ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পতাকা উত্তোলন দিবস’ উদযাপিত
- Update Time : ০৩:০৫:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪
- / 132
জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘পতাকা উত্তোলন দিবস’ উদযাপিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় এ দিবস উদযাপন করা হয়।
শনিবার (০২ মার্চ) ‘পতাকা উত্তোলন দিবস’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন এবং বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রফিকুল আলম। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সিনেট ও
সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী চিন্তাভাবনা ও নির্দেশনায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নির্মাণ ও উত্তোলন করা হয়। আমাদের মুক্তিসংগ্রামের ঐতিহাসিক ঘটনাপ্রবাহে এই জাতীয় পতাকা উত্তোলন একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য অধ্যায় অ্যাখ্যায়িত করে তিনি বলেন, এই পতাকা কখন, কোথায়, কিভাবে নির্মাণ ও উত্তোলন করা হবে তা বঙ্গবন্ধু আগেই নির্ধারণ করে রেখেছিলেন।
উপাচার্য আরও বলেন, জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে পাকিস্তান রাষ্ট্রের মৃত্যু পরোয়ানা রচিত হয়েছিলো। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু একজন দূরদর্শী নেতা ছিলেন এবং এই মহান নেতা আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে ধাপে ধাপে আমাদেরকে স্বাধীনতার দিকে নিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তরুণ প্রজন্মকে জানতে হবে এবং জানাতে হবে। এসব ইতিহাস সঠিকভাবে জানলে তরুণ প্রজন্ম কখনও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি দ্বারা বিভ্রান্ত হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সভাপতির ভাষণে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ পতাকা উত্তোলনের পটভূমি তুলে ধরে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পতাকা উত্তোলন দিবসের তাৎপর্য অপরিসীম। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ, ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ
দেশ ও জাতির গৌরবগাঁথা ইতিহাস, ঐতিহ্য, অর্জন এবং বিভিন্ন দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে জানতে হবে।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার পতাকা উত্তোলন দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, ২রা মার্চ পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমেই বিশ্বকে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অস্তিত্ব জানান দেয়া হয়েছিলো। আমাদের মুক্তিসংগ্রামের যে
ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল তার নির্দেশনা ও নেতৃত্বে ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ পতাকা উত্তোলনের ইতিহাস বিস্তারিতভাবে তুলে ধরে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস ও অজর্ন প্রজন্ম পরম্পরায় বহন করে নিতে হবে। আলোচনা পর্বের আগে বিশ্ববিদ্যালয় কলাভবন সংলগ্ন বটতলা প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগ ও নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়।
আলোচনা পর্ব শেষে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম সংগীত পরিবেশন করেন। এছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগ এবং নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা দেশের গান ও নৃত্য পরিবেশন করে।