মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, মানিকগঞ্জে পানি কমতে শুরু করলেও এখনও পুরোপুরি নামেনি। যে সব স্থানে পানি নেমে গেছে সেখানকার ক্ষয়ক্ষতি দৃশ্যমান হচ্ছে। চলতি বছরের দুদফা বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে জেলার ৭টি উপজেলার সাথে জেলা শহরের প্রধান সড়কের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে হরিরামপুর উপজেলার সাথে মানিকগঞ্জ সদরের সাথে এখনও সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যাবস্থা বন্ধ রয়েছে।
তাছাড়া জেলার ৭টি উপজেলার সাথে নিজ নিজ ইউনিয়নের অনেক সড়ক যোগাযোগ ব্যাবস্থা বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগের স্বীকার হতে হচ্ছে লক্ষ লক্ষ মানুষের।
.
এবারের ভয়াভহ বন্যায় মানিকগঞ্জ জেলা শহরের সাথে ঘিওর, দৌলতপুর উপজেলার একাধিক ইউনিয়নের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যাবস্থা চালু হয় নি। ফলে এসব অঞ্চলের মানুষে সীমাহীন দুর্ভোগের স্বীকার হতে হচ্ছে।
সাটুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন পিন্টু বলেন, আমার মালশি, গওলা, কৈজরি, পাড়া গ্রামের পাকা, আদা পাকা সড়কে পানিতে ডুবে গিয়েছিল। বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত তৈরি হওয়াতে যানবাহন ত দুরের কথা পায়ে হাটাই দুস্কর হয়ে পড়েছে।
হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান বলেন, আমার প্রতিটি ইউনিয়নের সকল অভ্যন্তরীন সড়কের যোগাযোগ ব্যাবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। পানি কমতে শুরু করলেও এখনও অধিকাংশ মানুষের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে নৌকা।
মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গাউস উল হাসান মারুফ বলেন, মানিকগঞ্জে এখনও অনেক সড়ক পানির নিচে তলিয়ে আছে। ১০ আগষ্ট পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী আমাদের ৩৪ কিলোমিটার পাকা সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙ্গে গেছে। সম্পুর্ণ বন্যা মুক্ত হলে সঠিক ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করে সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা করা হবে।