“মোবাইল স্ক্রিন হোক বইয়ের পাতা”

  • Update Time : ০৭:২২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুলাই ২০২০
  • / 301
আবু তালহা আকাশ:

গুপ্ত ঘাতক করোনার এই মহামারিতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে বোধ হয় সময় পার করছি আমরা ছাত্র সমাজ। এই  আধুনিক যুগে এসে কোয়ারেন্টাইনের সময় পার করতে আমরা মোবাইল, ল্যাপটপ বা সোশ্যালমিডিয়ায় ডুবে আছি সারাটিক্ষন। যার ফলে দেখা যাচ্ছে অনেকেই অনেক রকম হতাশা ও মানসিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। যার সমাধানের মাধ্যম হিসেবে আমরা বেঁছে নিতে পারি বই কে। বই আমাদের পরম বন্ধু। এই অবাধ সময়টা আমরা ভালোভালো বই পড়ে কাটাতে পারি। ফরাসি দার্শনিক র্যনে দেকার্তে বলেছেন,”ভালো বই পড়া মানে গত শতাব্দীর সেরা মানুষদের সাথে কথা বলা”। তাই আমরা চাইলেই ঘরে বসে শতাব্দীর সেরা মানুষের সাথে কথা বলে; নিজের মেধাকে বিকশিত করার পাশাপাশি সুন্দর কোয়ারেন্টাইনে থাকতে পারি।

এখন যেহেতু আমরা এসব বই কিনতে বাইরেও যেতে পারছি না বা গেলেও সেখানে সামাজিক দুরত্ব রক্ষা করে চলা সম্ভব হচ্ছে না, স্বাস্থ্য ঝুৃঁকির কথা চিন্তা করে জন্য বের হতেও পারছি না আমরা ছাত্ররা। আবার, অনেকের কাছেই এসব বইও নেই তারা ভাবতেই পারেন আমি তাহলে কি পড়বো? আমার কাছে তো বই নেই! তার সমাধান হিসেবে বলবো- কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি কিন্তু  ইন্টারনেটের ব্যবহার করি না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। আমরা এই ইন্টারনেট ব্যবহার করে মোবাইল/ল্যাপটপে পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নিতে পারি প্রয়োজনীয় অনেক বই। এতে বইয়ের গন্ধটা পাচ্ছিনা ঠিকই, তাতে কি বই তো পড়তে পারছি।

আজকাল ইউটিউবেও অনেক চ্যানেল আছে যারা শিক্ষা মূলক অনেক ভিডিও পোষ্ট করে থাকে। যেখানে চাইলেই আমরা ইংরেজি সহ  বিভিন্ন ভাষা শিখতে পারি। পাশাপাশি  জ্ঞান-বিজ্ঞানের  অনেক বিষয় সম্পর্কে আমরা অবহিত হতে পারি সেখান থেকে। গুগলে সার্চ করে শিখে নিতে পারি আমাদের প্রয়োজনীয় যে কোন বিষয়। হাতে একটি স্মার্ট ফোন থাকা মানে পুরো পৃথিবী হাতের মুঠোয় থাকা, শুধুমাত্র আমাদের জানার আগ্রহ থাকা প্রয়োজন। কোয়ারেন্টাইনে এসকল সহশিক্ষা মূলক কার্যক্রমে যে যতটা এগিয়ে থাকবে সে ততটাই এগিয়ে থাকবে পরবর্তীতেও। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে নিজের জ্ঞানভান্ডার সমৃদ্ধ করে চলেছে প্রতিনিয়ত।

আমরা তো এমনিতেই সোশ্যালমিডিয়ায়  অনেক-অনেক সময় অযথাই নষ্ট করি। তাই মোবাইল/ ল্যাপটপে অযথা সময় নষ্ট না করে আমরা মোবাইল/ল্যাপটপের স্ক্রিনকেই বইয়ের পাতা হিসেবে ব্যবহার করতে পারি। প্রতিনিয়ত শিখতে পারি নতুন নতুন বিষয়। এতে আমাদের হতাশা ও কেটে যাবে মানসিক ভাবেও প্রফুল্ল থাকতে পারবো এবং একটি অত্যন্ত আনন্দঘন কোয়ারেন্টাইন পার করতে পারবো পাশাপাশি নিজেদের জ্ঞানভাণ্ডারকেও সমৃদ্ধ করতে পারবো। আসুন আমরা সকলেই বই পড়ি, নিজের মেধাকে বিকশিত করি সুস্থ থাকি।

লেখক:
শিক্ষার্থী,দ্বিতীয় বর্ষ,ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,কুষ্টিয়া।
ই-মেইল: abutalhaakash98@gmail.com

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


“মোবাইল স্ক্রিন হোক বইয়ের পাতা”

Update Time : ০৭:২২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুলাই ২০২০
আবু তালহা আকাশ:

গুপ্ত ঘাতক করোনার এই মহামারিতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে বোধ হয় সময় পার করছি আমরা ছাত্র সমাজ। এই  আধুনিক যুগে এসে কোয়ারেন্টাইনের সময় পার করতে আমরা মোবাইল, ল্যাপটপ বা সোশ্যালমিডিয়ায় ডুবে আছি সারাটিক্ষন। যার ফলে দেখা যাচ্ছে অনেকেই অনেক রকম হতাশা ও মানসিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। যার সমাধানের মাধ্যম হিসেবে আমরা বেঁছে নিতে পারি বই কে। বই আমাদের পরম বন্ধু। এই অবাধ সময়টা আমরা ভালোভালো বই পড়ে কাটাতে পারি। ফরাসি দার্শনিক র্যনে দেকার্তে বলেছেন,”ভালো বই পড়া মানে গত শতাব্দীর সেরা মানুষদের সাথে কথা বলা”। তাই আমরা চাইলেই ঘরে বসে শতাব্দীর সেরা মানুষের সাথে কথা বলে; নিজের মেধাকে বিকশিত করার পাশাপাশি সুন্দর কোয়ারেন্টাইনে থাকতে পারি।

এখন যেহেতু আমরা এসব বই কিনতে বাইরেও যেতে পারছি না বা গেলেও সেখানে সামাজিক দুরত্ব রক্ষা করে চলা সম্ভব হচ্ছে না, স্বাস্থ্য ঝুৃঁকির কথা চিন্তা করে জন্য বের হতেও পারছি না আমরা ছাত্ররা। আবার, অনেকের কাছেই এসব বইও নেই তারা ভাবতেই পারেন আমি তাহলে কি পড়বো? আমার কাছে তো বই নেই! তার সমাধান হিসেবে বলবো- কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি কিন্তু  ইন্টারনেটের ব্যবহার করি না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। আমরা এই ইন্টারনেট ব্যবহার করে মোবাইল/ল্যাপটপে পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নিতে পারি প্রয়োজনীয় অনেক বই। এতে বইয়ের গন্ধটা পাচ্ছিনা ঠিকই, তাতে কি বই তো পড়তে পারছি।

আজকাল ইউটিউবেও অনেক চ্যানেল আছে যারা শিক্ষা মূলক অনেক ভিডিও পোষ্ট করে থাকে। যেখানে চাইলেই আমরা ইংরেজি সহ  বিভিন্ন ভাষা শিখতে পারি। পাশাপাশি  জ্ঞান-বিজ্ঞানের  অনেক বিষয় সম্পর্কে আমরা অবহিত হতে পারি সেখান থেকে। গুগলে সার্চ করে শিখে নিতে পারি আমাদের প্রয়োজনীয় যে কোন বিষয়। হাতে একটি স্মার্ট ফোন থাকা মানে পুরো পৃথিবী হাতের মুঠোয় থাকা, শুধুমাত্র আমাদের জানার আগ্রহ থাকা প্রয়োজন। কোয়ারেন্টাইনে এসকল সহশিক্ষা মূলক কার্যক্রমে যে যতটা এগিয়ে থাকবে সে ততটাই এগিয়ে থাকবে পরবর্তীতেও। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে নিজের জ্ঞানভান্ডার সমৃদ্ধ করে চলেছে প্রতিনিয়ত।

আমরা তো এমনিতেই সোশ্যালমিডিয়ায়  অনেক-অনেক সময় অযথাই নষ্ট করি। তাই মোবাইল/ ল্যাপটপে অযথা সময় নষ্ট না করে আমরা মোবাইল/ল্যাপটপের স্ক্রিনকেই বইয়ের পাতা হিসেবে ব্যবহার করতে পারি। প্রতিনিয়ত শিখতে পারি নতুন নতুন বিষয়। এতে আমাদের হতাশা ও কেটে যাবে মানসিক ভাবেও প্রফুল্ল থাকতে পারবো এবং একটি অত্যন্ত আনন্দঘন কোয়ারেন্টাইন পার করতে পারবো পাশাপাশি নিজেদের জ্ঞানভাণ্ডারকেও সমৃদ্ধ করতে পারবো। আসুন আমরা সকলেই বই পড়ি, নিজের মেধাকে বিকশিত করি সুস্থ থাকি।

লেখক:
শিক্ষার্থী,দ্বিতীয় বর্ষ,ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,কুষ্টিয়া।
ই-মেইল: abutalhaakash98@gmail.com