অভিমানী কিশোরীর ঘরে ফেরার গল্প!

  • Update Time : ০৮:৫১:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০
  • / 149

 

বাবা মারা যাবার পর মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নিতে পারেননি তাসকিয়া। মা যখন আবার বিয়ে করে ঘর বাঁধলেন নতুন জায়গায়, এবার বুকভরা অভিমান নিয়ে বাড়ি থেকে অজানার পথে পা বাড়ালেন ১২-১৩ বছরের অভিমানী মেয়েটি।

কক্সবাজারের চকোরিয়া থেকে তিনি চলে আসেন সোজা ঢাকায়। এরপর, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৪/৫ মাস গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করেন মেয়েটি। কিন্তু অভিমান করে ঘর পালানো মানুষগুলোর অভিমান যেন শেষ হয়েও হয়না। জীবনের প্রতি পদক্ষেপে তাদের শুধু অভিমান আর অভিমান। ঘর পালানোর নেশা কি তাহলে মানব জীবনের বড় নেশা? জীবনের আঁকাবাঁকা গলিপথে চলতে গিয়ে এই অভিমানীরা বারবার থিতু হতে চান কিন্তু কজন জীবনে স্থির হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেন?

ঘর পালানোর চক্রে বাঁধাপড়া তাসফিয়া ঢাকা থেকে আবার পালিয়ে নিজ এলাকা চকোরিয়ায় ফিরে যান এবং নতুন আরেকটি বাসায় গৃহকর্মী হিসাবে কিছুদিন কাজ করেন। কিছুদিন পরে আবার পালিয়ে ঢাকায় আসেন।

মেয়েটিকে উদ্দেশ্যবিহীন একা একা ঘুরতে দেখে টহল পুলিশ তাকে কাশিমপুরের সরকারী আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেন। নিজের নাম পরিচয় গোপন রেখে মেয়েটি সেখানেই কাটিয়ে দেন দুটি বছর। কিন্তু ঘর পালানো যদি বড় নেশা না হবে তাহলে তাসফিয়া কেনো সেই আশ্রয়কেন্দ্র থেকেও আবার পালাবেন? এবার তিনি চলে আসেন গাজীপুরের টংগী এলাকায়। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে রাজধানীর খিলক্ষেতে। এরপর দুজন নারী তাকে রাস্তায় একা একা ঘুরতে দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ নিরাপদ হেফাজতের জন্য তাকে নিয়ে আসেন ডিএমপির উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনে।

আপনি যদি ঘর পালানো বা নির্যাতিত ও পরিচয়হীন অভিমানী কিশোর, কিশোরীদের মিলনমেলা স্বচক্ষে দেখতে চান, বা খোঁজ জানতে চান, চলে আসতে পারেন তেজগাঁও থানা কম্পাউন্ডে অবস্থিত ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে।

প্রচন্ড অভিমানী তাসকিয়া ঘর থেকে পালানোর পর থেকেই পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুজি শুরু করেন। সেও বুঝে ফেলেছেন পুলিশকে বাড়ির ঠিকানা ও নাম-পরিচয় দিলে পুলিশ তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেবেন।
এজন্য সে বারবার মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করছিলেন। এজন্য আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও তাসকিয়ার আসল গল্প জানা সম্ভব হচ্ছিল না। অন্যদিকে করোনার শুরু থেকে বেসরকারী সাহায্য সংস্থাগুলোর সহায়তাও পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিশ বিপদে পড়লেন।

ডিএমপির উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের উপ-পুলিশ কমিশনার হামিদা পারভীন পিপিএম প্রতিদিন তাসকিয়ার সঠিক পরিচয় বের করার জন্য নতুন নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু অভিমানী মেয়েটির একটাই কথা, তিনি সারাজীবন এখানেই থাকতে চান!

কিন্তু কথায় বলে বাঘে ছুঁলে ১৮ ঘা, আর পুলিশ ছুঁলে ৩৬ ঘা! হাইলি প্রফেশনাল উচ্চপদস্থ পুলিশের এই কর্মকর্তা দীর্ঘ সময় ধরে কাসফিয়াকে কাউন্সিলিং করা শুরু করলেন। এবার বরফ গলতে শুরু করলো।

কাসফিয়া প্রথমে টেকনাফের একটি ঠিকানা দিলেন। কিন্তু যেখানে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেয়েটির কোন আত্মীয়কে খুঁজে পাওয়া যায়না। তবু থেমে থাকার পাত্র নন এই পুলিশ কর্মকর্তা। আবার নতুন ভাবে পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা চলতে থাকে।

অবশেষে ইন্সপেক্টর কুইন কে দায়িত্ব দেয়া হয় তাসকিয়ার সাথে সারাদিন কাটিয়ে তার সঠিক ঠিকানা বের করার জন্য। দিনশেষে পাওয়া যায় নতুন তথ্য। গাজীপুরের কাশিমপুর সরকারী আশ্রয় কেন্দ্র থেকে পালানোর কথা জানান তাসকিয়া। আশার আলো দেখতে পান পুলিশের এই কর্মকর্তা। তড়িৎগতিতে যোগাযোগ করেন গাজীপুরের কাশিমপুর আশ্রয় কেন্দ্রে কর্তৃপক্ষের সাথে। কাশিমপুরের কর্তারা জানান হুমায়রা নামের একটি মেয়ে হারানোর বিষয়ে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। গত ৩০ মে আশ্রয় কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ কাশিমপুর থানায় একটি জিডিও করা হয়। জিডির সূত্র ধরে যোগাযোগ করা হয় একই থানার এসআই মাসুদের সাথে। অনুরোধ করা হয় ঐ হারানো মেয়েটির একটা ছবি দেবার জন্য। ব্যস, মিলে গেলো!

পুলিশ অবাক না হলেও আপনারা জেনে হয়তো অবাক হবেন যে তাসকিয়া আর হুমায়রা একই ব্যক্তি! প্রচন্ড জীদ আর অভিমানে ঘর পালানো হুমায়রা নামের চকোরিয়ার এই মেয়েটি তার নামই পাল্টে ফেলেন!

এমনকি তাকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠাতে চাইলেও সে যেতে নারাজ। বাড়িতো যাবেনই না। তার এক কথা, তিনি ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারেই থাকবেন! পুলিশের আচরন তার ভালো লাগে। মাঝে কেটে যায় অনেক গুলো দিন।

উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের উপপুলিশ কমিশনার হামিদা পারভীন পিপিএম এর নির্দেশে বিভিন্ন পর্যায়ের অফিসারদের নানা কৌশলী জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মেয়েটি এবার তার এলাকার নাম আর ওয়ার্ড মেম্বারের নাম বলেন। ডিএমপি থেকে সংশ্লিষ্ট থানায় তাৎক্ষনিক খবর পাঠিয়ে একঘন্টার মধ্যেই সেই মেম্বারকে বের করা হয় এবং তাঁর মাধ্যমে পাওয়া যায় তাসকিয়ার বাড়ির ঠিকানা।

বাংলা সিনেমার মিলনাত্মক কাহিনীর মতো শেষটা দ্রুতই শেষ হয়। বাড়িতে খবর পাঠালে পরদিন ভোরেই তাসকিয়ার মা এবং ভাই ঢাকায় চলে আসেন। আসেন গাজীপুরের সেই আশ্রয়কেন্দ্রের দায়ত্বিপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কাশিমপুর থানার সংশ্লিষ্ট এসআই। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো মা ও ভাইকে কাছে পেয়ে পৌনঃপুনিক ঘর পালানো তাসকিয়া ওরফে হুমায়রার সব অভিমান জল হয়ে গেলো। সবার উপস্থিতিতে চলতি মাসের ১২ তারিখে তাকে হস্তান্তর করা হয় তার মায়ের কাছে। আরো একজন অভিমানী কিশোরীকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরে প্রশান্তি নেমে আসে উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনে।

অভিমানী একটি কিশোরীর গল্প শেষ হয়েছে। বাকি অভিমানীদের গল্পও এভাবে দ্রুত শেষ হোক এই প্রত্যাশা রইলো।

সূত্র ও ছবিঃ উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন, ডিএমপি
অনুলিখন ও সম্মাদনাঃ ডিএমপি নিউজ

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


অভিমানী কিশোরীর ঘরে ফেরার গল্প!

Update Time : ০৮:৫১:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০

 

বাবা মারা যাবার পর মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নিতে পারেননি তাসকিয়া। মা যখন আবার বিয়ে করে ঘর বাঁধলেন নতুন জায়গায়, এবার বুকভরা অভিমান নিয়ে বাড়ি থেকে অজানার পথে পা বাড়ালেন ১২-১৩ বছরের অভিমানী মেয়েটি।

কক্সবাজারের চকোরিয়া থেকে তিনি চলে আসেন সোজা ঢাকায়। এরপর, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৪/৫ মাস গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করেন মেয়েটি। কিন্তু অভিমান করে ঘর পালানো মানুষগুলোর অভিমান যেন শেষ হয়েও হয়না। জীবনের প্রতি পদক্ষেপে তাদের শুধু অভিমান আর অভিমান। ঘর পালানোর নেশা কি তাহলে মানব জীবনের বড় নেশা? জীবনের আঁকাবাঁকা গলিপথে চলতে গিয়ে এই অভিমানীরা বারবার থিতু হতে চান কিন্তু কজন জীবনে স্থির হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেন?

ঘর পালানোর চক্রে বাঁধাপড়া তাসফিয়া ঢাকা থেকে আবার পালিয়ে নিজ এলাকা চকোরিয়ায় ফিরে যান এবং নতুন আরেকটি বাসায় গৃহকর্মী হিসাবে কিছুদিন কাজ করেন। কিছুদিন পরে আবার পালিয়ে ঢাকায় আসেন।

মেয়েটিকে উদ্দেশ্যবিহীন একা একা ঘুরতে দেখে টহল পুলিশ তাকে কাশিমপুরের সরকারী আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেন। নিজের নাম পরিচয় গোপন রেখে মেয়েটি সেখানেই কাটিয়ে দেন দুটি বছর। কিন্তু ঘর পালানো যদি বড় নেশা না হবে তাহলে তাসফিয়া কেনো সেই আশ্রয়কেন্দ্র থেকেও আবার পালাবেন? এবার তিনি চলে আসেন গাজীপুরের টংগী এলাকায়। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে রাজধানীর খিলক্ষেতে। এরপর দুজন নারী তাকে রাস্তায় একা একা ঘুরতে দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ নিরাপদ হেফাজতের জন্য তাকে নিয়ে আসেন ডিএমপির উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনে।

আপনি যদি ঘর পালানো বা নির্যাতিত ও পরিচয়হীন অভিমানী কিশোর, কিশোরীদের মিলনমেলা স্বচক্ষে দেখতে চান, বা খোঁজ জানতে চান, চলে আসতে পারেন তেজগাঁও থানা কম্পাউন্ডে অবস্থিত ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে।

প্রচন্ড অভিমানী তাসকিয়া ঘর থেকে পালানোর পর থেকেই পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুজি শুরু করেন। সেও বুঝে ফেলেছেন পুলিশকে বাড়ির ঠিকানা ও নাম-পরিচয় দিলে পুলিশ তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেবেন।
এজন্য সে বারবার মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করছিলেন। এজন্য আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও তাসকিয়ার আসল গল্প জানা সম্ভব হচ্ছিল না। অন্যদিকে করোনার শুরু থেকে বেসরকারী সাহায্য সংস্থাগুলোর সহায়তাও পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিশ বিপদে পড়লেন।

ডিএমপির উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের উপ-পুলিশ কমিশনার হামিদা পারভীন পিপিএম প্রতিদিন তাসকিয়ার সঠিক পরিচয় বের করার জন্য নতুন নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু অভিমানী মেয়েটির একটাই কথা, তিনি সারাজীবন এখানেই থাকতে চান!

কিন্তু কথায় বলে বাঘে ছুঁলে ১৮ ঘা, আর পুলিশ ছুঁলে ৩৬ ঘা! হাইলি প্রফেশনাল উচ্চপদস্থ পুলিশের এই কর্মকর্তা দীর্ঘ সময় ধরে কাসফিয়াকে কাউন্সিলিং করা শুরু করলেন। এবার বরফ গলতে শুরু করলো।

কাসফিয়া প্রথমে টেকনাফের একটি ঠিকানা দিলেন। কিন্তু যেখানে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেয়েটির কোন আত্মীয়কে খুঁজে পাওয়া যায়না। তবু থেমে থাকার পাত্র নন এই পুলিশ কর্মকর্তা। আবার নতুন ভাবে পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা চলতে থাকে।

অবশেষে ইন্সপেক্টর কুইন কে দায়িত্ব দেয়া হয় তাসকিয়ার সাথে সারাদিন কাটিয়ে তার সঠিক ঠিকানা বের করার জন্য। দিনশেষে পাওয়া যায় নতুন তথ্য। গাজীপুরের কাশিমপুর সরকারী আশ্রয় কেন্দ্র থেকে পালানোর কথা জানান তাসকিয়া। আশার আলো দেখতে পান পুলিশের এই কর্মকর্তা। তড়িৎগতিতে যোগাযোগ করেন গাজীপুরের কাশিমপুর আশ্রয় কেন্দ্রে কর্তৃপক্ষের সাথে। কাশিমপুরের কর্তারা জানান হুমায়রা নামের একটি মেয়ে হারানোর বিষয়ে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। গত ৩০ মে আশ্রয় কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ কাশিমপুর থানায় একটি জিডিও করা হয়। জিডির সূত্র ধরে যোগাযোগ করা হয় একই থানার এসআই মাসুদের সাথে। অনুরোধ করা হয় ঐ হারানো মেয়েটির একটা ছবি দেবার জন্য। ব্যস, মিলে গেলো!

পুলিশ অবাক না হলেও আপনারা জেনে হয়তো অবাক হবেন যে তাসকিয়া আর হুমায়রা একই ব্যক্তি! প্রচন্ড জীদ আর অভিমানে ঘর পালানো হুমায়রা নামের চকোরিয়ার এই মেয়েটি তার নামই পাল্টে ফেলেন!

এমনকি তাকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠাতে চাইলেও সে যেতে নারাজ। বাড়িতো যাবেনই না। তার এক কথা, তিনি ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারেই থাকবেন! পুলিশের আচরন তার ভালো লাগে। মাঝে কেটে যায় অনেক গুলো দিন।

উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের উপপুলিশ কমিশনার হামিদা পারভীন পিপিএম এর নির্দেশে বিভিন্ন পর্যায়ের অফিসারদের নানা কৌশলী জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মেয়েটি এবার তার এলাকার নাম আর ওয়ার্ড মেম্বারের নাম বলেন। ডিএমপি থেকে সংশ্লিষ্ট থানায় তাৎক্ষনিক খবর পাঠিয়ে একঘন্টার মধ্যেই সেই মেম্বারকে বের করা হয় এবং তাঁর মাধ্যমে পাওয়া যায় তাসকিয়ার বাড়ির ঠিকানা।

বাংলা সিনেমার মিলনাত্মক কাহিনীর মতো শেষটা দ্রুতই শেষ হয়। বাড়িতে খবর পাঠালে পরদিন ভোরেই তাসকিয়ার মা এবং ভাই ঢাকায় চলে আসেন। আসেন গাজীপুরের সেই আশ্রয়কেন্দ্রের দায়ত্বিপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কাশিমপুর থানার সংশ্লিষ্ট এসআই। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো মা ও ভাইকে কাছে পেয়ে পৌনঃপুনিক ঘর পালানো তাসকিয়া ওরফে হুমায়রার সব অভিমান জল হয়ে গেলো। সবার উপস্থিতিতে চলতি মাসের ১২ তারিখে তাকে হস্তান্তর করা হয় তার মায়ের কাছে। আরো একজন অভিমানী কিশোরীকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরে প্রশান্তি নেমে আসে উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনে।

অভিমানী একটি কিশোরীর গল্প শেষ হয়েছে। বাকি অভিমানীদের গল্পও এভাবে দ্রুত শেষ হোক এই প্রত্যাশা রইলো।

সূত্র ও ছবিঃ উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন, ডিএমপি
অনুলিখন ও সম্মাদনাঃ ডিএমপি নিউজ