ঢাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ধর্মানুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ

  • Update Time : ০৭:১৩:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১
  • / 214

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনের বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাতের অভিযোগে শাহবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমিত ভৌমিক।

শনিবার (২৪ জুলাই) তিনি এই অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়া বাংলাদেশ হিন্দু আইনজীবী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি ওই অধ্যাপকের পদত্যাগ চেয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে।

গত ২৩ জুলাই হাফিজুর রহমান কার্জন তার ফেসবুক পেইজে একটি পোস্টে হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

শাহবাগ থানায় অভিযোগ করার বিষয়ে অমিত ভৌমিক জানান, গতকাল (২৪ জুলাই) আমরা শাহবাগ থানায় অভিযোগ দিয়েছি এবং থানা সেটা গ্রহণ করেছে। এটা যাতে মামলা হয় সেজন্য ওসি মহোদয় তৎক্ষণাৎ ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আমরা সেখানকার তদন্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি এবং বেশ পজিটিভ পেয়েছি। কাউকে কষ্ট দিয়ে নিজের সুখ পাওয়ার বিষয়টি যাতে বন্ধ হয় সেজন্য আমরা পদক্ষেপটি নিয়েছি। তদন্ত কর্মকর্তা আমাদের থেকে আজ এবং আগামীকাল এই দুদিন সময় নিয়েছেন। এরপরে আমরা বিষয়টি নিয়ে অগ্রগামী হবো।

তবে ধর্মীয় অনুভূতিতে ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত হেনে পোস্টটি ফেসবুকে দেননি বলে দাবি করেন হাফিজুর রহমান কার্জন। তিনি বলেন, এটা মোটেও স্বেচ্ছাকৃত পোস্ট ছিল না। ফেসবুকে বিভিন্ন রকমের সংগৃহীত, মেটাফোরিক্যাল স্টোরি ঘুরে বেড়ায়, এটা ঠিক সেরকমই ছিল।

ঢাবি অধ্যাপক বলেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার প্রশ্নই আসে না। আমি আমার ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েছি। ক্ষমা চাওয়ার পরে তো আর কিছু থাকে না। অনেকেই ফেসবুক পোস্টে নানা রকম ফানি, পলিটিক্যাল, সোস্যাল বিষয় শেয়ার করে। আমিও সেভাবে বিষয়টিকে শেয়ার করেছিলাম। হয়তো কোনো জায়গায় ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি মনে করি, ধর্মীয় অনুভূতিতে কারো আঘাত করা ঠিক না। তাই আমার অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।’

হাফিজুর রহমান কার্জন তার দেওয়া পোস্টটি ডিলেট করে ক্ষমা চেয়ে ফেসবুকে একটি পোস্টও দিয়েছেন। সেই পোস্টে তিনি লিখেন, অনেকে ব্যক্তিগত ও সামষ্টিকভাবে আমার পোস্টটিতে আহত হয়েছেন। যারা আমার পোস্টটিতে আহত হয়েছেন ও কষ্ট পেয়েছেন, তার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।

সাধারণ ডায়েরির বিষয়ে শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মওদুত হাওলাদার বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমরা সাধারণ ডায়েরি হিসেবে নিয়েছি। অধিক যাচাই-বাছাই করার জন্য ডিবি সাইবার ক্রাইম ইউনিটে পাঠিয়েছি। বিষয়টি বিবেচনা করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র: ঢাকাটাইমস

Please Share This Post in Your Social Media


ঢাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ধর্মানুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ

Update Time : ০৭:১৩:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনের বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাতের অভিযোগে শাহবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমিত ভৌমিক।

শনিবার (২৪ জুলাই) তিনি এই অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়া বাংলাদেশ হিন্দু আইনজীবী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি ওই অধ্যাপকের পদত্যাগ চেয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে।

গত ২৩ জুলাই হাফিজুর রহমান কার্জন তার ফেসবুক পেইজে একটি পোস্টে হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

শাহবাগ থানায় অভিযোগ করার বিষয়ে অমিত ভৌমিক জানান, গতকাল (২৪ জুলাই) আমরা শাহবাগ থানায় অভিযোগ দিয়েছি এবং থানা সেটা গ্রহণ করেছে। এটা যাতে মামলা হয় সেজন্য ওসি মহোদয় তৎক্ষণাৎ ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আমরা সেখানকার তদন্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি এবং বেশ পজিটিভ পেয়েছি। কাউকে কষ্ট দিয়ে নিজের সুখ পাওয়ার বিষয়টি যাতে বন্ধ হয় সেজন্য আমরা পদক্ষেপটি নিয়েছি। তদন্ত কর্মকর্তা আমাদের থেকে আজ এবং আগামীকাল এই দুদিন সময় নিয়েছেন। এরপরে আমরা বিষয়টি নিয়ে অগ্রগামী হবো।

তবে ধর্মীয় অনুভূতিতে ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত হেনে পোস্টটি ফেসবুকে দেননি বলে দাবি করেন হাফিজুর রহমান কার্জন। তিনি বলেন, এটা মোটেও স্বেচ্ছাকৃত পোস্ট ছিল না। ফেসবুকে বিভিন্ন রকমের সংগৃহীত, মেটাফোরিক্যাল স্টোরি ঘুরে বেড়ায়, এটা ঠিক সেরকমই ছিল।

ঢাবি অধ্যাপক বলেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার প্রশ্নই আসে না। আমি আমার ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েছি। ক্ষমা চাওয়ার পরে তো আর কিছু থাকে না। অনেকেই ফেসবুক পোস্টে নানা রকম ফানি, পলিটিক্যাল, সোস্যাল বিষয় শেয়ার করে। আমিও সেভাবে বিষয়টিকে শেয়ার করেছিলাম। হয়তো কোনো জায়গায় ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি মনে করি, ধর্মীয় অনুভূতিতে কারো আঘাত করা ঠিক না। তাই আমার অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।’

হাফিজুর রহমান কার্জন তার দেওয়া পোস্টটি ডিলেট করে ক্ষমা চেয়ে ফেসবুকে একটি পোস্টও দিয়েছেন। সেই পোস্টে তিনি লিখেন, অনেকে ব্যক্তিগত ও সামষ্টিকভাবে আমার পোস্টটিতে আহত হয়েছেন। যারা আমার পোস্টটিতে আহত হয়েছেন ও কষ্ট পেয়েছেন, তার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।

সাধারণ ডায়েরির বিষয়ে শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মওদুত হাওলাদার বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমরা সাধারণ ডায়েরি হিসেবে নিয়েছি। অধিক যাচাই-বাছাই করার জন্য ডিবি সাইবার ক্রাইম ইউনিটে পাঠিয়েছি। বিষয়টি বিবেচনা করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র: ঢাকাটাইমস