এবার নেপালের ভূমি দখলের অভিযোগ উঠলো চীনের বিরুদ্ধে
- Update Time : ০৬:০৬:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুন ২০২০
- / 156
এবার চীনের বিরুদ্ধে ভূমি দখলের অভিযোগ উঠেছে নেপাল সরকারের ভেতরে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির সরকারের কৃষি মন্ত্রনালয়ের সার্ভে দফতরের একটি রিপোর্টে এই কথা বলা হয়েছে। সংবাদসংস্থার বরাতে এ খবর দিয়েছে আনন্দবাজার।
সার্ভে রিপোর্টে বলা হয়েছে, নেপালের উত্তর দিকে তিব্বত সীমান্তে এরিমধ্যে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরু করে দিয়েছে চীন। আর এই রাস্তা করতে গিয়ে অন্তত ১১টি স্থানে সীমান্ত লঙ্ঘন করেছে তারা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১০টি স্থানে ৩৩ হেক্টর (৮১.৫৪ একর) জমি ইতিমধ্যেই নেপালের হাতছাড়া হয়ে গেছে।
শুধু তাই নয়, নেপালের ভূখণ্ডের পাহাড়ি নদীগুলির গতিপথ ঘুরিয়ে দিয়ে চীন তিব্বতে পানির জোগানের নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। যদিও নেপাল সরকার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি।
এদিকে ভারতের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও চলতি মাসে কালাপানি, লিপুলেখ গিরিপথ ও লিম্পিয়াধুরা এলাকায় প্রায় ৪০০ বর্গকিলোমিটার ভূখণ্ডকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করেছে নেপাল। সেটির অনুমোদনও দিয়েছে নেপাল পার্লামেন্ট।
ওই ঘটনার পর নেপালের বর্তমান সরকারের সঙ্গে বেইজিংয়ের ‘ঘনিষ্ঠতার’ বিষয়টি বার বার উঠে আসছিলো। ভারতীয় অনেক বিশ্লেষকই বলছিলেন, দীর্ঘ দিনের বন্ধু ভারতের প্রতি নেপালের এই বৈরিতার পেছনে মদদ দিচ্ছে চীন। কিন্তু এবার নেপালের একটি সরকারি রিপোর্টে চিনা ‘দখলদারি’র বিষয়টি উঠে আসায় সেই আলোচনা নতুন মোড় নিয়েছে বলে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
নেপাল কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার্ভে দফতরের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, নেপাল-তিব্বত সীমান্তের পশ্চিমে হুমলা জেলায় ১০ হেক্টর এবং মধ্য অংশের রাসুওয়া জেলায় ৬ হেক্টর জমি ইতিমধ্যেই দখল করে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করেছে চীন। পাশাপাশি, বাগডারে খোলা এবং কার্নালি নদীর গতিপথ পরিবর্তন করা হয়েছে। সেগুলির গতিপথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে চিন অধিকৃত তিব্বতের দিকে।