধ্যেই।

এমন বাস্তবতায় স্থলভাগ ও বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদারের তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

জ্বালানি বিশ্লেষক ড. ম তামিম বলেন, “পেট্রোবাংলা যে পরিকল্পনা দিয়েছে ৩ বছরের মধ্যে ৬শ’ মিলিয়ন অতিরিক্ত উৎপাদন করবে সেটার কতটুকু অগ্রগতি তা জানি না। ৬শ’ যদি নাও পারে ২-১শ’ অতিরিক্ত আনতে পারে এবং বর্তমান উৎপাদনটা যদি ধরে রাখতে পারে তাহলে আমাদের জন্য এটা ভালো লক্ষণ।”

বাপেক্স বলছে, ৪৬টি কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ২০২৫ সালের মধ্যে লক্ষ্য থাকলেও তার আগেই খনন কার্যক্রম শেষ করা হবে। এখান থেকে দৈনিক মিলবে ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। বাপেক্সের গ্যাসফিল্ড, সিলেট গ্যাসফিল্ড ও বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ডে খনন করা হবে এসব কূপ।

বাপেক্স ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, “এই ৪৬টি কূপে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি। যাতে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কূপগুলো করতে পারি। এখন কাজ হচ্ছে তিতাস এলাকায়।”

ইতিমধ্যে ভোলায় বেশ কিছু অনুসন্ধান কার্যক্রম চালিয়েছে বাপেক্স। সিলেটের বিয়ানিবাজারসহ তিতাস এলাকায়ও কাজ চলছে কূপ খননের। শিগগিরই ইতিবাচক ফল পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী বাপেক্স।

মোহাম্মদ আলী বলেন, “অনুসন্ধান ব্লক ৯, পটুয়াখালি-বরগুনায়ও পরিকল্পনা আছে। ভোলার ঠিক মাঝখানে নদী, নদীর পূর্বপাশে হিজলা-মুলাদী বর্তমানে সেখানে কাজ চলছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চল গ্যাসের বড় হাব হতে পারে এই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”

এদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রামেও তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করবে সরকার। ৫টি বিদেশি কোম্পানি এখানে অনুসন্ধানে আগ্রহ দেখিয়েছে।

বাপেক্স ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, “এই মওসুমে সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, উড়িরচরে অনুসন্ধানের কাজ শেষ করা হয়েছে। করিমগঞ্জে গ্যাস পাওয়া গেছে এবং সেখানে আরও কূপ করা হবে।”

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ৪৬টি কূপ খননের পরিকল্পনা

Update Time : ১১:০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের। তবে দ্রুত সময়ে জ্বালানি সমস্যার সমাধানে ২০২৪ সালের মধ্যেই খনন কার্যক্রম শেষ করতে চায় সংস্থাটি। পার্বত্য অঞ্চলেও চালানো হবে তেল-গ্যাসের অনুসন্ধান।

দেশের গ্যাসভিত্তিক শিল্পকারখানা বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা। তবে গ্যাসের উৎস ও উত্তোলন তেমন বাড়ছে না। বাধ্য হয়েই বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের মুজদ ছিল ৯ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। বিদ্যমান চাহিদা বিবেচনায় যা শেষ হয়ে যাবে আগামী ১০ বছরের মধ্যেই।

এমন বাস্তবতায় স্থলভাগ ও বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদারের তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

জ্বালানি বিশ্লেষক ড. ম তামিম বলেন, “পেট্রোবাংলা যে পরিকল্পনা দিয়েছে ৩ বছরের মধ্যে ৬শ’ মিলিয়ন অতিরিক্ত উৎপাদন করবে সেটার কতটুকু অগ্রগতি তা জানি না। ৬শ’ যদি নাও পারে ২-১শ’ অতিরিক্ত আনতে পারে এবং বর্তমান উৎপাদনটা যদি ধরে রাখতে পারে তাহলে আমাদের জন্য এটা ভালো লক্ষণ।”

বাপেক্স বলছে, ৪৬টি কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ২০২৫ সালের মধ্যে লক্ষ্য থাকলেও তার আগেই খনন কার্যক্রম শেষ করা হবে। এখান থেকে দৈনিক মিলবে ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। বাপেক্সের গ্যাসফিল্ড, সিলেট গ্যাসফিল্ড ও বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ডে খনন করা হবে এসব কূপ।

বাপেক্স ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, “এই ৪৬টি কূপে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি। যাতে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কূপগুলো করতে পারি। এখন কাজ হচ্ছে তিতাস এলাকায়।”

ইতিমধ্যে ভোলায় বেশ কিছু অনুসন্ধান কার্যক্রম চালিয়েছে বাপেক্স। সিলেটের বিয়ানিবাজারসহ তিতাস এলাকায়ও কাজ চলছে কূপ খননের। শিগগিরই ইতিবাচক ফল পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী বাপেক্স।

মোহাম্মদ আলী বলেন, “অনুসন্ধান ব্লক ৯, পটুয়াখালি-বরগুনায়ও পরিকল্পনা আছে। ভোলার ঠিক মাঝখানে নদী, নদীর পূর্বপাশে হিজলা-মুলাদী বর্তমানে সেখানে কাজ চলছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চল গ্যাসের বড় হাব হতে পারে এই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”

এদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রামেও তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করবে সরকার। ৫টি বিদেশি কোম্পানি এখানে অনুসন্ধানে আগ্রহ দেখিয়েছে।

বাপেক্স ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, “এই মওসুমে সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, উড়িরচরে অনুসন্ধানের কাজ শেষ করা হয়েছে। করিমগঞ্জে গ্যাস পাওয়া গেছে এবং সেখানে আরও কূপ করা হবে।”