গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে দম্পতি কারাগারে

  • Update Time : ০৬:১৬:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১
  • / 202

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে গ্রেফতারকৃত দম্পতিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। তারা দু’জন হলেন— মো. তান‌ভীর আহসান এবং তার স্ত্রী অ্যাড‌ভো‌কেট না‌হিদ।

রবিবার (৪ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমানের আদালত এই আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন

এর আগে শনিবার (৩ জুলাই) দিবাগত রাতে সেগুনবাগিচার বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।

এ বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি সোহেল রানা শনিবার রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রায় ৯ মাস আগে শিশুটিকে গ্রাম থেকে বাসার কাজে সহযোগিতার জন্য নিয়ে এসেছিলেন এই দম্পতি। আনার পর থেকেই বিভিন্ন কারণে প্রায়শই তাকে মারধর করা হতো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ব্যক্তির পোস্ট করা ছবির মাধ্যমে জানা যায়, অভাবের তাড়নায় শিশুটিকে রাজধানীর তোপখানা রো‌ডের ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজে দিতে বাধ্য হয়েছেন তার দরিদ্র বাবা-মা।’

তিনি জানান, মেয়েটির চোখের নিচে আঘাতের চিহ্ন, হাতে গুরুতর জখম এবং অপর একটি ছবিতে মেয়েটির পশ্চাৎদেশের উভয় পাশে আগুনে পোড়া ক্ষত চোখে পড়ে। তার গ্রামের বা‌ড়ি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন থানায়।

মেয়েটি দীর্ঘদিন ধরেই নির্যাতিত হয়ে আসলেও কাউকে সে বিষয়টি জানায়নি। সম্প্রতি এক সচেতন ব্যক্তি (পরিচয় জানানো হয়নি) মেয়েটির ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন। সেই ছবি দেখেই মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘মাত্র দেড় ঘণ্টার মধ্যে বিষয়টি পু‌লি‌শের নজরে আসে। এর এক ঘণ্টার মধ্যে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে।’

Please Share This Post in Your Social Media


গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে দম্পতি কারাগারে

Update Time : ০৬:১৬:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে গ্রেফতারকৃত দম্পতিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। তারা দু’জন হলেন— মো. তান‌ভীর আহসান এবং তার স্ত্রী অ্যাড‌ভো‌কেট না‌হিদ।

রবিবার (৪ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমানের আদালত এই আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন

এর আগে শনিবার (৩ জুলাই) দিবাগত রাতে সেগুনবাগিচার বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।

এ বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি সোহেল রানা শনিবার রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রায় ৯ মাস আগে শিশুটিকে গ্রাম থেকে বাসার কাজে সহযোগিতার জন্য নিয়ে এসেছিলেন এই দম্পতি। আনার পর থেকেই বিভিন্ন কারণে প্রায়শই তাকে মারধর করা হতো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ব্যক্তির পোস্ট করা ছবির মাধ্যমে জানা যায়, অভাবের তাড়নায় শিশুটিকে রাজধানীর তোপখানা রো‌ডের ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজে দিতে বাধ্য হয়েছেন তার দরিদ্র বাবা-মা।’

তিনি জানান, মেয়েটির চোখের নিচে আঘাতের চিহ্ন, হাতে গুরুতর জখম এবং অপর একটি ছবিতে মেয়েটির পশ্চাৎদেশের উভয় পাশে আগুনে পোড়া ক্ষত চোখে পড়ে। তার গ্রামের বা‌ড়ি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন থানায়।

মেয়েটি দীর্ঘদিন ধরেই নির্যাতিত হয়ে আসলেও কাউকে সে বিষয়টি জানায়নি। সম্প্রতি এক সচেতন ব্যক্তি (পরিচয় জানানো হয়নি) মেয়েটির ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন। সেই ছবি দেখেই মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘মাত্র দেড় ঘণ্টার মধ্যে বিষয়টি পু‌লি‌শের নজরে আসে। এর এক ঘণ্টার মধ্যে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে।’