কিশোরকে অমানষিক নির্যাতন; ইউপি সদস্যসহ দুইজন আটক

  • Update Time : ০৭:২৫:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুন ২০২০
  • / 144
এজি লাভলু, কুড়িগ্রাম:

কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারীতে মসজিদের সোলার ব্যাটারির চুরির অভিযোগে এক কিশোরকে অমানবিক নির্যাতন করেছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় এক ইউপি সদস্যসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন ইউপি সদস্য রাজু আহম্মেদ ও স্থানীয় মাতাব্বর জাফর আলী। ঘটনাটি ঘটেছে ২২ জুন (সোমবার) সকাল ১১টায় জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের মংলারকুটি গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মংলারকুটি মসজিদের সোলারের ব্যাটারি চুরির সন্দেহে একই গ্রামের জসীম উদ্দিনের ছেলে কিশোর হাবিবুর রহমানকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে প্রথমে গাছের সঙ্গে বেঁধে পরে বাঁশ ডলা দিয়ে মধ্য যুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি।

উক্ত কিশোরকে নির্যাতনের সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য সেখানে উপস্থিত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই সময় কিশোরের মা মালেকা বেগম ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে তার সামনে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। মারপিটে কিশোর মাহবুবুর অজ্ঞান হয়ে পরলে মায়ের সঙ্গে বাড়িতে পাঠায় তারা। পরে তাকে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তার মা। এদিকে এই অমানবিক ঘটনা এলাকায় আলোচনা সৃষ্টি হলে রাতেই অভিযুক্তদের ধরতে মাঠে নামে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ১৫/১৬ দিন আগে মংলার কুটি গ্রামের মসজিদ থেকে একটি সোলার প্যানেল এবং ব্যাটারি চুরি হয়। চোর সন্দেহে স্থানীয় জাফর আলী মুন্সী, আব্দুল হান্নানসহ ১০/১২ জন মাহবুবুর রহমানকে (১৫) বাড়ি থেকে ডেকে এনে জাফর আলী মুন্সীর বাড়িতে  ইউপি সদস্য রাজুর সামনে এ অমানবিক নির্যাতন চালায় তারা। ইউপি সদস্য রাজু আহম্মেদের পরিবারের লোকজনদের দাবি ওই কিশোরকে উদ্ধার করার জন্য সেখানে গিয়েছিলন তিনি।

কচাকাটা থানার ওসি মামুন অর রশিদ জানান, রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করা হয়েছ। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কিশোরকে অমানষিক নির্যাতন; ইউপি সদস্যসহ দুইজন আটক

Update Time : ০৭:২৫:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুন ২০২০
এজি লাভলু, কুড়িগ্রাম:

কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারীতে মসজিদের সোলার ব্যাটারির চুরির অভিযোগে এক কিশোরকে অমানবিক নির্যাতন করেছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় এক ইউপি সদস্যসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন ইউপি সদস্য রাজু আহম্মেদ ও স্থানীয় মাতাব্বর জাফর আলী। ঘটনাটি ঘটেছে ২২ জুন (সোমবার) সকাল ১১টায় জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের মংলারকুটি গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মংলারকুটি মসজিদের সোলারের ব্যাটারি চুরির সন্দেহে একই গ্রামের জসীম উদ্দিনের ছেলে কিশোর হাবিবুর রহমানকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে প্রথমে গাছের সঙ্গে বেঁধে পরে বাঁশ ডলা দিয়ে মধ্য যুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি।

উক্ত কিশোরকে নির্যাতনের সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য সেখানে উপস্থিত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই সময় কিশোরের মা মালেকা বেগম ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে তার সামনে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। মারপিটে কিশোর মাহবুবুর অজ্ঞান হয়ে পরলে মায়ের সঙ্গে বাড়িতে পাঠায় তারা। পরে তাকে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তার মা। এদিকে এই অমানবিক ঘটনা এলাকায় আলোচনা সৃষ্টি হলে রাতেই অভিযুক্তদের ধরতে মাঠে নামে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ১৫/১৬ দিন আগে মংলার কুটি গ্রামের মসজিদ থেকে একটি সোলার প্যানেল এবং ব্যাটারি চুরি হয়। চোর সন্দেহে স্থানীয় জাফর আলী মুন্সী, আব্দুল হান্নানসহ ১০/১২ জন মাহবুবুর রহমানকে (১৫) বাড়ি থেকে ডেকে এনে জাফর আলী মুন্সীর বাড়িতে  ইউপি সদস্য রাজুর সামনে এ অমানবিক নির্যাতন চালায় তারা। ইউপি সদস্য রাজু আহম্মেদের পরিবারের লোকজনদের দাবি ওই কিশোরকে উদ্ধার করার জন্য সেখানে গিয়েছিলন তিনি।

কচাকাটা থানার ওসি মামুন অর রশিদ জানান, রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করা হয়েছ। মামলার প্রস্তুতি চলছে।