আত্মহত্যা এবং শিক্ষকদের দায়

  • Update Time : ১২:০১:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০২২
  • / 302

মো. তানবীর হায়দার: 

শিক্ষা যদি হয় জাতির আলো তাহলে শিক্ষকগণ সে আলোর বাহক। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষকতার মতন মহান পেশার বাহকরা নিজেদের দায় থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন।

শ্রেণীকক্ষে পাঠদান করাটাই একজন শিক্ষকের মূখ্য দায় নয়। বরং শ্রেণীতে পাঠদানের বাইরেও শিক্ষকদের দায় আরো অনেক বেশি। ভালো পাঠদান আর খাতা ভর্তি নাম্বার দেওয়াটাই যদি হয় একজন শিক্ষকের একমাত্র দায়িত্ব তাহলে সেটা শিক্ষা এবং শিক্ষক শব্দদ্বয়ের সাথে সাংঘর্ষিক।

ছাত্রছাত্রীরা সন্তানের মতন না ওরা আমাদের সন্তান। তাদের খোঁজখবর রেখে মানসিকভাবে চাঙ্গা করে রাখাটাকে যদি একজন শিক্ষক তার দায়িত্ব মনে করেন তাহলে দেখা যাবে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ বাড়বে এবং ছাত্রছাত্রীবান্ধব একটি পরিবেশ তৈরি হবে কিন্তু দুঃখের ব্যাপার শিক্ষা জায়গাটাকে নিজেদের আয় বা রাজনৈতিক মঞ্চ হিসেবে গ্রহণকারী কিছু নামধারী শিক্ষক, শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্যে থেকে নিজেকে এবং নিজের শিষ্যদেরকে বঞ্চিত করে রেখেছেন।

আমাদের শিক্ষার্থীরা মেধার মূল্যায়ন না পেয়ে হতাশায় নিমজ্জিত হচ্ছে এবং পরিশেষে তাদের নির্মম পরিণতি মোটেই কাম্য নয়। শুধুমাত্র পাঠদানে সীমাবদ্ধ না থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিকে বিকাশে পরিবারের পাশাপাশি শিক্ষক সমাজকে বড় পদক্ষেপ নিতে হবে। মহান পেশার মহান মানুষদের ছোট একটি পদক্ষেপ হয়তো কমাতে পারে আত্মহত্যার মতন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।

লেখকঃ শিক্ষক (আইবি),
আব্দুল কাদির মোল্লা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


আত্মহত্যা এবং শিক্ষকদের দায়

Update Time : ১২:০১:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০২২

মো. তানবীর হায়দার: 

শিক্ষা যদি হয় জাতির আলো তাহলে শিক্ষকগণ সে আলোর বাহক। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষকতার মতন মহান পেশার বাহকরা নিজেদের দায় থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন।

শ্রেণীকক্ষে পাঠদান করাটাই একজন শিক্ষকের মূখ্য দায় নয়। বরং শ্রেণীতে পাঠদানের বাইরেও শিক্ষকদের দায় আরো অনেক বেশি। ভালো পাঠদান আর খাতা ভর্তি নাম্বার দেওয়াটাই যদি হয় একজন শিক্ষকের একমাত্র দায়িত্ব তাহলে সেটা শিক্ষা এবং শিক্ষক শব্দদ্বয়ের সাথে সাংঘর্ষিক।

ছাত্রছাত্রীরা সন্তানের মতন না ওরা আমাদের সন্তান। তাদের খোঁজখবর রেখে মানসিকভাবে চাঙ্গা করে রাখাটাকে যদি একজন শিক্ষক তার দায়িত্ব মনে করেন তাহলে দেখা যাবে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ বাড়বে এবং ছাত্রছাত্রীবান্ধব একটি পরিবেশ তৈরি হবে কিন্তু দুঃখের ব্যাপার শিক্ষা জায়গাটাকে নিজেদের আয় বা রাজনৈতিক মঞ্চ হিসেবে গ্রহণকারী কিছু নামধারী শিক্ষক, শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্যে থেকে নিজেকে এবং নিজের শিষ্যদেরকে বঞ্চিত করে রেখেছেন।

আমাদের শিক্ষার্থীরা মেধার মূল্যায়ন না পেয়ে হতাশায় নিমজ্জিত হচ্ছে এবং পরিশেষে তাদের নির্মম পরিণতি মোটেই কাম্য নয়। শুধুমাত্র পাঠদানে সীমাবদ্ধ না থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিকে বিকাশে পরিবারের পাশাপাশি শিক্ষক সমাজকে বড় পদক্ষেপ নিতে হবে। মহান পেশার মহান মানুষদের ছোট একটি পদক্ষেপ হয়তো কমাতে পারে আত্মহত্যার মতন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।

লেখকঃ শিক্ষক (আইবি),
আব্দুল কাদির মোল্লা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।