রাবিতে ছাত্র ফেডারেশনের কর্মসূচিতে প্রশাসনের বাধা

  • Update Time : ০৬:৪২:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 266

আসিফ আজাদ সিয়াম, রাবি সংবাদদাতা:

নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র ফেডারেশনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘লাশের মিছিল’ কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়(রাবি) প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

আজ বুধবার (১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুজ্জোহা চত্বর থেকে মিছিল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের বাধার কারণে কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।

পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ বেলা সাড়ে এগারোটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে সাদা কাফনের কাপড় পড়ে একত্রিত হতে থাকে সংগঠনের নেতা কর্মীরা। মিছিল শুরু হওয়ার মুহূর্তে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এসে মিছিলে বাধা দেয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের নেতা মহব্বত হোসেনকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিতর্কিত প্ল্যাকার্ডের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রক্টরের কার্যালয়ে নিয়ে যায়।

সহকারী প্রক্টর মোখলেসুর রহমান তখন ছাত্র ফেডারেশনের নেতা মহব্বত হোসেনকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ‘ডিসেম্বরের পহেলা তারিখ, তুমি শেখ হাসিনাকে কটুক্তি করে প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিল করবে। কেন এই প্ল্যাকার্ড ব্যবহার করবে? দেশ কি কিনে নিয়েছ? মঘের মুল্লুক নাকি?

এ সময় ছাত্রলীগের তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ক্যাম্পাসে কি করো তোমরা? পিটায়ে শোয়ায় দিতে পারো না? পিটায়ে শোয়ায় দিবা।’

এ ব্যাপারে ছাত্র ফেডারেশন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন বলেন, মহব্বত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘সড়কে নিয়মিত নৈরাজ্যের প্রতিবাদ জানাতে কর্মসূচির আয়োজন করেছিলাম আমরা। আমাদের কর্মসূচি প্রক্টোরিয়াল বডি নষ্ট করে দিয়েছে। উপরন্তু আমাকে তারা বিভিন্ন হুমকিও দিয়েছে। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

ছাত্র ফেডারেশন রাজশাহী মহানগর শাখার আহ্বায়ক জিন্নাত আরা বলেন, আমাদের কর্মসূচি ছিল মূলত নিরাপদ সড়কের দাবিতে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রক্টর জনা-দশেক ছেলেকে উদ্দেশ্য করে বলছে তোমরা এখানে দাঁড়িয়ে কি করছো? ওদের মেরে শুইয়ে ফেলতে পারো না? এটাতো একজন সহকারী প্রক্টরের মুখের ভাষা হতে পারে। ‘

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী প্রক্টর মোকলেসুর রহমান বলেন, ‘আমরা তাদেরকে কোনোরূপ হেনস্থা করি নি। ডিসেম্বরের এক তারিখ মুজিব শতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি করে তো কেউ পার পেয়ে চলে যেতে পারে না।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


রাবিতে ছাত্র ফেডারেশনের কর্মসূচিতে প্রশাসনের বাধা

Update Time : ০৬:৪২:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১

আসিফ আজাদ সিয়াম, রাবি সংবাদদাতা:

নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র ফেডারেশনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘লাশের মিছিল’ কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়(রাবি) প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

আজ বুধবার (১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুজ্জোহা চত্বর থেকে মিছিল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের বাধার কারণে কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।

পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ বেলা সাড়ে এগারোটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে সাদা কাফনের কাপড় পড়ে একত্রিত হতে থাকে সংগঠনের নেতা কর্মীরা। মিছিল শুরু হওয়ার মুহূর্তে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এসে মিছিলে বাধা দেয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের নেতা মহব্বত হোসেনকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিতর্কিত প্ল্যাকার্ডের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রক্টরের কার্যালয়ে নিয়ে যায়।

সহকারী প্রক্টর মোখলেসুর রহমান তখন ছাত্র ফেডারেশনের নেতা মহব্বত হোসেনকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ‘ডিসেম্বরের পহেলা তারিখ, তুমি শেখ হাসিনাকে কটুক্তি করে প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিল করবে। কেন এই প্ল্যাকার্ড ব্যবহার করবে? দেশ কি কিনে নিয়েছ? মঘের মুল্লুক নাকি?

এ সময় ছাত্রলীগের তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ক্যাম্পাসে কি করো তোমরা? পিটায়ে শোয়ায় দিতে পারো না? পিটায়ে শোয়ায় দিবা।’

এ ব্যাপারে ছাত্র ফেডারেশন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন বলেন, মহব্বত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘সড়কে নিয়মিত নৈরাজ্যের প্রতিবাদ জানাতে কর্মসূচির আয়োজন করেছিলাম আমরা। আমাদের কর্মসূচি প্রক্টোরিয়াল বডি নষ্ট করে দিয়েছে। উপরন্তু আমাকে তারা বিভিন্ন হুমকিও দিয়েছে। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

ছাত্র ফেডারেশন রাজশাহী মহানগর শাখার আহ্বায়ক জিন্নাত আরা বলেন, আমাদের কর্মসূচি ছিল মূলত নিরাপদ সড়কের দাবিতে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রক্টর জনা-দশেক ছেলেকে উদ্দেশ্য করে বলছে তোমরা এখানে দাঁড়িয়ে কি করছো? ওদের মেরে শুইয়ে ফেলতে পারো না? এটাতো একজন সহকারী প্রক্টরের মুখের ভাষা হতে পারে। ‘

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী প্রক্টর মোকলেসুর রহমান বলেন, ‘আমরা তাদেরকে কোনোরূপ হেনস্থা করি নি। ডিসেম্বরের এক তারিখ মুজিব শতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি করে তো কেউ পার পেয়ে চলে যেতে পারে না।’