খুলনায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন

  • Update Time : ০১:৫৪:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / 68

খুলনা প্রতিনিধি:;

খুলনার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের দায়ে রাফি ইসলাম (৩০) নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আব্দুস সালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন।

খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ বলেন, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে মামলার আসামি রাফি ইসলাম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে সোনাডাঙ্গার একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার ছেলের পরিবারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলেও সমাধান হয়নি। আসামি একাধিকবার ভুক্তভোগীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী ২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশনায় একই বছরের ১১ জানুয়ারি সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করে। পরে ২০২৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের (এসআই) উপপরিদর্শক সোহেল রানা আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলায় সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। বুধবার আদালতে মামলার আসামি রাফি ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আদালতের এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি। কারণ শিক্ষার্থীদেরকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের ঘটনা অহরহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমরা দেখতে পাই। এরকম ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে এবং দেশে আইনের শাসন বিদ্যমান আছে সেটাই প্রমাণ হলো এই রায়ের মাধ্যমে। ভবিষ্যতে আর কেউ যেন কোনো মেয়ের সর্বনাশ না করতে পারে, সেজন্য এ রায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। উচ্চ আদালতেও এই রায় বহাল রাখবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


খুলনায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন

Update Time : ০১:৫৪:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

খুলনা প্রতিনিধি:;

খুলনার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের দায়ে রাফি ইসলাম (৩০) নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আব্দুস সালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন।

খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ বলেন, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে মামলার আসামি রাফি ইসলাম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে সোনাডাঙ্গার একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার ছেলের পরিবারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলেও সমাধান হয়নি। আসামি একাধিকবার ভুক্তভোগীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী ২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশনায় একই বছরের ১১ জানুয়ারি সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করে। পরে ২০২৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের (এসআই) উপপরিদর্শক সোহেল রানা আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলায় সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। বুধবার আদালতে মামলার আসামি রাফি ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আদালতের এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি। কারণ শিক্ষার্থীদেরকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের ঘটনা অহরহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমরা দেখতে পাই। এরকম ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে এবং দেশে আইনের শাসন বিদ্যমান আছে সেটাই প্রমাণ হলো এই রায়ের মাধ্যমে। ভবিষ্যতে আর কেউ যেন কোনো মেয়ের সর্বনাশ না করতে পারে, সেজন্য এ রায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। উচ্চ আদালতেও এই রায় বহাল রাখবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।