সিসিটিভির ফুটেজ সংরক্ষণের জন্য দাবি কুবি শিক্ষক সমিতির

  • Update Time : ০৮:৩২:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / 84

কুবি প্রতিনিধি:

উপাচার্যের কক্ষে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ভবন, উপাচার্যের কার্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে সংস্থাপিত সিসিটিভিসমূহের বিগত এক মাসের ফুটেজ সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতি।

রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে জানা যায়।

চিঠিতে বলা হয়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতির সদস্যরা উপাচার্যের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় কর্মকর্তার নেতৃত্বে অছাত্র ও বহিরাগত সন্ত্রাসী উপাচার্যের দপ্তরে অবস্থিত শিক্ষকদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ হামলার সময় প্রক্টরিয়াল বডি নির্বিকার ভূমিকা পালন করে।

এছাড়াও প্রক্টরিয়াল বডির যোগসাজশেই এ হামলা করা হয় বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

চিঠিতে আরো বলা হয়, উপাচার্য বহিরাগত কাউকেই চিনেন না বলে মন্তব্য করেন। অথচ সেই দুর্বৃত্তরাই উপাচার্যের কক্ষে সেদিন তার পক্ষে স্লোগান দেয়। এমনকি নিকট অতীত ও সাম্প্রতিক সময় সহ ২০ ফেব্রুয়ারি হামলাকারী বিভিন্ন কর্মকর্তা ও বহিরাগতদের সাথে সভা করতে দেখা যায়।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তারিখে উপাচার্যের কক্ষে ঘটা সমস্ত ঘটনার তথ্য প্রমাণ বিভিন্ন মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও, বিশ্ববিদ্যালয় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও ফোন কল রেকর্ড অনুসন্ধান করলে আসল সত্য বেরিয়ে আসবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সিসিটিভির ফুটেজ সংরক্ষণের জন্য দাবি কুবি শিক্ষক সমিতির

Update Time : ০৮:৩২:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কুবি প্রতিনিধি:

উপাচার্যের কক্ষে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ভবন, উপাচার্যের কার্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে সংস্থাপিত সিসিটিভিসমূহের বিগত এক মাসের ফুটেজ সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতি।

রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে জানা যায়।

চিঠিতে বলা হয়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতির সদস্যরা উপাচার্যের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় কর্মকর্তার নেতৃত্বে অছাত্র ও বহিরাগত সন্ত্রাসী উপাচার্যের দপ্তরে অবস্থিত শিক্ষকদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ হামলার সময় প্রক্টরিয়াল বডি নির্বিকার ভূমিকা পালন করে।

এছাড়াও প্রক্টরিয়াল বডির যোগসাজশেই এ হামলা করা হয় বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

চিঠিতে আরো বলা হয়, উপাচার্য বহিরাগত কাউকেই চিনেন না বলে মন্তব্য করেন। অথচ সেই দুর্বৃত্তরাই উপাচার্যের কক্ষে সেদিন তার পক্ষে স্লোগান দেয়। এমনকি নিকট অতীত ও সাম্প্রতিক সময় সহ ২০ ফেব্রুয়ারি হামলাকারী বিভিন্ন কর্মকর্তা ও বহিরাগতদের সাথে সভা করতে দেখা যায়।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তারিখে উপাচার্যের কক্ষে ঘটা সমস্ত ঘটনার তথ্য প্রমাণ বিভিন্ন মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও, বিশ্ববিদ্যালয় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও ফোন কল রেকর্ড অনুসন্ধান করলে আসল সত্য বেরিয়ে আসবে।