সিলেট ওসমানীনগরে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে তিন শিশুসহ নিহত ৬

  • Update Time : ০৬:৩৮:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২০
  • / 171

নিহতরা হলেন- ওসমানীনগর উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে অটোরিকশাচালক জুনেদ মিয়া (২৮), তার সহযোগী জাহাঙ্গীর আলম, একই উপজেলার গোয়ালাবাজারের ব্রাহ্মণগ্রামের কমরু মিয়ার মেয়ে আরিফা বেগম (১২), খাদিজা বেগম (২), খাদিজার খালা হামিদা বেগম (৩৫) ও কমরু মিয়ার ভাতিজি ফজলে মিয়ার মেয়ে কারিমা বেগম (৩)।

.

.

হাইওয়ে পুলিশের শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এরশাদুল হক ভূঁইয়া জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী মামুন পরিবহনের একটি বাস ও বিপরীত দিক থেকে শেরপুরগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত হন। গুরুতর আহত হন আরও সাতজন। আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই শিশুসহ আরও চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন। রাত ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খাদিজা নামের আরেক শিশুর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় ছয়জন মারা গেছেন।

ওসি আরও জানান, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে। তবে মামুন পরিবহনের বাসের চালক পালিয়ে গেছেন। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

এদিকে দুর্ঘটনার পর স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়ে সড়ক অবরোধ করে। এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। দুর্ঘটনার আধা ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়ি দুটিকে জব্দ করে বিক্ষুব্ধ জনতাকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সিলেট ওসমানীনগরে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে তিন শিশুসহ নিহত ৬

Update Time : ০৬:৩৮:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২০

নিহতরা হলেন- ওসমানীনগর উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে অটোরিকশাচালক জুনেদ মিয়া (২৮), তার সহযোগী জাহাঙ্গীর আলম, একই উপজেলার গোয়ালাবাজারের ব্রাহ্মণগ্রামের কমরু মিয়ার মেয়ে আরিফা বেগম (১২), খাদিজা বেগম (২), খাদিজার খালা হামিদা বেগম (৩৫) ও কমরু মিয়ার ভাতিজি ফজলে মিয়ার মেয়ে কারিমা বেগম (৩)।

.

.

হাইওয়ে পুলিশের শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এরশাদুল হক ভূঁইয়া জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী মামুন পরিবহনের একটি বাস ও বিপরীত দিক থেকে শেরপুরগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত হন। গুরুতর আহত হন আরও সাতজন। আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই শিশুসহ আরও চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন। রাত ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খাদিজা নামের আরেক শিশুর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় ছয়জন মারা গেছেন।

ওসি আরও জানান, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে। তবে মামুন পরিবহনের বাসের চালক পালিয়ে গেছেন। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

এদিকে দুর্ঘটনার পর স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়ে সড়ক অবরোধ করে। এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। দুর্ঘটনার আধা ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়ি দুটিকে জব্দ করে বিক্ষুব্ধ জনতাকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।