পাবনা প্রতিনিধি:
করোনায় মারা গেছেন অতিরিক্ত সচিব, পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ) বগুড়ার মহাপরিচালক পাবনার কৃতি সন্তান মো. আমিনুল ইসলাম।
শনিবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
গত ২৩ জুন বগুড়ায় তার করোনা শনাক্ত হলে তাকে ২৯ জুন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে নেয়া হয় আইসিইউতে এবং সেখানেই শনিবার সকাল ৯টায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।
মো. আমিনুল ইসলাম ১৯৮৬ সালের অষ্টম বিসিএস এর একজন কর্মকর্তা। তিনি প্রথমে সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ১৯৮৯ সালের ২০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে যোগ দেন। ১৯৯৭ সালে সিনিয়র সহকারী সচিব, ২০০৬ সালে উপসচিব এবং ২০১৬ সালে যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি পান। তিনি ২০১০ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার অফিসে প্রথমে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) এবং অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৮ সালে তিনি অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পান। সর্বশেষ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ)-বগুড়ার মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের ‘‘শুদ্ধাচার পুরস্কার”-এর জন্য মনোনীত হন মো. আমিনুল ইসলাম।
পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ এর কৃতি ছাত্র ছিলেন তিনি। এখান থেকে এইচএসসি পাস করার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে বিএসসি (সম্মান) ও এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। অনার্স ও মাষ্টার্স উভয় পরীক্ষাতেই প্রথম স্থান অর্জন করেন। ১৯৯০ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলোশিপ নিয়ে এমফিল করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ার পর তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে ফেলোশিপ ও এমফিল ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুরে ১৯৬২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মো: ছবির উদ্দিন। শনিবার রাতে তাকে পাবনার হেমায়েতপুরে পারিবারিক গোরস্থানে মায়ের কবরের পাশে দাফন করার কথা রয়েছে।
আমিনুল ইসলামের মৃত্যুতে তার সহপাঠি প্রতিরক্ষা সচিব ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ শোক জানিয়েছেন।