কুবিসাস’র ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, প্রকাশনা উৎসব ও দায়িত্ব হস্তান্তর
- Update Time : ১১:২২:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / 72
কুবি প্রতিনিধি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক সমিতির (কুবিসাস) এর ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন, প্রকাশনা উৎসব ও কার্যনির্বাহী পরিষদ-২০২৪ এর দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে তিনটায় বিজ্ঞান অনুষদের হলরুমে ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে কেক কেটে অনুষ্ঠানটি শুরু করেন প্রধান অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
অনুষ্ঠানে কার্যনির্বাহী কমিটি-২০২৩ এর সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ইউসুফ আকাশের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি মুহা. মহিউদ্দীন মাহি’র সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ও প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সর্বশেষ কমিটির সভাপতি ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী ও পিআইবি এর প্রশাসন পরিচালক মো: জাকির হোসেন।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে উপ-উপাচার্য মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির স্লোগান “সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল”। তবে সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকা এত সহজ না। এটা ফেব্রুয়ারি মাস বাঙালির জীবনে একটা মাহেন্দ্রক্ষণ। আড়ায় হাজার বছরের বাঙালির যে ইতিহাস সেই ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম সময় ১৯৪৮ ও ৫২ সালের ভাষা আন্দোলন। ভাষা আন্দোলন আমাদের শিখিয়েছে মাথা নত না করার। সত্যের পথে অবিচল থাকতে।
তিনি আরও বলেন, ভালে-মন্দ পাশাপাশি থাকে। সেখানে থেকে আমাদের ভালোকে বেছে নিতে হবে। আজ কুবিসাস’র ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে। যেটা একটা গৌরবের দিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ বছরের যে অর্জন রয়েছে। সেই অর্জনের পিছনে সাংবাদিকদের অনেক অবদান রয়েছে। আমাদের বড় বড় অর্জনগুলো জাতি জানতে পারে সাংবাদিকদের মাধ্যমে। তিনি আরোও আহ্বান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংগতি ও সাফল্যগুলো তুলে ধরতে।
প্রধান আলোচক ও পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, দুর্নীতি নিয়ে দেওয়া বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি আলোচনায় আসেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। বর্তমানে শুধু এই উপাচার্য নয়, অনেক উপাচার্যের এমন ঘটনা রয়েছে। মূলত মেধাবীরা উপাচার্যের পদে আসতে চায় না। যার কারণে বর্তমানে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিককে বহিষ্কার খুবই নিন্দনীয় একটি ঘটনা। এর ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রভাব সমাজেও পড়বে। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থা এমন থাকবেই তবুও আপনাদের কাজ করতে হবে। সাংবাদিকদের ঝুঁকি নিতেই হবে। সাংবাদিকদের কিছু কিছু বিষয়ে অ্যাক্টিভিসস্ট হতে হবে। কেননা সাংবাদিকরা জনগণের জনমত তৈরি করে।
কুবিসাসের সভাপতি মহিউদ্দিন মাহি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রা থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির যাত্রা শুরু হয়। কুবিসাসের এক দশকের পথ চলা সবসময় প্রতিবন্ধকতা ছিল। বিভিন্ন সময় সমিতির সদস্যদের হুমকি ধামকি দিয়ে আসা হতো। এমনকি বন্দুক দিয়ে মাথায় খুলি উড়িয়ে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। তবুও সমিতির কোনো সদস্য কারো কাছে মাথা নত করেনি। গতবছর আমাদের এক সহকর্মীকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে তবুও আমরা কোথাও আপস করি নাই। সমিতির সদস্যরা সবসময় দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছে।
আরও উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশল অনুষদের ডিন ড. মাহামুদুল হাসান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এন এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী,
সাবেক রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র দেব, অধ্যাপক ড. জি. এম. মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক ড. মো. শামিমুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল হক, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান, সহযোগী অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস, সহকারী অধ্যাপক মো. মুর্শেদ রায়হান, সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক আবু বক্কর ছিদ্দিক মাসুম, সহকারী অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ রাজু, প্রভাষক সোহরাব হুসাইন, প্রভাষক মো. কামরুল হাসানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলার প্রতিনিধি প্রতিনিধি আবু মুসা, শাহজাদা এমরান, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের তানভীর দীপু, দৈনিক বাংলা প্রতিনিধি মাহফুজ নান্টু, এটিএন নিউজের প্রতিনিধি আনোয়ার হোসাইন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।