চার বছরেও সংস্কার হয়নি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা! ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ

  • Update Time : ০৭:৫২:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 158
এনামুল হক, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে চার বছরেও সংস্কার করা হয়নি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা। এতে ভোগান্তিতে রয়েছে ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষ।
.
উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের তালুক বেলকা গ্রামের আত্তাব আলীর বাড়ী থেকে শ্যামরায়ের পাঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ২’শ মিটার কাঁচা রাস্তা ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় ভেঙে যাওয়ার চার বছরেও সংস্কার হয়নি। ফলে দু’পাশের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ ৬টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চলাচলের ভোগান্তিতে পড়েছেন।
.
বর্ষা নামলেই চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা স্কুল-মাদ্রাসায় যেতে পারেন না। বন্ধ হয়ে যায় হাট-বাজারে যাওয়ার সুবিধা। এছাড়াও, এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি পার্শ্ববর্তী হরিপুরসহ কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার সাথে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহরে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম।
.
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানান, ২০১৭ সালের বন্যার তাণ্ডবে রাস্তাটি ভেঙে গেলেও গত চার বছরেও কোন সংস্কার হয়নি। উপজেলা শহরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র পথ এই রাস্তাটি। গেল বন্যায় আরও ২/৩ জায়গায় গভীর হয়েছে। এতে বর্ষাকালে সীমাহীন কষ্ট করে যাতায়াত করতে হয়। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পরের বছর এলাকার তরুণ যুব সমাজ ওই স্থানে স্বেচ্ছাশ্রমে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে।
No description available.
পরবর্তীতে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার কয়েকদিন পরে স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্যের স্বামী এলাকার কাউকে না জানিয়ে সাঁকোটি অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। ফলে ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়। পরের বছর রাস্তা সংস্কার না করে ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ থেকে ওই স্থানে ৫০ফিট দৈর্ঘ্যের একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। সাঁকোটির দু’পাশে সংযোগ স্থাপনের জন্য বাঁশের সাঁকো দেয়া হয়। যা কয়েকদিন পর ভেঙে যায়। এতে ওই স্থানে অনেক দূর্ঘটনা সংঘটিত হয়। তাই এবারের বন্যা আসার আগেই রাস্তাটি সংস্কারের দাবী জানান তারা।
.
ওই এলাকার বাসিন্দা আবু বক্কর জানান, এই রাস্তাটি সংস্কার না করায় আশে-পাশের অনেক কৃষি জমিতে বালু পড়েছে। এতে জমিগুলো কয়েক বছর থেকে পতিত হয়ে আছে।
.
স্কুল পড়ুয়া তৌহিদ সরকার বলেন, ‘৪ বছর আগে বন্যায় রাস্তাটি ভেঙে গেলেও এখনো সংস্কার করা হয়নি। বন্যার সময় আমরা স্কুলে যেতে পারিনা। তাই দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের দাবী জানাই।’
.
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহীম খলিলুল্যাহ বলেন, ‘রাস্তাটি সংস্কারের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলে সংস্কার করা হবে।’
.
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল বলেন, ‘রাস্তাটি সংস্কারের জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই বাস্তবায়ন হবে।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


চার বছরেও সংস্কার হয়নি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা! ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ

Update Time : ০৭:৫২:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১
এনামুল হক, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে চার বছরেও সংস্কার করা হয়নি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা। এতে ভোগান্তিতে রয়েছে ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষ।
.
উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের তালুক বেলকা গ্রামের আত্তাব আলীর বাড়ী থেকে শ্যামরায়ের পাঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ২’শ মিটার কাঁচা রাস্তা ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় ভেঙে যাওয়ার চার বছরেও সংস্কার হয়নি। ফলে দু’পাশের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ ৬টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চলাচলের ভোগান্তিতে পড়েছেন।
.
বর্ষা নামলেই চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা স্কুল-মাদ্রাসায় যেতে পারেন না। বন্ধ হয়ে যায় হাট-বাজারে যাওয়ার সুবিধা। এছাড়াও, এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি পার্শ্ববর্তী হরিপুরসহ কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার সাথে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহরে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম।
.
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানান, ২০১৭ সালের বন্যার তাণ্ডবে রাস্তাটি ভেঙে গেলেও গত চার বছরেও কোন সংস্কার হয়নি। উপজেলা শহরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র পথ এই রাস্তাটি। গেল বন্যায় আরও ২/৩ জায়গায় গভীর হয়েছে। এতে বর্ষাকালে সীমাহীন কষ্ট করে যাতায়াত করতে হয়। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পরের বছর এলাকার তরুণ যুব সমাজ ওই স্থানে স্বেচ্ছাশ্রমে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে।
No description available.
পরবর্তীতে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার কয়েকদিন পরে স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্যের স্বামী এলাকার কাউকে না জানিয়ে সাঁকোটি অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। ফলে ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়। পরের বছর রাস্তা সংস্কার না করে ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ থেকে ওই স্থানে ৫০ফিট দৈর্ঘ্যের একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। সাঁকোটির দু’পাশে সংযোগ স্থাপনের জন্য বাঁশের সাঁকো দেয়া হয়। যা কয়েকদিন পর ভেঙে যায়। এতে ওই স্থানে অনেক দূর্ঘটনা সংঘটিত হয়। তাই এবারের বন্যা আসার আগেই রাস্তাটি সংস্কারের দাবী জানান তারা।
.
ওই এলাকার বাসিন্দা আবু বক্কর জানান, এই রাস্তাটি সংস্কার না করায় আশে-পাশের অনেক কৃষি জমিতে বালু পড়েছে। এতে জমিগুলো কয়েক বছর থেকে পতিত হয়ে আছে।
.
স্কুল পড়ুয়া তৌহিদ সরকার বলেন, ‘৪ বছর আগে বন্যায় রাস্তাটি ভেঙে গেলেও এখনো সংস্কার করা হয়নি। বন্যার সময় আমরা স্কুলে যেতে পারিনা। তাই দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের দাবী জানাই।’
.
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহীম খলিলুল্যাহ বলেন, ‘রাস্তাটি সংস্কারের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলে সংস্কার করা হবে।’
.
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল বলেন, ‘রাস্তাটি সংস্কারের জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই বাস্তবায়ন হবে।