এপিএ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করুন- আইজিপি

  • Update Time : ১২:৫৯:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুলাই ২০২০
  • / 154
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) বাংলাদেশ পুলিশের রেঞ্জ ও বিশেষায়িত ৩৬টি ইউনিটের প্রধানদের সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর করেছেন।
.
আজ রোববার দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষ শাপলায় ২০২০-২১ অর্থ বছরের এপিএ স্বাক্ষর হয়।
.
আইজিপি বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ইত্যাদি আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার অন্যতম অনুষঙ্গ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ ধরনের কর্মসূচি চালু করায় তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
.
পুলিশ প্রধান এপিএ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পেশাদারিত্বের সাথে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য সকল পুলিশ কর্মকর্তার প্রতি আহ্বান জানান। বিগত দুই বছর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের আওতাধীন দপ্তরসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ প্রথম স্থান অর্জন করায় সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আইজিপি বলেন, ভবিষ্যতেও সাফল্যের এ ধারা অব্যাহত রাখতে সচেষ্ট থাকতে হবে।
.
অনুষ্ঠানে স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি), ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ (আইপি), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট (টিএন্ডআইএম), এপিবিএন, পুলিশ স্টাফ কলেজ (পিএসসি), র‍্যাব, সিআইডি, এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ), নৌ পুলিশ, পিবিআই, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল (সিপিএইচ), ট্রাফিক ড্রাইভিং স্কুল (টিডিএস), ঢাকা রেঞ্জ, টুরিস্ট পুলিশ ইত্যাদি ইউনিটের সাথে এপিএ স্বাক্ষরিত হয়।
.
বর্তমানে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর পুলিশের থানা পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। থানা জেলা পুলিশের সাথে, জেলা পুলিশ রেঞ্জ পুলিশের সাথে এ চুক্তি স্বাক্ষর করে। রেঞ্জ ও বিশেষায়িত ইউনিটসমূহ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সাথে এপিএ চুক্তি স্বাক্ষর করে।
.
বাংলাদেশ পুলিশ এপিএ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ৯৫ ভাগ ও ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৯৭ ভাগ নম্বর পেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের দপ্তরসমূহের মধ্যে পরপর দুইবার প্রথম স্থান অধিকার করে।
.
উল্লেখ্য, সরকারি কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রবর্তন করা হয়েছে।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


এপিএ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করুন- আইজিপি

Update Time : ১২:৫৯:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুলাই ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) বাংলাদেশ পুলিশের রেঞ্জ ও বিশেষায়িত ৩৬টি ইউনিটের প্রধানদের সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর করেছেন।
.
আজ রোববার দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষ শাপলায় ২০২০-২১ অর্থ বছরের এপিএ স্বাক্ষর হয়।
.
আইজিপি বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ইত্যাদি আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার অন্যতম অনুষঙ্গ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ ধরনের কর্মসূচি চালু করায় তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
.
পুলিশ প্রধান এপিএ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পেশাদারিত্বের সাথে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য সকল পুলিশ কর্মকর্তার প্রতি আহ্বান জানান। বিগত দুই বছর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের আওতাধীন দপ্তরসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ প্রথম স্থান অর্জন করায় সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আইজিপি বলেন, ভবিষ্যতেও সাফল্যের এ ধারা অব্যাহত রাখতে সচেষ্ট থাকতে হবে।
.
অনুষ্ঠানে স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি), ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ (আইপি), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট (টিএন্ডআইএম), এপিবিএন, পুলিশ স্টাফ কলেজ (পিএসসি), র‍্যাব, সিআইডি, এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ), নৌ পুলিশ, পিবিআই, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল (সিপিএইচ), ট্রাফিক ড্রাইভিং স্কুল (টিডিএস), ঢাকা রেঞ্জ, টুরিস্ট পুলিশ ইত্যাদি ইউনিটের সাথে এপিএ স্বাক্ষরিত হয়।
.
বর্তমানে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর পুলিশের থানা পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। থানা জেলা পুলিশের সাথে, জেলা পুলিশ রেঞ্জ পুলিশের সাথে এ চুক্তি স্বাক্ষর করে। রেঞ্জ ও বিশেষায়িত ইউনিটসমূহ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সাথে এপিএ চুক্তি স্বাক্ষর করে।
.
বাংলাদেশ পুলিশ এপিএ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ৯৫ ভাগ ও ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৯৭ ভাগ নম্বর পেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের দপ্তরসমূহের মধ্যে পরপর দুইবার প্রথম স্থান অধিকার করে।
.
উল্লেখ্য, সরকারি কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রবর্তন করা হয়েছে।