ভালুকায় ফ্যাক্টরির নৈশপ্রহরী হত্যা

  • Update Time : ০৩:১৯:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 204

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি ফ্যাক্টরিতে মাসুদ (৩৫) নামে আরেক নৈশপ্রহরীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার মধ্যরাতে উপজেলার পাড়াগাঁও গ্রামে অবস্থিত রানার অটোমোটর্স লিমিটেডে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ হত্যার সাথে জড়িতে ব্যক্তিকে রাতেই আটক করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার মধ্যরাতে উপজেলার পাড়াগাঁও গ্রামে অবস্থিত রানার অটোমোটর্স লিমিটেডের ভেতর নৈশপ্রহরী মাসুদ রাতের ডিউটি করছিলেন। রাত পৌনে ১২টার দিকে অপর নৈশপ্রহরী শিশির সাংমা (৫০) হঠাৎ মাসুদের গায়ে টর্চলাইটের আলো দেয়। এতে দুজনের মাঝে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে শিশির সাংমা মাসুদকে মারাত্মকভাবে আহত করে পাশের একটি পানির গর্তে ফেলে দেয়। খোঁজ পেয়ে সহকর্মীরা মাসুদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গর্ত থেকে তুলে কেন্টিনে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান। পরে শিল্প পুলিশকে খবর দিলে লাশটি উদ্ধার করে ভালুকা মডেল থানায় হস্তান্তর করে।

এ সময় অভিযুক্ত শিশিরকে আটক করে শিল্পপুলিশের হেফাজতে রাখা হয়।

নিহত মাসুদ নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার গন্ডা গ্রামের মৃত সাদে আব্বাস মীরের ছেলে। অভিযুক্ত শিশির একই জেলার দুর্গাপুর উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের পরলোকগত আগনেস সাংমার ছেলে।

শিল্প পুলিশের এসপি মিজানুর রহমান জানান, লাশটি উদ্ধার করে ভালুকা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম জানান, লাশটি মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media


ভালুকায় ফ্যাক্টরির নৈশপ্রহরী হত্যা

Update Time : ০৩:১৯:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি ফ্যাক্টরিতে মাসুদ (৩৫) নামে আরেক নৈশপ্রহরীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার মধ্যরাতে উপজেলার পাড়াগাঁও গ্রামে অবস্থিত রানার অটোমোটর্স লিমিটেডে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ হত্যার সাথে জড়িতে ব্যক্তিকে রাতেই আটক করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার মধ্যরাতে উপজেলার পাড়াগাঁও গ্রামে অবস্থিত রানার অটোমোটর্স লিমিটেডের ভেতর নৈশপ্রহরী মাসুদ রাতের ডিউটি করছিলেন। রাত পৌনে ১২টার দিকে অপর নৈশপ্রহরী শিশির সাংমা (৫০) হঠাৎ মাসুদের গায়ে টর্চলাইটের আলো দেয়। এতে দুজনের মাঝে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে শিশির সাংমা মাসুদকে মারাত্মকভাবে আহত করে পাশের একটি পানির গর্তে ফেলে দেয়। খোঁজ পেয়ে সহকর্মীরা মাসুদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গর্ত থেকে তুলে কেন্টিনে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান। পরে শিল্প পুলিশকে খবর দিলে লাশটি উদ্ধার করে ভালুকা মডেল থানায় হস্তান্তর করে।

এ সময় অভিযুক্ত শিশিরকে আটক করে শিল্পপুলিশের হেফাজতে রাখা হয়।

নিহত মাসুদ নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার গন্ডা গ্রামের মৃত সাদে আব্বাস মীরের ছেলে। অভিযুক্ত শিশির একই জেলার দুর্গাপুর উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের পরলোকগত আগনেস সাংমার ছেলে।

শিল্প পুলিশের এসপি মিজানুর রহমান জানান, লাশটি উদ্ধার করে ভালুকা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম জানান, লাশটি মর্গে পাঠানো হয়েছে।