নিজেদের গোয়েন্দা শাখা ছাড়াও বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার থেকে পাওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে এই খবর নিশ্চিত করেছে বিএসএফ। সীমান্তের ওপারে পিপি নালা,দেওয়া, দাদাল, থান্ডি কাসি সহ বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তান জঙ্গিদের লঞ্চপ্যাড প্রস্তুত রেখেছে।
এপারে ভারতীয় সীমান্তে অবস্থিত পুঞ্চ,কৃষ্ণ ঘাঁটি, নৌশেরা, সুন্দরবনি এবং হিরানগর এলাকা। নতুন করে জম্মু-কাশ্মীর টেনশন তৈরি করতে চায় পাকিস্তান। কদিন আগেই ভারতীয় জওয়ানরা এই জম্মু থেকেই কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিল। পরে জানা গিয়েছিল মন্দিরে গ্রেনেড হামলার ছক কষে ছিল ওই ধৃত ব্যক্তিরা।
পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মুতে যে কোনও মূল্যে হামলা চালাতে মরিয়া। স্থানীয় নেতাদের টার্গেট করার পাশাপাশি ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন কাউন্সিলের (ডি ডি সি) নির্বাচনে হামলা চালানোর ছক তৈরি ছিল। কিন্তু নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকায় তা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে জম্মু-কাশ্মীর অঞ্চলের বিপরীতে একশো আঠারো জন জঙ্গি জড়ো হয়েছে।
পাকিস্তানের আইএসআই মারাত্মক আক্রমণ চালানোর জন্য সন্ত্রাসবাদীদের বিভিন্ন রকম সাহায্য করছে। টাকাপয়সা ছাড়াও শীতের জামা কাপড়, আধুনিক অস্ত্র এবং জিপিএস নেভিগেশন সিস্টেম সরবরাহ করা হয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই বিএসএফ পরিস্থিতি সামলাতে তৈরি। হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।বিএসএফ জানিয়েছে সম্পূর্ণভাবে তারা তৈরি। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে, বাহিনীর মনোবল তুঙ্গে। জঙ্গি আক্রমণ ঠেকানোর ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত তারা। যদি আক্রমণ ঘটে, তাহলে কোনও জঙ্গি বেঁচে ফিরতে পারবে না এমনটাই জানানো হয়েছে বিএসএফের তরফে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে হামলা চালাতে পারে পাকিস্তানের এস এস জি কমান্ডো বাহিনী এবং বর্ডার অ্যাকশন টিম। বিএসএফ ছাড়াও প্রয়োজনে ভারতের অন্য বাহিনীকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।