জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ২২০ কোটি ডলার

  • Update Time : ০১:১৪:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ অগাস্ট ২০২২
  • / 176

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

রিজার্ভ দুই বছরের মধ্যে ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যাওয়ার পর দেশের অর্থনীতিতে যে চাপ দেখা দিয়েছিল, তা থেকে উত্তরণে পথ দেখাচ্ছে প্রবাসী আয়। গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে রেমিট্যান্স আগের বছরের তুলনায় অনেকখানি কমে যাওয়া নিয়ে উৎকণ্ঠা তৈরি হলেও নতুন অর্থবছরে রীতিমতো জোয়ার তৈরি হয়েছে।

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের প্রথম দিকে যে আশা দেখিয়েছিল তা পরেও বজায় রয়েছে। এতে মাস শেষে প্রবাসী আয় বেড়ে হয়েছে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন বা ২২০ কোটি ডলার, যা দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই অঙ্ক গত বছরের জুলাই মাসের পুরো সময়ের চেয়েও ৫ শতাংশ বেশি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, এসময়ে আগের অর্থবছরের একই মাস জুলাইয়ের চেয়ে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে গত বছরের জুলাইয়ে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার। জুলাই শেষে রেমিট্যান্সের পরিমাণ আগের মাস জুনের চেয়ে ১৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। ওই মাসে এসেছিল ১ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠাতে প্রণোদনা বাড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সরকার বিভিন্ন নীতি সহায়তা দিচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও প্রবাসীদের বৈধভাবে রেমিটেন্স পাঠাতে উৎসাহ দিয়ে আসছে। আগের চেয়ে বেশি দর পাওয়ায় প্রবাসীরা উৎসাহী হয়ে জুলাই মাসে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন।’

এর আগে, ২০২০ সালের জুলাইতে সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।

প্রবাসীদের পাঠানো আয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরের নেতিবাচক অবস্থার পর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি রেমিট্যান্স খারাপ সময় কাটবে বলে আশা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।

গত ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স আগের বছরের চেয়ে ৩ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ১০৩ কোটি ডলার; প্রবৃদ্ধি হয় ঋণাত্বক ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ। এর আগের ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার; প্রবৃদ্ধি ছিল ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ।

সরবরাহ সংকটে সম্প্রতি ডলারের দাম বেশ কয়েক মাস থেকেই বাড়ছে। ব্যাংকিং চ্যানেলের পাশাপাশি খোলা বাজারেও ডলারের দাম বেড়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে ডলার সংগ্রহে ব্যাংকগুলো বিদেশের এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে বেশি দরে প্রধান এ বৈদেশিক মুদ্রা কিনছে। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ২২০ কোটি ডলার

Update Time : ০১:১৪:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

রিজার্ভ দুই বছরের মধ্যে ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যাওয়ার পর দেশের অর্থনীতিতে যে চাপ দেখা দিয়েছিল, তা থেকে উত্তরণে পথ দেখাচ্ছে প্রবাসী আয়। গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে রেমিট্যান্স আগের বছরের তুলনায় অনেকখানি কমে যাওয়া নিয়ে উৎকণ্ঠা তৈরি হলেও নতুন অর্থবছরে রীতিমতো জোয়ার তৈরি হয়েছে।

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের প্রথম দিকে যে আশা দেখিয়েছিল তা পরেও বজায় রয়েছে। এতে মাস শেষে প্রবাসী আয় বেড়ে হয়েছে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন বা ২২০ কোটি ডলার, যা দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই অঙ্ক গত বছরের জুলাই মাসের পুরো সময়ের চেয়েও ৫ শতাংশ বেশি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, এসময়ে আগের অর্থবছরের একই মাস জুলাইয়ের চেয়ে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে গত বছরের জুলাইয়ে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার। জুলাই শেষে রেমিট্যান্সের পরিমাণ আগের মাস জুনের চেয়ে ১৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। ওই মাসে এসেছিল ১ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠাতে প্রণোদনা বাড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সরকার বিভিন্ন নীতি সহায়তা দিচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও প্রবাসীদের বৈধভাবে রেমিটেন্স পাঠাতে উৎসাহ দিয়ে আসছে। আগের চেয়ে বেশি দর পাওয়ায় প্রবাসীরা উৎসাহী হয়ে জুলাই মাসে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন।’

এর আগে, ২০২০ সালের জুলাইতে সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।

প্রবাসীদের পাঠানো আয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরের নেতিবাচক অবস্থার পর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি রেমিট্যান্স খারাপ সময় কাটবে বলে আশা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।

গত ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স আগের বছরের চেয়ে ৩ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ১০৩ কোটি ডলার; প্রবৃদ্ধি হয় ঋণাত্বক ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ। এর আগের ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার; প্রবৃদ্ধি ছিল ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ।

সরবরাহ সংকটে সম্প্রতি ডলারের দাম বেশ কয়েক মাস থেকেই বাড়ছে। ব্যাংকিং চ্যানেলের পাশাপাশি খোলা বাজারেও ডলারের দাম বেড়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে ডলার সংগ্রহে ব্যাংকগুলো বিদেশের এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে বেশি দরে প্রধান এ বৈদেশিক মুদ্রা কিনছে। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে।