ডোমারে পাট কেটে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা

  • Update Time : ১০:৫০:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০
  • / 255
মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু,ডোমার নিলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর ডোমারে পাট কেটে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রাদুর্ভাবে কাজকর্ম না থাকায় কর্মহীন হয়ে কঠিন মানবেতর জীবন যাপন করেছেন কৃষকেরা।বর্তমানে বর্ষার মৌসুমে চারিদিকে যখন পানি থইথই ঠিক সেই মুহূর্তে দিনমজুর কৃষকদের পাট কেটে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে।
.
দীর্ঘদিন কর্মহীন থাকার পরে কাজ করতে পেরে তারা আনন্দে আত্মহারা। ৬ জুলাই মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নে বটতলী এলাকার পাট কাটার ধুম পড়ে গেছে। এরই মধ্যে দেখা মিলে উওর হরিণচড়া মধ্যপাড়া এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে ফজলুল হকের সাথে।
.
তিনি জানান, আমি এক বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছি। বীজ ফেলা থেকে শুরু করে পাট কাটা জাগ দেওয়া, পাট ধোঁয়া ও শুকানো পর্যন্ত বিঘা প্রতি প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হবে। আর পাটের ফলন অনুপাতে ৮ থেকে সাড়ে ৮ মন পাট তিনি পাবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন । তবে পাটের উৎপাদন খরচ ও বাজার মূল্য নিয়ে সঙ্কায় রয়েছি। তিনি আরও জানান, পাট বিক্রির সময় যদি পাটের সঠিক মূল্য সরকার না দেয়,তাহলে আমাদের মতো কৃষকদের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। পাট উৎপাদন করে যদি আমাদেরকে লোকসানের হিসাব গুনতে হয় তাহলে সেই পাট উৎপাদন করবো কেন। ওই সময় অন্য কিছু উৎপাদন করবো।
.
পাট কাটতে আসা দিনমজুর সলেমান ও জাহিনুর বলেন, আমরা চুক্তিতে পাট কেটে দেই, হাজিরা দিয়ে পাট কাটি না।আমরা জমি থেকে পাট কেটে উভানো পর্যন্ত বিঘা প্রতি ৩ হাজার টাকা করে নেই। কারণ পাট কেটে বৃষ্টির মধ্যে উভানোর সময় যে কষ্টের সমুক্ষিন হতে হয়,তাতে এই টাকায় আমাদের পোসায় না।
.
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আনিছুজ্জামান বলেন, এই বছর আমাদের পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাএা ছিল দেশী এবং তোষা মিলে ১৫ শত ৫০ হেক্টর জমিতে , কিন্তু আমাদের অর্জন হয়েছে ১৪ শত হেক্টর জমিতে। অধিক বৃষ্টির কারনে জমিতে পানি জমে থাকায় আবাদ যেমন ভালো হয়নি পাশাপাশি হাইড ও কমে গেছে।
.
তিনি আরও জানান, গত বছর আমাদের লক্ষ্যমাএা ছিল ১৬ শত ১০ হেক্টর জমিতে, এবং অর্জন হয়েছে ১৫শত ৬০ হেক্টর জমিতে।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ডোমারে পাট কেটে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা

Update Time : ১০:৫০:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০
মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু,ডোমার নিলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর ডোমারে পাট কেটে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রাদুর্ভাবে কাজকর্ম না থাকায় কর্মহীন হয়ে কঠিন মানবেতর জীবন যাপন করেছেন কৃষকেরা।বর্তমানে বর্ষার মৌসুমে চারিদিকে যখন পানি থইথই ঠিক সেই মুহূর্তে দিনমজুর কৃষকদের পাট কেটে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে।
.
দীর্ঘদিন কর্মহীন থাকার পরে কাজ করতে পেরে তারা আনন্দে আত্মহারা। ৬ জুলাই মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নে বটতলী এলাকার পাট কাটার ধুম পড়ে গেছে। এরই মধ্যে দেখা মিলে উওর হরিণচড়া মধ্যপাড়া এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে ফজলুল হকের সাথে।
.
তিনি জানান, আমি এক বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছি। বীজ ফেলা থেকে শুরু করে পাট কাটা জাগ দেওয়া, পাট ধোঁয়া ও শুকানো পর্যন্ত বিঘা প্রতি প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হবে। আর পাটের ফলন অনুপাতে ৮ থেকে সাড়ে ৮ মন পাট তিনি পাবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন । তবে পাটের উৎপাদন খরচ ও বাজার মূল্য নিয়ে সঙ্কায় রয়েছি। তিনি আরও জানান, পাট বিক্রির সময় যদি পাটের সঠিক মূল্য সরকার না দেয়,তাহলে আমাদের মতো কৃষকদের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। পাট উৎপাদন করে যদি আমাদেরকে লোকসানের হিসাব গুনতে হয় তাহলে সেই পাট উৎপাদন করবো কেন। ওই সময় অন্য কিছু উৎপাদন করবো।
.
পাট কাটতে আসা দিনমজুর সলেমান ও জাহিনুর বলেন, আমরা চুক্তিতে পাট কেটে দেই, হাজিরা দিয়ে পাট কাটি না।আমরা জমি থেকে পাট কেটে উভানো পর্যন্ত বিঘা প্রতি ৩ হাজার টাকা করে নেই। কারণ পাট কেটে বৃষ্টির মধ্যে উভানোর সময় যে কষ্টের সমুক্ষিন হতে হয়,তাতে এই টাকায় আমাদের পোসায় না।
.
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আনিছুজ্জামান বলেন, এই বছর আমাদের পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাএা ছিল দেশী এবং তোষা মিলে ১৫ শত ৫০ হেক্টর জমিতে , কিন্তু আমাদের অর্জন হয়েছে ১৪ শত হেক্টর জমিতে। অধিক বৃষ্টির কারনে জমিতে পানি জমে থাকায় আবাদ যেমন ভালো হয়নি পাশাপাশি হাইড ও কমে গেছে।
.
তিনি আরও জানান, গত বছর আমাদের লক্ষ্যমাএা ছিল ১৬ শত ১০ হেক্টর জমিতে, এবং অর্জন হয়েছে ১৫শত ৬০ হেক্টর জমিতে।