আগস্টের হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে একটি পরিবার: ডা. মুরাদ হাসান

  • Update Time : ০৮:২৩:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অগাস্ট ২০২১
  • / 265

নিজস্ব প্রতিবেদক:

‘যিনি বাংলাদেশের ইতিহাস নির্মাণ করলেন, বাঙালি জাতিসত্তার সংজ্ঞা নির্ধারণ করলেন, যিনি বাঙালি জাতির আজন্ম লালিত স্বপ্ন স্বাধীনতা জীবনের সব সুখ উৎসর্গ করে দিয়ে গেলেন তাঁর সম্পর্কে আমাদের সঠিকভাবে জানতে হবে। জাতির পিতাকে সপিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করল কারা? একটি পরিবার। বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে জানতে হবে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড, মূল পরিকল্পনাকারী কে? সেই খুনী হলো জিয়াউর রহমান।সেই খুনীর মুখোশ উন্মোচন এখন সময়ের দাবী উল্লেখ করে তিনি বলেন মেজর জিয়ার মরণোত্তর বিচার করতেই হবে।’

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের স্মরণে রোববার (২২আগস্ট) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে একথা বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।

ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক এ নেতা তাঁর সামনে উপবিস্ট ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মনে রাখতে হবে আমার সন্তানদের জন্য, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য, ভবিষ্যতের বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু’র বাংলাদেশ, সোনার বাংলাদেশ, শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ যারা বিনির্মাণ করবে তাদের জন্য আমরা রাজনীতি করি। সেই ভবিষ্যত কান্ডারীদের জানাতে হবে জিয়াউর রহমান কে, খালেদা জিয়া কে? বেগম জিয়া চিত্রনায়িকা হতে এফডিসিতে এসেছিল, সেই চিত্রনায়িরা প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছিল কীভাবে তা আমাদের জানতে হবে। মেজর জিয়া হত্যাকাণ্ডের সময় খালেদা জিয়া পাশের রুমে ছিল। এই খালেদা জিয়া সবই জানত, সেই তার স্বামীর হত্যাকাণ্ডের প্রধান খুনী। এই ইতিহাস সবাইকে জানতে হবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আগস্ট এলেই শোকের বেদনার সাতকাহন রচিত হয়। আগস্ট এলেই ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে যারা বাধা সৃষ্টি করেছিল তাদের পৈশাচিক উন্মাদনা শুরু হয়। আগস্ট এলেই স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদীদের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়।’

এছাড়াও তিনি আরও বলেন, ২০০৪ সালে সংগঠিত হয় সভ্যতার ইতিহাসে অকল্পনীয় এক নারকীয় রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞ। গ্রেনেডের হিংস্র দানবীয় ধ্বংসযজ্ঞ আক্রান্ত করে মানবতাকে। বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণ সেদিন মুহূর্তেই
পরিণত হয়েছিলো মৃত্যুপুরীতে।

জেনারেল জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, এটি দিবালোকের মতো সত্য’ দাবি করে নানক বলেন, মূল ষড়যন্ত্রকারী জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার চাই।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি. এম মোজাম্মেল হক এবং বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন মেজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী (অব.)। তিনি ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার তদন্ত কমিটির প্রধান সমন্বয় ও মামলার অন্যতম সাক্ষী তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।

Please Share This Post in Your Social Media


আগস্টের হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে একটি পরিবার: ডা. মুরাদ হাসান

Update Time : ০৮:২৩:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

‘যিনি বাংলাদেশের ইতিহাস নির্মাণ করলেন, বাঙালি জাতিসত্তার সংজ্ঞা নির্ধারণ করলেন, যিনি বাঙালি জাতির আজন্ম লালিত স্বপ্ন স্বাধীনতা জীবনের সব সুখ উৎসর্গ করে দিয়ে গেলেন তাঁর সম্পর্কে আমাদের সঠিকভাবে জানতে হবে। জাতির পিতাকে সপিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করল কারা? একটি পরিবার। বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে জানতে হবে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড, মূল পরিকল্পনাকারী কে? সেই খুনী হলো জিয়াউর রহমান।সেই খুনীর মুখোশ উন্মোচন এখন সময়ের দাবী উল্লেখ করে তিনি বলেন মেজর জিয়ার মরণোত্তর বিচার করতেই হবে।’

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের স্মরণে রোববার (২২আগস্ট) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে একথা বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।

ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক এ নেতা তাঁর সামনে উপবিস্ট ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মনে রাখতে হবে আমার সন্তানদের জন্য, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য, ভবিষ্যতের বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু’র বাংলাদেশ, সোনার বাংলাদেশ, শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ যারা বিনির্মাণ করবে তাদের জন্য আমরা রাজনীতি করি। সেই ভবিষ্যত কান্ডারীদের জানাতে হবে জিয়াউর রহমান কে, খালেদা জিয়া কে? বেগম জিয়া চিত্রনায়িকা হতে এফডিসিতে এসেছিল, সেই চিত্রনায়িরা প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছিল কীভাবে তা আমাদের জানতে হবে। মেজর জিয়া হত্যাকাণ্ডের সময় খালেদা জিয়া পাশের রুমে ছিল। এই খালেদা জিয়া সবই জানত, সেই তার স্বামীর হত্যাকাণ্ডের প্রধান খুনী। এই ইতিহাস সবাইকে জানতে হবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আগস্ট এলেই শোকের বেদনার সাতকাহন রচিত হয়। আগস্ট এলেই ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে যারা বাধা সৃষ্টি করেছিল তাদের পৈশাচিক উন্মাদনা শুরু হয়। আগস্ট এলেই স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদীদের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়।’

এছাড়াও তিনি আরও বলেন, ২০০৪ সালে সংগঠিত হয় সভ্যতার ইতিহাসে অকল্পনীয় এক নারকীয় রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞ। গ্রেনেডের হিংস্র দানবীয় ধ্বংসযজ্ঞ আক্রান্ত করে মানবতাকে। বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণ সেদিন মুহূর্তেই
পরিণত হয়েছিলো মৃত্যুপুরীতে।

জেনারেল জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, এটি দিবালোকের মতো সত্য’ দাবি করে নানক বলেন, মূল ষড়যন্ত্রকারী জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার চাই।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি. এম মোজাম্মেল হক এবং বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন মেজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী (অব.)। তিনি ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার তদন্ত কমিটির প্রধান সমন্বয় ও মামলার অন্যতম সাক্ষী তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।