হু হু করে বাড়ছে তিস্তার পানি, বন্যা সতর্কতা

  • Update Time : ০৭:৩৬:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩
  • / 158

মশিয়ার রহমান, নীলফামারী প্রতিনিধি:

বর্ষা মৌসুম শেষ হয়ে গেলেও হটাৎ করে শরৎ এর শেষ দিকে এসে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিচ্ছে নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার প্রায় ১৫টি গ্রামে। বাংলাদেশ বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র ডালিয়া পওর বিভাগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে

তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশে আকস্মিক বন্যা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতের উত্তর সিকিম ও তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানে তিস্তা নদীর পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিগত মধ্যরাত হতে গজলডোবা ও তিস্তা নদীর দোমুহুনী পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেকারণে তিস্তা নদীর ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে পানি হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরফলে তিস্তা অববাহিকার তীরবর্তী চরাঞ্চলে ও নিম্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে মর্মে ঐসব এলাকার মানুষজনকে সতর্কতাবস্থায় থাকার জন্য ডালিয়া পাউবো ও বর্ডার গাড বাংলাদেশ এর পক্ষে মাইকিং করে বলা হয়েছে। পাউবোর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারতীয় আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ভারতের সিকিম অঞ্চলে আগামী ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় তিস্তা নদী সংলগ্ন অঞ্চলসমূহে বন্যা পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে ডালিয়া পাউবো সুত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকাল ৫ ঘটিকায় ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা আগামী ২৪ ঘন্টায় বৃদ্ধি পেয়ে ৫০ সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এতে করে নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি গ্রামে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে। যারফলে ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হবে। এছাড়াও পরিবারগুলোর গবাদিপশু পাখি নিয়েও ভীষণ কষ্টের মাঝে দিনাতিপাত করতে হতে পারে।

পাউবো সুত্র আরও জানান, বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজের সবকটি জলকপাট খোলা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পাউবোর সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্কাবস্থায় আছে।

তিস্তা নদীর চরাঞ্চলের ও তীরবর্তী লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকবার জন্য বলা হয়েছে।

১০ নং পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আঃ লতিফ খাঁন বলেন আমার ইউনিয়নের তিনটি গ্রাম প্রতিবার বন্যার স্বীকার হয়। এতে করে দুর্বিষহ জীবন যাপন করে গ্রামের মানুষজন। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এই বন্যা সমস্যার সমাধান আসবে না। একই মন্তব্য করেন টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুর -ই আলম সিদ্দিকী বিডিসমাচার২৪.কমকে বলেন তিস্তার পানি সকাল থেকে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে মর্মে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার যাবতীয় কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media


হু হু করে বাড়ছে তিস্তার পানি, বন্যা সতর্কতা

Update Time : ০৭:৩৬:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩

মশিয়ার রহমান, নীলফামারী প্রতিনিধি:

বর্ষা মৌসুম শেষ হয়ে গেলেও হটাৎ করে শরৎ এর শেষ দিকে এসে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিচ্ছে নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার প্রায় ১৫টি গ্রামে। বাংলাদেশ বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র ডালিয়া পওর বিভাগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে

তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশে আকস্মিক বন্যা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতের উত্তর সিকিম ও তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানে তিস্তা নদীর পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিগত মধ্যরাত হতে গজলডোবা ও তিস্তা নদীর দোমুহুনী পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেকারণে তিস্তা নদীর ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে পানি হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরফলে তিস্তা অববাহিকার তীরবর্তী চরাঞ্চলে ও নিম্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে মর্মে ঐসব এলাকার মানুষজনকে সতর্কতাবস্থায় থাকার জন্য ডালিয়া পাউবো ও বর্ডার গাড বাংলাদেশ এর পক্ষে মাইকিং করে বলা হয়েছে। পাউবোর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারতীয় আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ভারতের সিকিম অঞ্চলে আগামী ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় তিস্তা নদী সংলগ্ন অঞ্চলসমূহে বন্যা পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে ডালিয়া পাউবো সুত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকাল ৫ ঘটিকায় ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা আগামী ২৪ ঘন্টায় বৃদ্ধি পেয়ে ৫০ সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এতে করে নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি গ্রামে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে। যারফলে ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হবে। এছাড়াও পরিবারগুলোর গবাদিপশু পাখি নিয়েও ভীষণ কষ্টের মাঝে দিনাতিপাত করতে হতে পারে।

পাউবো সুত্র আরও জানান, বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজের সবকটি জলকপাট খোলা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পাউবোর সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্কাবস্থায় আছে।

তিস্তা নদীর চরাঞ্চলের ও তীরবর্তী লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকবার জন্য বলা হয়েছে।

১০ নং পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আঃ লতিফ খাঁন বলেন আমার ইউনিয়নের তিনটি গ্রাম প্রতিবার বন্যার স্বীকার হয়। এতে করে দুর্বিষহ জীবন যাপন করে গ্রামের মানুষজন। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এই বন্যা সমস্যার সমাধান আসবে না। একই মন্তব্য করেন টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুর -ই আলম সিদ্দিকী বিডিসমাচার২৪.কমকে বলেন তিস্তার পানি সকাল থেকে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে মর্মে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার যাবতীয় কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে।