বক্তা আটক, কাদের মির্জার বিরুদ্ধে হেফাজতের সমাবেশ

  • Update Time : ০২:১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 214

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দুই বক্তাকে অপমান এবং আটক করে পুলিশে দেওয়ার অভিযোগে নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। কাদের মির্জা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।

সমাবেশের আয়োজকরা জানিয়েছেন, কোম্পানীগঞ্জে আয়োজিত একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে দুই বক্তাকে আটক এবং অপমান করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার প্রতিবাদে তারা এই সমাবেশের ডাক দিয়েছেন।

জানা গেছে, আজ বুধবার বিকাল ৩টায় হেফাজতে ইসলামের নোয়াখালী জেলা শাখার উদ্যোগে জেলা জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নোয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি শিব্বির আহমদ।

তিনি জানান, আজকের সমাবেশে হেফাজতে ইসলাম ছাড়াও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক) এবং অন্যান্য ইসলামী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন।

জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জের বড় রাজাপুর গ্রামের ছিদ্দিকিয়া নুরানি মাদ্রাসায় গত বুধবার রাতে একটি ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন আবদুল কাদের মির্জা। যিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি।

maolana unus ahmedআটকদের একজন মাওলানা ইউনুছ আহমদ

হেফাজতের অভিযোগ, ওই মাহফিলে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন- এমন অভিযোগ এনে আবদুল কাদের মির্জা মো. ইউনুছ ও ইমরান হোসেন নামের দুই বক্তাকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পরের দিন পুলিশ ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে দুই বক্তাকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠায়। শুনানি শেষে তাদের জামিনে মুক্তি দেন আদালত।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

শিব্বির আহমদ অভিযোগ করে বলেন, ‘দুই বক্তাকে মাহফিল থেকে অত্যন্ত অপমানজনকভাবে ধরে নিয়ে যান আবদুল কাদের মির্জা এবং পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন। সরকারবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড করছে না হেফাজতে ইসলাম। অথচ দুই বক্তাকে প্রকাশ্যে অপমান করেছেন কাদের মির্জা। এ ঘটনার প্রতিবাদ এবং বিচারের দাবিতেই সমাবেশ ডাকা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন বলছেন, হেফাজতের একটি সংবাদ সম্মেলন করার কথা তিনি জানতে পেরেছেন। কোনো সমাবেশের কথা তার জানা নেই। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে জানান তিনি।

অবশ্য জেলা প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম জানান, তিনি হেফাজতের সমাবেশের বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছেন। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি অব্যাহত আছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বক্তা আটক, কাদের মির্জার বিরুদ্ধে হেফাজতের সমাবেশ

Update Time : ০২:১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দুই বক্তাকে অপমান এবং আটক করে পুলিশে দেওয়ার অভিযোগে নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। কাদের মির্জা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।

সমাবেশের আয়োজকরা জানিয়েছেন, কোম্পানীগঞ্জে আয়োজিত একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে দুই বক্তাকে আটক এবং অপমান করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার প্রতিবাদে তারা এই সমাবেশের ডাক দিয়েছেন।

জানা গেছে, আজ বুধবার বিকাল ৩টায় হেফাজতে ইসলামের নোয়াখালী জেলা শাখার উদ্যোগে জেলা জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নোয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি শিব্বির আহমদ।

তিনি জানান, আজকের সমাবেশে হেফাজতে ইসলাম ছাড়াও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক) এবং অন্যান্য ইসলামী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন।

জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জের বড় রাজাপুর গ্রামের ছিদ্দিকিয়া নুরানি মাদ্রাসায় গত বুধবার রাতে একটি ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন আবদুল কাদের মির্জা। যিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি।

maolana unus ahmedআটকদের একজন মাওলানা ইউনুছ আহমদ

হেফাজতের অভিযোগ, ওই মাহফিলে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন- এমন অভিযোগ এনে আবদুল কাদের মির্জা মো. ইউনুছ ও ইমরান হোসেন নামের দুই বক্তাকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পরের দিন পুলিশ ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে দুই বক্তাকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠায়। শুনানি শেষে তাদের জামিনে মুক্তি দেন আদালত।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

শিব্বির আহমদ অভিযোগ করে বলেন, ‘দুই বক্তাকে মাহফিল থেকে অত্যন্ত অপমানজনকভাবে ধরে নিয়ে যান আবদুল কাদের মির্জা এবং পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন। সরকারবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড করছে না হেফাজতে ইসলাম। অথচ দুই বক্তাকে প্রকাশ্যে অপমান করেছেন কাদের মির্জা। এ ঘটনার প্রতিবাদ এবং বিচারের দাবিতেই সমাবেশ ডাকা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন বলছেন, হেফাজতের একটি সংবাদ সম্মেলন করার কথা তিনি জানতে পেরেছেন। কোনো সমাবেশের কথা তার জানা নেই। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে জানান তিনি।

অবশ্য জেলা প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম জানান, তিনি হেফাজতের সমাবেশের বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছেন। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি অব্যাহত আছে।