রাশিয়ায় ভিন্নধর্মী নৌকাবাইচ

  • Update Time : ০৮:৫২:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অগাস্ট ২০২০
  • / 121
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

করোনা মহামারির মধ্যেই রাশিয়ার সেন্টপিটার্সবার্গে হয়ে গেল ভিন্নধর্মী এক নৌকাবাইচ। তিন হাজার নৌকা নিয়ে এ আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে হয়নি কোন প্রতিযোগিতা। ৫ বছর ধরে এ আয়োজন হয়ে আসছে দেশটিতে।

রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের এ লেকটির রুপ যেন বেড়ে গেছে রঙ-বেরঙের বাহারি নৌকায়। বার্ষিক ফন্টাকা উৎসবের অংশ হিসেবে ৩ হাজার নৌকা নামে। নিজের হাতে বৈঠা চালিয়ে এগিয়ে চলেন অংশগ্রহণকারীরা। কোভিড নাইন্টিনে যখন জীবনের নানা আনন্দের উৎসগুলো কমে এসেছে তখন এমন একটা আয়োজনে আসতে নিতে পেরে আনন্দিত তারা। তিন হাজার নৌকা নিয়ে এ আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কোন প্রতিযোগিতা হয়নি। যে যার মত নৌকা বেয়ে গেছেন।

একজন অংশগ্রহণকারী বলেন, আমি পাঁচ বছর ধরে অপেক্ষায় ছিলাম কবে এ উৎসবে যোগ দিতে পারবো। অবশেষে সে সুযোগ পেয়ে সত্যিই আমি ভীষণ আনন্দিত।

আরেকজন বলেন, আমি এত খুশি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না, সবকিছুই অসাধারণ এখানে। আজকের আবহাওয়া, এখানকার মানুষ, সংগীত সবকিছুই আমাকে মুগ্ধ করেছে।

উৎসবে যোগ দিতে অনেকেই পরেছেন পুরোনো দিনের রাজকীয় পোশাক, অনেকেই আবার সেজেছেন আকর্ষনীয় সাজে। রেকর্ড গড়তেই ৩ হাজার মানুষ অংশ নেয়ার পরিকল্পনা ছিলো বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। করোনার কারণে এ বছর এ আয়োজন হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিলো। গত ৫ বছর ধরে চলে আসছে এ আয়োজন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


রাশিয়ায় ভিন্নধর্মী নৌকাবাইচ

Update Time : ০৮:৫২:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অগাস্ট ২০২০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

করোনা মহামারির মধ্যেই রাশিয়ার সেন্টপিটার্সবার্গে হয়ে গেল ভিন্নধর্মী এক নৌকাবাইচ। তিন হাজার নৌকা নিয়ে এ আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে হয়নি কোন প্রতিযোগিতা। ৫ বছর ধরে এ আয়োজন হয়ে আসছে দেশটিতে।

রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের এ লেকটির রুপ যেন বেড়ে গেছে রঙ-বেরঙের বাহারি নৌকায়। বার্ষিক ফন্টাকা উৎসবের অংশ হিসেবে ৩ হাজার নৌকা নামে। নিজের হাতে বৈঠা চালিয়ে এগিয়ে চলেন অংশগ্রহণকারীরা। কোভিড নাইন্টিনে যখন জীবনের নানা আনন্দের উৎসগুলো কমে এসেছে তখন এমন একটা আয়োজনে আসতে নিতে পেরে আনন্দিত তারা। তিন হাজার নৌকা নিয়ে এ আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কোন প্রতিযোগিতা হয়নি। যে যার মত নৌকা বেয়ে গেছেন।

একজন অংশগ্রহণকারী বলেন, আমি পাঁচ বছর ধরে অপেক্ষায় ছিলাম কবে এ উৎসবে যোগ দিতে পারবো। অবশেষে সে সুযোগ পেয়ে সত্যিই আমি ভীষণ আনন্দিত।

আরেকজন বলেন, আমি এত খুশি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না, সবকিছুই অসাধারণ এখানে। আজকের আবহাওয়া, এখানকার মানুষ, সংগীত সবকিছুই আমাকে মুগ্ধ করেছে।

উৎসবে যোগ দিতে অনেকেই পরেছেন পুরোনো দিনের রাজকীয় পোশাক, অনেকেই আবার সেজেছেন আকর্ষনীয় সাজে। রেকর্ড গড়তেই ৩ হাজার মানুষ অংশ নেয়ার পরিকল্পনা ছিলো বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। করোনার কারণে এ বছর এ আয়োজন হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিলো। গত ৫ বছর ধরে চলে আসছে এ আয়োজন।