করোনা চিকিৎসায় অব্যবস্থাপনা ও গণপরিবহণে ভাড়া বৃদ্ধি দেশকে চরম সংকটে নিয়ে যাবে

  • Update Time : ০৬:২৯:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুন ২০২০
  • / 340
কে এম শরীয়াতুল্লাহ:

করোনা চিকিৎসায় অব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি ও গণপরিবহণে ভাড়া বৃদ্ধি দেশকে চরম সংকটে নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ইশা ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।

আজ রোববার (০৭ জুন) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে করোনা চিকিৎসায় চরম অব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য খাতে সীমাহীন দুর্নীতি ও গণপরিবহণে অযাচিত ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুল জলিল বলেন –

দেশব্যপী করোনা ভাইরাস যখন মহামারী আকার ধারণ করেছে, তখন সরকারী আমলা ও জনপ্রতিনিধিরা তাদের দায়িত্ব ভুলে দুর্নীতির মহোৎসবে মেতে উঠেছে। ফলে করোনা চিকিৎসায় চরম অব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য খাতে সীমাহীন দুর্নীতি ও গণপরিবহণে অযাচিত ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে।

দেশে প্রথম শনাক্তের পর থেকেই করোনা চিকিৎসায় ছিল চরম অব্যবস্থাপনা। রোগী ভর্তি ও চিকিৎসায় বিড়ম্বনা, নমুনা প্রদানে বিড়ম্বনা, রোগী ও রোগীর স্বজনদের সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অশালীন আচরণ এখন নিয়মিত অভিযোগে পরিনত হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে তদারকি না করে তারা এ খাতে দুর্নীতির মহোৎসবে পরিণত হয়েছে।

অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতিতে কর্মচ্যুত মানুষগুলো লকডাউন শীথিল হওয়ার পর স্থানান্তরিত হতে গিয়ে গুণতে হচ্ছে অযাচিত ভাড়ার নির্যাতন। করোনায় বিপর্যস্ত দেশে এমন আচরণ মরার উপর খাড়ার ঘাঁ‘য় পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, একদিকে চিকিৎসা ব্যবস্থায় অব্যবস্থাপনা, অন্যদিকে ভয়াবহ দুর্নীতি। এ যেন বালিশ ও পর্দা কেলেঙ্কারীকেও হার মানিয়েছে।

গণমাধ্যম সূত্রে স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির যে খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে তা রীতিমত লোমহর্ষক। ১২০ থেকে ২৫০ টাকা মূল্যের রেইনকোর্ট জাতীয় পণ্য কিনে পিপিই বলে হাসপাতালে সরবরাহ করা হয়েছে। যার প্রত্যেকটি ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭০০ টাকা। এক লাখ সেফটি গগলস ক্রয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। প্রতিটি গগলসের দাম পড়বে ৫০০০ টাকা করে। শুধুমাত্র সেমিনারের জন্য ব্যায় ধারা হয়েছে ৪৫ কোটি টাকা ৫টি সফটওয়ারের ব্যায় ৫৫ কোটি টাকা।

আমরা এই মানববন্ধন থেকে সরকারের প্রতি আহবান করছি, অবিলম্বে এই মহাচুরির পরিকল্পনায় জড়িত প্রত্যেককে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসুন। অন্যথায় জনগণ এর হিসেব কশার জন্য আর অপেক্ষা করবে না।

তিনি আরো বলেন, গণপরিবহণে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি রীতিমতো সাধারণ মানুষের গলায় দড়ি লাগানোরই নামান্তর। যা কর্মচ্যুত মানুষগুলোকে আরো বেশি ভাবিয়ে তুলছে। জনগণের স্বার্থে গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। প্রয়োজনে পরিবহন মালিকদের ক্ষতিপূরণের জন্য সরকার কর্তৃত ভর্তূকি দেয়া হোক।

ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ আল আমীনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক কে এম শরীয়াতুল্লাহ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক এম এম শোয়াইব, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মাদ ইবরাহীম হুসাইন, সাবেক আলিয়া মাদরাসা সম্পাদক সাইফ মুহাম্মাদ সালমান, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, সদস্য সুলাইমান দেওয়ান সাকিব ও নগর নেতৃবৃন্দ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


করোনা চিকিৎসায় অব্যবস্থাপনা ও গণপরিবহণে ভাড়া বৃদ্ধি দেশকে চরম সংকটে নিয়ে যাবে

Update Time : ০৬:২৯:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুন ২০২০
কে এম শরীয়াতুল্লাহ:

করোনা চিকিৎসায় অব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি ও গণপরিবহণে ভাড়া বৃদ্ধি দেশকে চরম সংকটে নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ইশা ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।

আজ রোববার (০৭ জুন) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে করোনা চিকিৎসায় চরম অব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য খাতে সীমাহীন দুর্নীতি ও গণপরিবহণে অযাচিত ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুল জলিল বলেন –

দেশব্যপী করোনা ভাইরাস যখন মহামারী আকার ধারণ করেছে, তখন সরকারী আমলা ও জনপ্রতিনিধিরা তাদের দায়িত্ব ভুলে দুর্নীতির মহোৎসবে মেতে উঠেছে। ফলে করোনা চিকিৎসায় চরম অব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য খাতে সীমাহীন দুর্নীতি ও গণপরিবহণে অযাচিত ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে।

দেশে প্রথম শনাক্তের পর থেকেই করোনা চিকিৎসায় ছিল চরম অব্যবস্থাপনা। রোগী ভর্তি ও চিকিৎসায় বিড়ম্বনা, নমুনা প্রদানে বিড়ম্বনা, রোগী ও রোগীর স্বজনদের সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অশালীন আচরণ এখন নিয়মিত অভিযোগে পরিনত হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে তদারকি না করে তারা এ খাতে দুর্নীতির মহোৎসবে পরিণত হয়েছে।

অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতিতে কর্মচ্যুত মানুষগুলো লকডাউন শীথিল হওয়ার পর স্থানান্তরিত হতে গিয়ে গুণতে হচ্ছে অযাচিত ভাড়ার নির্যাতন। করোনায় বিপর্যস্ত দেশে এমন আচরণ মরার উপর খাড়ার ঘাঁ‘য় পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, একদিকে চিকিৎসা ব্যবস্থায় অব্যবস্থাপনা, অন্যদিকে ভয়াবহ দুর্নীতি। এ যেন বালিশ ও পর্দা কেলেঙ্কারীকেও হার মানিয়েছে।

গণমাধ্যম সূত্রে স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির যে খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে তা রীতিমত লোমহর্ষক। ১২০ থেকে ২৫০ টাকা মূল্যের রেইনকোর্ট জাতীয় পণ্য কিনে পিপিই বলে হাসপাতালে সরবরাহ করা হয়েছে। যার প্রত্যেকটি ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭০০ টাকা। এক লাখ সেফটি গগলস ক্রয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। প্রতিটি গগলসের দাম পড়বে ৫০০০ টাকা করে। শুধুমাত্র সেমিনারের জন্য ব্যায় ধারা হয়েছে ৪৫ কোটি টাকা ৫টি সফটওয়ারের ব্যায় ৫৫ কোটি টাকা।

আমরা এই মানববন্ধন থেকে সরকারের প্রতি আহবান করছি, অবিলম্বে এই মহাচুরির পরিকল্পনায় জড়িত প্রত্যেককে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসুন। অন্যথায় জনগণ এর হিসেব কশার জন্য আর অপেক্ষা করবে না।

তিনি আরো বলেন, গণপরিবহণে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি রীতিমতো সাধারণ মানুষের গলায় দড়ি লাগানোরই নামান্তর। যা কর্মচ্যুত মানুষগুলোকে আরো বেশি ভাবিয়ে তুলছে। জনগণের স্বার্থে গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। প্রয়োজনে পরিবহন মালিকদের ক্ষতিপূরণের জন্য সরকার কর্তৃত ভর্তূকি দেয়া হোক।

ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ আল আমীনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক কে এম শরীয়াতুল্লাহ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক এম এম শোয়াইব, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মাদ ইবরাহীম হুসাইন, সাবেক আলিয়া মাদরাসা সম্পাদক সাইফ মুহাম্মাদ সালমান, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, সদস্য সুলাইমান দেওয়ান সাকিব ও নগর নেতৃবৃন্দ।