দুদকে স্বাস্থের সাবেক ডিজি, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

  • Update Time : ০৬:৫৭:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ অগাস্ট ২০২০
  • / 181
নিজস্ব প্রতিবেদক:

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তলবে হাজির হয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। করোনাকালে মাস্ক, পিপিইসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী কেনায় দুর্নীতির অনুসন্ধানের জন্য তাকে তলব করেছিল সংস্থাটি।

বুধবার (১২ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে প্রবেশ করেন আবুল কালাম আজাদ। সংস্থার পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। দলের অন্য সদস্যরা হলেন, দুদকের উপ-পরিচালক নুরুল হুদা এবং সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান ও আতাউর রহমান।

সংস্থাটির পরিচালক (জনসংযোগ কর্মকর্তা) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য এসব তথ্য জানিয়েছেন।

দুদক সূত্র জানায়, গত ৬ আগস্ট এক তলবি নোটিশে দেওয়া হয়। নোটিশে মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য সরঞ্জাম ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে আবুল কালাম আজাদকে রেকর্ডপত্রসহ বক্তব্য দিতে হাজির হতে বলা হয়। আর বিশেষ বাহক মারফত পাঠানো ওই নোটিশ তার বনানীর ৫ নম্বর রোডের বাসায় পাঠানো হয়েছিল।

মাস্ক-পিপিই ক্রয় দুর্নীতির অনুসন্ধানে এর আগে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) ছয় কর্মকর্তাসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। যদিও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজির হননি এলান করপোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমিন ও মো. মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং সিএমএসডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে গত ১০ জুন শুরু করে দুদক।

অভিযোগ রয়েছে, সিএমএসডির ৯০০ কোটি টাকার কেনাকাটায় দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে। এছাড়া আগামীকাল রিজেন্ট হাসপাতাল দুর্নীতির একটি অনুসন্ধানে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে।

এদিকে মাস্ক-পিপিই ক্রয় দুর্নীতির অনুসন্ধানে শেখ মো. ফানাফিল্যা স্বাক্ষরিত আরেক চিঠিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. মো. আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক মো. ইউনুস আলী, ডা. মো. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলামকে আগামী ১২ আগস্ট তলব করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা আর অনিয়মের সমালোচনার মধ্যে পদত্যাগ করেন আবুল কালাম আজাদ। এর দুইদিন পর ২৩ জুলাই তার স্থলাভিষিক্ত হন অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


দুদকে স্বাস্থের সাবেক ডিজি, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

Update Time : ০৬:৫৭:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ অগাস্ট ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক:

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তলবে হাজির হয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। করোনাকালে মাস্ক, পিপিইসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী কেনায় দুর্নীতির অনুসন্ধানের জন্য তাকে তলব করেছিল সংস্থাটি।

বুধবার (১২ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে প্রবেশ করেন আবুল কালাম আজাদ। সংস্থার পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। দলের অন্য সদস্যরা হলেন, দুদকের উপ-পরিচালক নুরুল হুদা এবং সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান ও আতাউর রহমান।

সংস্থাটির পরিচালক (জনসংযোগ কর্মকর্তা) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য এসব তথ্য জানিয়েছেন।

দুদক সূত্র জানায়, গত ৬ আগস্ট এক তলবি নোটিশে দেওয়া হয়। নোটিশে মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য সরঞ্জাম ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে আবুল কালাম আজাদকে রেকর্ডপত্রসহ বক্তব্য দিতে হাজির হতে বলা হয়। আর বিশেষ বাহক মারফত পাঠানো ওই নোটিশ তার বনানীর ৫ নম্বর রোডের বাসায় পাঠানো হয়েছিল।

মাস্ক-পিপিই ক্রয় দুর্নীতির অনুসন্ধানে এর আগে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) ছয় কর্মকর্তাসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। যদিও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজির হননি এলান করপোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমিন ও মো. মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং সিএমএসডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে গত ১০ জুন শুরু করে দুদক।

অভিযোগ রয়েছে, সিএমএসডির ৯০০ কোটি টাকার কেনাকাটায় দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে। এছাড়া আগামীকাল রিজেন্ট হাসপাতাল দুর্নীতির একটি অনুসন্ধানে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে।

এদিকে মাস্ক-পিপিই ক্রয় দুর্নীতির অনুসন্ধানে শেখ মো. ফানাফিল্যা স্বাক্ষরিত আরেক চিঠিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. মো. আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক মো. ইউনুস আলী, ডা. মো. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলামকে আগামী ১২ আগস্ট তলব করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা আর অনিয়মের সমালোচনার মধ্যে পদত্যাগ করেন আবুল কালাম আজাদ। এর দুইদিন পর ২৩ জুলাই তার স্থলাভিষিক্ত হন অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।