করোনার টিকা নেওয়ার পর ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কোনও ধরনের অসুস্থবোধ করছি না। সবাই নির্ভয়ে, নির্দ্বিধায় টিকা নিতে পারেন।’
রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনের মাঠে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনাদের সঙ্গে নিয়ে করোনার টিকা নেন ডিএমপি কমিশনার।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সম্মুখ সাড়ির যোদ্ধা হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাচ্ছে। করোনা যুদ্ধে ডিএমপির ২৭ জন পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। সাধারণ মানুষের মতো পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সংশয় ছিল করোনার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে। সংশয় দূর করতে ডিএমপির সিনিয়র কমান্ড অর্থাৎ আমিসহ আমার সব অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনাররা সবার সামনে করোনার টিকা নিয়েছেন। যাতে ভীতি কেটে যায়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা টিকা নিয়ে কেউ অসুস্থ বোধ করছি না। টিকা নেওয়ার আগে অনেকে বলেছেন, স্যার ১০-১৫ মিনিট মাথা ঘুরতে পারে। আসলে এটা মানসিক বিষয়। মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকলে কোনও কিছুই হবে না। করোনার টিকা আর চার পাঁচটা টিকার মতোই একটি টিকা। প্রধানমন্ত্রী প্রচেষ্টায় আমরা টিকা পেয়েছি। আমার মনে হয় সবাই নির্ভয়ে, নির্দ্বিধায় টিকা নিতে পারি। এখানে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনও ভয় নেই।’
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ডিএমপির প্রায় ৮ হাজার পুলিশ সদস্য ইতোমধ্যে টিকা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করে ফেলেছেন। পর্যায়ক্রমে বাকি সদস্যরাও রেজিস্ট্রেশন করছেন। প্রতিদিন ৪০০ জন ডিএমপির পুলিশ সদস্য টিকা গ্রহণ করবেন।
এ সময় ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস্) কৃষ্ণ পদ রায় ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তারসহ অন্যান্য অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনাররা টিকা নেবেন।