এক টন রডের দাম লাখ টাকা

  • Update Time : ০১:৪৯:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২
  • / 199

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশে দিন দিন বেড়েই চলেছে রডের মূল্য। আর এই চড়া মূল্যে দিশেহারা ভোক্তা পর্যায় থেকে শুরু করে পাইকার ব্যবসায়ীরাও। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি কাঁচামালের আমদানি কমায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে উৎপাদন। ভালোমানের এক টন রডের দাম এখন লাখ টাকার কাছাকাছি।

ব্রান্ড বা কোম্পানি ভেদে সিক্সটি গ্রেডের প্রতিটন রড এখন বিক্রি হচ্ছে ৯১ থেকে ৯৬ হাজার টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে টনপ্রতি বেড়েছে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা।

স্টিল মিল মালিকরা বলছেন, জ্বালানি তেল ও ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিদ্যুৎ সংকটে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে রডের উৎপাদন।

শাহরিয়ার স্টীল মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুল আলম মাসুদ বলেন, ‘মালের দাম কমে ৬শ’ ডলার থেকে কমে ৪শ’ ডলারে এসেছিল সেই সময় আমরা এলসি করতে পারিনি। ব্যাংক আমাদের এলসি নেয়নি। কিন্তু এখন এলসি করছি প্রতিটন ৫২০ ডলারে। সেই সময় ডলারের দর ছিল ৮৫ টাকা এখন তো ১১০ টাকা।’

মাসুদুল আলম মাসুদ বলেন, ‘কিছু কিছু ব্যাংকাররা এটার সুযোগ নিয়েছে। ডলারের দাম অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার ফলে তারা এলসি নেওয়াই বন্ধ করে দিল। ফলে একমাস র-ম্যাটারিয়াল আমদানি করতে পারিনি। সরকার কিছুটা তৎপরতা শুরু করার পর এখন অসহনীয় পর্যায়ে এসেছে।’

এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বিপাকে নির্মাণখাত সংশ্লিষ্টরা। ভবন নির্মাণে ব্যয় বাড়ছে অস্বাভাবিক হারে।

রিহ্যাব সহ-সভাপতি কামাল মাহমুদ বলেন, ‘যারা আমরা আবাসন ব্যবসায়ী আছি, যে প্রজেক্টগুলোতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম সেগুলো সময় মতো দিতেই হবে। এই মূল্য বৃদ্ধির পরেও সে কাজগুলো করতে হচ্ছে।’

ডলার সাশ্রয়ে এলসি খোলার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মাঝারি আকারের এলসি খুলতেই লাগছে আগাম অনুমোদন। ইস্পাত শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে কেন্দ্রিয় ব্যাংককে কিছুটা নমনীয় হওয়ার আহ্বান সংশ্লিষ্টদের।

কামাল মাহমুদ বলেন, ‘যেহেতু এটি কোন লাক্সারিয়াস কোনো আইটেম না, তারপরও এটি অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং জনগণের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত।’

দেশে বর্তমানে স্বয়ংক্রিয় ইস্পাত কারখানার সংখ্যা ৩০টি, আর সনাতন পদ্ধতিতে রড তৈরি হয় প্রায় ১০০ কারখানায়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


এক টন রডের দাম লাখ টাকা

Update Time : ০১:৪৯:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশে দিন দিন বেড়েই চলেছে রডের মূল্য। আর এই চড়া মূল্যে দিশেহারা ভোক্তা পর্যায় থেকে শুরু করে পাইকার ব্যবসায়ীরাও। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি কাঁচামালের আমদানি কমায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে উৎপাদন। ভালোমানের এক টন রডের দাম এখন লাখ টাকার কাছাকাছি।

ব্রান্ড বা কোম্পানি ভেদে সিক্সটি গ্রেডের প্রতিটন রড এখন বিক্রি হচ্ছে ৯১ থেকে ৯৬ হাজার টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে টনপ্রতি বেড়েছে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা।

স্টিল মিল মালিকরা বলছেন, জ্বালানি তেল ও ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিদ্যুৎ সংকটে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে রডের উৎপাদন।

শাহরিয়ার স্টীল মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুল আলম মাসুদ বলেন, ‘মালের দাম কমে ৬শ’ ডলার থেকে কমে ৪শ’ ডলারে এসেছিল সেই সময় আমরা এলসি করতে পারিনি। ব্যাংক আমাদের এলসি নেয়নি। কিন্তু এখন এলসি করছি প্রতিটন ৫২০ ডলারে। সেই সময় ডলারের দর ছিল ৮৫ টাকা এখন তো ১১০ টাকা।’

মাসুদুল আলম মাসুদ বলেন, ‘কিছু কিছু ব্যাংকাররা এটার সুযোগ নিয়েছে। ডলারের দাম অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার ফলে তারা এলসি নেওয়াই বন্ধ করে দিল। ফলে একমাস র-ম্যাটারিয়াল আমদানি করতে পারিনি। সরকার কিছুটা তৎপরতা শুরু করার পর এখন অসহনীয় পর্যায়ে এসেছে।’

এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বিপাকে নির্মাণখাত সংশ্লিষ্টরা। ভবন নির্মাণে ব্যয় বাড়ছে অস্বাভাবিক হারে।

রিহ্যাব সহ-সভাপতি কামাল মাহমুদ বলেন, ‘যারা আমরা আবাসন ব্যবসায়ী আছি, যে প্রজেক্টগুলোতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম সেগুলো সময় মতো দিতেই হবে। এই মূল্য বৃদ্ধির পরেও সে কাজগুলো করতে হচ্ছে।’

ডলার সাশ্রয়ে এলসি খোলার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মাঝারি আকারের এলসি খুলতেই লাগছে আগাম অনুমোদন। ইস্পাত শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে কেন্দ্রিয় ব্যাংককে কিছুটা নমনীয় হওয়ার আহ্বান সংশ্লিষ্টদের।

কামাল মাহমুদ বলেন, ‘যেহেতু এটি কোন লাক্সারিয়াস কোনো আইটেম না, তারপরও এটি অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং জনগণের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত।’

দেশে বর্তমানে স্বয়ংক্রিয় ইস্পাত কারখানার সংখ্যা ৩০টি, আর সনাতন পদ্ধতিতে রড তৈরি হয় প্রায় ১০০ কারখানায়।