সততা বিকিয়ে দেননি তারা, ফিরিয়ে দিলেন ৬১ লাখ টাকা

  • Update Time : ১২:৪৮:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুন ২০২০
  • / 215
তানজীমুল ইসলাম:
চাঁদপুর জেলার বিকাশ এজেন্টের ৬১ লক্ষ টাকা ফেরত পাওয়া পেছনে জেলা আওয়ামী লীগের অফিস সহকারী বাদল গাজীর ভূমিকা প্রশংসনীয়।
.
সততার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপনে ইতিমধ্যে বাদল গাজী সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে প্রশংসিত হচ্ছেন। অটোরিকশা চালক সজীব টাকাগুলো পেয়ে তার ভগ্নিপতিকে অবগত করেন।
.
তারা ভয়ে প্রশাসনের কাছে যেতে অনীহা প্রকাশ করেন। চিন্তিত হয়ে সজীবের ভগ্নিপতি বাদলকে জানায়। বাদলের সাথে সজীবের সম্পর্ক ৩/৪ বছরের। তারা একই এলাকার বাসিন্দা। তাৎক্ষণিক বাদলও সততার পরিচয় দিয়ে চাঁদপুর মডেল থানার ওসি নাসিম উদ্দিনকে অবগত করেন।
.
মূহুর্তেই পুলিশ পুরানবাজার হরিসভা রোডে উপস্থিত হয়ে গ্যারেজ থেকে টাকা বুঝে নেয়। অটোচালক সজীব যদি টাকার ব্যাগ নিয়ে ভুল মানুষের কাছে যেতো, তবে ঘটনা অন্যরকম হতে পারতো। অটোচালক সজীবের দৃষ্টান্তমূলক উদারতায় মূলত বাদলই পুলিশকে ফোন করে টাকা পাবার বিষয়টি অবগত করে। অনেকেই বলছেন চাঁদপুরে বিকাশ এজেন্টের ৬১ লাখ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এক পার্শ নায়কের ভূমিকা পালন করেন বাদল।
.
বিকাশ এজেন্টের এতোগুলো টাকা ফিরে পাবার অন্যতম ভূমিকা ছিল তার। এদিকে অটোচালক সজিবের পাশাপাশি এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় বাদল গাজী কী পেলো। তাৎক্ষণিক ভালো পরামর্শ এবং সিদ্ধান্ত নেবার জন্যে সে-ও কী নুন্নতম পুরস্কার পেতে পারে না। তাই বিকাশের এজেন্ট আলমগীর হোসেন জুয়েল ভাইয়ের প্রতি মানবিক অনুরোধ থাকবে সততা, বুদ্ধিমত্তা এবং সাহসিকতার জন্যে বাদল গাজীকেও সামান্যতম হলেও পুরস্কার দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
.
চাঁদপুরবাসী মনে করেন দরিদ্র সজীব ও বাদলের দৃষ্টান্ত সমাজের প্রতিটি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক। লোভকে পেছনে ফেলে জয়ী হোক সততা। এমন দৃষ্টান্ত নিয়ে এগিয়ে যাক আমাদের বাংলাদেশ।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সততা বিকিয়ে দেননি তারা, ফিরিয়ে দিলেন ৬১ লাখ টাকা

Update Time : ১২:৪৮:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুন ২০২০
তানজীমুল ইসলাম:
চাঁদপুর জেলার বিকাশ এজেন্টের ৬১ লক্ষ টাকা ফেরত পাওয়া পেছনে জেলা আওয়ামী লীগের অফিস সহকারী বাদল গাজীর ভূমিকা প্রশংসনীয়।
.
সততার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপনে ইতিমধ্যে বাদল গাজী সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে প্রশংসিত হচ্ছেন। অটোরিকশা চালক সজীব টাকাগুলো পেয়ে তার ভগ্নিপতিকে অবগত করেন।
.
তারা ভয়ে প্রশাসনের কাছে যেতে অনীহা প্রকাশ করেন। চিন্তিত হয়ে সজীবের ভগ্নিপতি বাদলকে জানায়। বাদলের সাথে সজীবের সম্পর্ক ৩/৪ বছরের। তারা একই এলাকার বাসিন্দা। তাৎক্ষণিক বাদলও সততার পরিচয় দিয়ে চাঁদপুর মডেল থানার ওসি নাসিম উদ্দিনকে অবগত করেন।
.
মূহুর্তেই পুলিশ পুরানবাজার হরিসভা রোডে উপস্থিত হয়ে গ্যারেজ থেকে টাকা বুঝে নেয়। অটোচালক সজীব যদি টাকার ব্যাগ নিয়ে ভুল মানুষের কাছে যেতো, তবে ঘটনা অন্যরকম হতে পারতো। অটোচালক সজীবের দৃষ্টান্তমূলক উদারতায় মূলত বাদলই পুলিশকে ফোন করে টাকা পাবার বিষয়টি অবগত করে। অনেকেই বলছেন চাঁদপুরে বিকাশ এজেন্টের ৬১ লাখ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এক পার্শ নায়কের ভূমিকা পালন করেন বাদল।
.
বিকাশ এজেন্টের এতোগুলো টাকা ফিরে পাবার অন্যতম ভূমিকা ছিল তার। এদিকে অটোচালক সজিবের পাশাপাশি এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় বাদল গাজী কী পেলো। তাৎক্ষণিক ভালো পরামর্শ এবং সিদ্ধান্ত নেবার জন্যে সে-ও কী নুন্নতম পুরস্কার পেতে পারে না। তাই বিকাশের এজেন্ট আলমগীর হোসেন জুয়েল ভাইয়ের প্রতি মানবিক অনুরোধ থাকবে সততা, বুদ্ধিমত্তা এবং সাহসিকতার জন্যে বাদল গাজীকেও সামান্যতম হলেও পুরস্কার দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
.
চাঁদপুরবাসী মনে করেন দরিদ্র সজীব ও বাদলের দৃষ্টান্ত সমাজের প্রতিটি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক। লোভকে পেছনে ফেলে জয়ী হোক সততা। এমন দৃষ্টান্ত নিয়ে এগিয়ে যাক আমাদের বাংলাদেশ।