নেতাকর্মীদের ওপর গুলির অভিযোগ, বরিশাল থেকে বাস-লঞ্চ বন্ধ

  • Update Time : ১১:১৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২১
  • / 182

বরিশাল প্রতিনিধি:

বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সকাল থেকে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা বরিশাল থেকে লঞ্চ ও বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছেন বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছানোর অপেক্ষায় থাকা সাধারণ যাত্রীরা।

মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি পরিমল চন্দ্র রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বুধবার রাতে আকস্মিকভাবে সিটি মেয়র ও আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এতে আমাদের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এমনকি অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন সিটি মেয়র। এ ঘটনায় অহেতুক নেতাকর্মীদের আটকও করা হয়।

ঘটনার সঠিক বিচার দাবিতে শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানান পরিমল।

এদিকে গণপরিবহন ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। সকাল থেকে বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে বিকল্প মাধ্যমে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। বেশি অর্থ খরচ এবং কষ্ট করে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে তাদের।

একাধিক যাত্রী অভিযোগ করেন, ঘটনার সঙ্গে বাস ও লঞ্চের কোনও যোগসূত্র নেই। তবে কেন তাদের জিম্মি করে এভাবে বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারা দ্রুত বাস ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক করার দাবি জানান।

বুধবার রাতে বরিশাল সদর উপজেলা ইউএনও’র বাসভবনে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় আনসার ও পুলিশ সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালান বলে জানা গেছে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ওসি ও প্যানেল মেয়রসহ সাত জন। এছাড়া পুলিশের লাঠিচার্জে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন বলে জানা গেছে।

Please Share This Post in Your Social Media


নেতাকর্মীদের ওপর গুলির অভিযোগ, বরিশাল থেকে বাস-লঞ্চ বন্ধ

Update Time : ১১:১৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২১

বরিশাল প্রতিনিধি:

বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সকাল থেকে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা বরিশাল থেকে লঞ্চ ও বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছেন বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছানোর অপেক্ষায় থাকা সাধারণ যাত্রীরা।

মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি পরিমল চন্দ্র রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বুধবার রাতে আকস্মিকভাবে সিটি মেয়র ও আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এতে আমাদের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এমনকি অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন সিটি মেয়র। এ ঘটনায় অহেতুক নেতাকর্মীদের আটকও করা হয়।

ঘটনার সঠিক বিচার দাবিতে শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানান পরিমল।

এদিকে গণপরিবহন ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। সকাল থেকে বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে বিকল্প মাধ্যমে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। বেশি অর্থ খরচ এবং কষ্ট করে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে তাদের।

একাধিক যাত্রী অভিযোগ করেন, ঘটনার সঙ্গে বাস ও লঞ্চের কোনও যোগসূত্র নেই। তবে কেন তাদের জিম্মি করে এভাবে বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারা দ্রুত বাস ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক করার দাবি জানান।

বুধবার রাতে বরিশাল সদর উপজেলা ইউএনও’র বাসভবনে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় আনসার ও পুলিশ সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালান বলে জানা গেছে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ওসি ও প্যানেল মেয়রসহ সাত জন। এছাড়া পুলিশের লাঠিচার্জে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন বলে জানা গেছে।