মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মা-মেয়ে খুন

  • Update Time : ১২:৫১:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুন ২০২০
  • / 185
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একই ঘরে মা ও মেয়ে খুন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুন) দিবাগত রাত উপজেলার আশিদ্রোণ ইউনিয়নের পূর্ব জামসী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

নিহত ব্যক্তিরা হলেন জায়েদা বেগম (৫৫) ও তাঁর মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার (২৫)।

শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, একটি টিনের তৈরি বাড়ির ভেতরের একটি কক্ষে বিছানায় ও মাটিতে দুটি মরদেহ পড়ে আছে। শরীরে রক্তের ছাপ। ঘরের মেঝেতে রক্তের ছাপ। বাড়ির পেছনের একটি জায়গা ভাঙা। সেখানে মানুষের পায়ের ছাপ রয়েছে।

প্রতিবেশী ও জায়েদা বেগমের বোন মিনারা বেগম বলেন, তাঁর বোন ও বোনের মেয়ে রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাতে অনেক বৃষ্টি হয়েছে। সেই সময়েই তাঁদের হত্যা করা হয়েছে। বৃষ্টির জন্য তাঁরা কোনো চিৎকার বা চেঁচামেচির শব্দ শুনতে পারেননি। সকালে বাড়িতে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তাঁরা এলাকাবাসীকে ডাক দেন। ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে ডেকে নিয়ে এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দুজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা।

নিহত জায়েদা খাতুনের ছেলে ওহাহিদ মিয়া বলেন, তিনি উপজেলার মহাজিরাবাদ এলাকায় থাকেন। সকালে খবর পেয়ে তিনি এসেছেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁর বোন ইয়াসমিনের সঙ্গে স্বামী আজগর আলীর বনিবনা ছিল না। তাঁদের বিষয়টি নিয়ে গ্রাম্য সালিস ও মামলাও হয়েছে। প্রায় দেড় মাস ধরে তাঁর বোন আজগর আলীর সঙ্গ ত্যাগ করে বাবার বাড়িতে এসে থাকতেন। এই খুনের ঘটনায় আজগর আলীকে সন্দেহ করছেন পরিবারের লোকজন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্বিক) আনোয়ার হোসেন, শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুজ্জামান, শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুছ ছালেক ও ওসি (তদন্ত) সোহেল রানা।

হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটনে জেলা সিআইডি টিম আলামত সংগ্রহ করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ বলেন, ‘ঘটনাটি অনেক দুঃখজনক। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছি। শিগগিরই এ জোড়া হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করা হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মা-মেয়ে খুন

Update Time : ১২:৫১:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুন ২০২০
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একই ঘরে মা ও মেয়ে খুন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুন) দিবাগত রাত উপজেলার আশিদ্রোণ ইউনিয়নের পূর্ব জামসী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

নিহত ব্যক্তিরা হলেন জায়েদা বেগম (৫৫) ও তাঁর মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার (২৫)।

শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, একটি টিনের তৈরি বাড়ির ভেতরের একটি কক্ষে বিছানায় ও মাটিতে দুটি মরদেহ পড়ে আছে। শরীরে রক্তের ছাপ। ঘরের মেঝেতে রক্তের ছাপ। বাড়ির পেছনের একটি জায়গা ভাঙা। সেখানে মানুষের পায়ের ছাপ রয়েছে।

প্রতিবেশী ও জায়েদা বেগমের বোন মিনারা বেগম বলেন, তাঁর বোন ও বোনের মেয়ে রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাতে অনেক বৃষ্টি হয়েছে। সেই সময়েই তাঁদের হত্যা করা হয়েছে। বৃষ্টির জন্য তাঁরা কোনো চিৎকার বা চেঁচামেচির শব্দ শুনতে পারেননি। সকালে বাড়িতে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তাঁরা এলাকাবাসীকে ডাক দেন। ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে ডেকে নিয়ে এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দুজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা।

নিহত জায়েদা খাতুনের ছেলে ওহাহিদ মিয়া বলেন, তিনি উপজেলার মহাজিরাবাদ এলাকায় থাকেন। সকালে খবর পেয়ে তিনি এসেছেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁর বোন ইয়াসমিনের সঙ্গে স্বামী আজগর আলীর বনিবনা ছিল না। তাঁদের বিষয়টি নিয়ে গ্রাম্য সালিস ও মামলাও হয়েছে। প্রায় দেড় মাস ধরে তাঁর বোন আজগর আলীর সঙ্গ ত্যাগ করে বাবার বাড়িতে এসে থাকতেন। এই খুনের ঘটনায় আজগর আলীকে সন্দেহ করছেন পরিবারের লোকজন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্বিক) আনোয়ার হোসেন, শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুজ্জামান, শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুছ ছালেক ও ওসি (তদন্ত) সোহেল রানা।

হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটনে জেলা সিআইডি টিম আলামত সংগ্রহ করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ বলেন, ‘ঘটনাটি অনেক দুঃখজনক। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছি। শিগগিরই এ জোড়া হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করা হবে।