বুধবার (৩ জুন) বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজিবির এই জলযানগুলো যেকোনও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় চলাচলে সক্ষম। এগুলোতে স্বয়ংক্রিয় মেশিনগান সংযুক্তির সুবিধাসহ উন্নত প্রযুক্তির স্যাটেলাইট ন্যাভিগেশন সিস্টেম (রাডার), চতুর্থ প্রজম্মের জিপিএস, আধুনিক ছোনার সিস্টেমসহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক সরঞ্জাম রয়েছে। এই জলযান ৫০ কিলোমিটার দূরে শত্রুর জলযানের অবস্থান নিশ্চিত করতে পারে। এই জলযানে দুই জন মুমূর্ষ রোগী পরিবহনেরও ব্যবস্থা রয়েছে।
মায়ানমার সীমান্তের সেন্টমার্টিন দ্বীপ, নাফ নদী এবং ভারত সীমান্তের নীলডুমুরে ও সুন্দরবনের গহীন অরণ্যের জলসীমান্তে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখতে দ্রুতগতির এই জলযান বিজিবি‘র সক্ষমতা বাড়াবে। এছাড়াও সেন্টমার্টিন দ্বীপ এবং দেশের সীমান্ত এলাকার নদী পথগুলোকে সুরক্ষিত রাখবে এই যান। বিশেষ করে সীমান্ত অপরাধ দমন, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মানবপাচার, ইয়াবাসহ মাদকপাচার ও চোরাচালান বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
বাংলাদেশের ৪ হাজার ১৮৪ কিলোমিটার স্থল সীমান্তের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে ১৮০ কিলোমিটার নৌ সীমান্ত এবং মিয়ানমারের সঙ্গে ৬৩ কিলোমিটার নৌ সীমান্ত বিজিবি প্রত্যক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং টহল করে। এছাড়াও ২০১৯ সাল হতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থলভাগের সার্বিক নিরাপত্তায় বিজিবি নিয়োজিত আছে।