শিল্পী সমিতির নির্বাচন করবো না: শাকিব খান

  • Update Time : ১২:২০:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 193

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আসন্ন দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে ‘প্রার্থী হচ্ছেন না’ বলে সাফ জানিয়ে দিলেন দেশীয় সিনেমার শীর্ষ তারকা শাকিব খান।

চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার নেয়া শাকিবের পরিস্কার কথা, ‘শিল্পী সমিতির কোনো নির্বাচনে আমি অংশ নিচ্ছি না।’

বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে আলাপে আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে শাকিব খান স্পষ্ট করে বলেন, আমি নির্বাচন করবো না।

ঢাকাই সিনেমার ‘নাম্বার ওয়ান’ এই চিত্রতারকা বললেন, নির্বাচন নিয়ে মোটেও ভাবি না। আর আমার এতো সময়ও নেই। সংগঠন দিয়ে কোনোভাবেই ইন্ডাস্ট্রি আগাবে না। সুতরাং এসবের মধ্যে আমি নেই।

সম্প্রতি প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক ও একাধিক অনলাইন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, শিল্পী সমিতির ২০২২-২৩ মেয়াদের নির্বাচনে ‘সভাপতি’ পদে প্রার্থী হচ্ছেন শাকিব খান। তার প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ!

বুধবার এমন বেশকিছু খবর নজরে এসেছে শাকিব খানের।

তিনি বলেন, আমাকে জড়িয়ে যেসব সংবাদ হয়েছে সেগুলো পুরোপুরি মনগড়া-আজগুবি। অনেকটা হাওয়া থেকে পাওয়া নিউজ।

শাকিব বিষয়টিকে ‘ফেইক’ উল্লেখ করে বলেন, অনেকসময় দেখি সেনসেটিভ বিষয়ে আমার সাথে কথা না বলে আমার ‘মন্তব্য’ তুলে দেয়া হয়। পরে অনেকেই আমাকে বলে, আমি এটা বলেছি, ওটা বলেছি। এসবে খুব বিব্রত হই।

“যে বা যারা আমাকে জড়িয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার নিউজ করেছে কেউ আমার সাথে কথা বলেনি। যারা নিউজ করেছে অনেককে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না; আবার চিনলেও গত ছয়মাসেও তাদের সাথে দেখা হয়নি, এসব নিয়ে আলাপ হয়নি।”

এর আগে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির টানা দুইবার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন শাকিব খান। সংশ্লিষ্টদের মতে, শাকিবের সেই মেয়াদে সমিতির সৌন্দর্য বৃদ্ধি, বাগান তৈরিসহ শিল্পীদের স্বার্থরক্ষায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছিল।

একাধিক সিনিয়র শিল্পীদের কথা, তখন সকল শিল্পীদের মধ্যে একতা ছিল। পারস্পরিক বন্ধন অটুট ছিল। শিল্পীর বিপদে তাকে দূরে ঠেলে দেয়া হতো না। ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ ছিল। তার পরবর্তীকালে যারাই ক্ষমতায় এসেছেন, তারা শিল্পীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সঠিক সিদ্ধান্ত নেননি। শিল্পীদের মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়েছে, একতা নেই। অনেকেই তাই সমিতি বিমুখ।

কথা প্রসঙ্গে শাকিব খান জানান, তার সিনেমার ব্যস্ততা তূলনামূলক বেড়ে যাওয়ায় তৃতীয়বার স্বেচ্ছায় নির্বাচনে অংশ নেননি। আগামীতে ইন্ডাস্ট্রি চাঙ্গা করতে তার পূর্ণ মনোযোগ কাজে থাকবে। তাই তিনি নির্বাচন করবেন না।

শাকিব খান বলেন, আরও আগে নিপুণ আমাকে বলেছিল রিয়াজ ভাইদের নিয়ে আমাকে রেখে নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু তখনই আমি না করে দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, নির্বাচন করলে পরপর দুবার নির্বাচিত হওয়ার পর তৃতীয়বারও করতাম। সেচ্ছায় যেহেতু সরে এসেছি আর এসবে নিজেকে জড়াতে চাই না।

শাকিব খান মনে করেন, সমিতি নিয়ে মাতামাতি ও নির্বাচন করলে ইন্ডাস্ট্রি কোনোভাবেই আগাবে না। ইন্ডাস্ট্রি এগিয়ে নিতে হলে ভালো ভালো কাজ করতে হবে। ভালো কাজের জন্য চেষ্টা মূখ্য, সমিতি বা নির্বাচন নয়।

শাকিবের প্রশ্ন, রাজ্জাক আঙ্কেল (নায়করাজ রাজ্জাক) নির্বাচন করে কতদিন ছিলেন? বলিউডের অমিতাভ বচ্চন তার সমগ্র ক্যারিয়ারে কোনো সংগঠন নিয়ে এতো মাথা ঘামিয়েছিলেন? তাছাড়া ইন্ডাস্ট্রি এগিয়ে নিতে সংগঠনের মূলই বা কতটুকু?

Please Share This Post in Your Social Media


শিল্পী সমিতির নির্বাচন করবো না: শাকিব খান

Update Time : ১২:২০:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আসন্ন দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে ‘প্রার্থী হচ্ছেন না’ বলে সাফ জানিয়ে দিলেন দেশীয় সিনেমার শীর্ষ তারকা শাকিব খান।

চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার নেয়া শাকিবের পরিস্কার কথা, ‘শিল্পী সমিতির কোনো নির্বাচনে আমি অংশ নিচ্ছি না।’

বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে আলাপে আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে শাকিব খান স্পষ্ট করে বলেন, আমি নির্বাচন করবো না।

ঢাকাই সিনেমার ‘নাম্বার ওয়ান’ এই চিত্রতারকা বললেন, নির্বাচন নিয়ে মোটেও ভাবি না। আর আমার এতো সময়ও নেই। সংগঠন দিয়ে কোনোভাবেই ইন্ডাস্ট্রি আগাবে না। সুতরাং এসবের মধ্যে আমি নেই।

সম্প্রতি প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক ও একাধিক অনলাইন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, শিল্পী সমিতির ২০২২-২৩ মেয়াদের নির্বাচনে ‘সভাপতি’ পদে প্রার্থী হচ্ছেন শাকিব খান। তার প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ!

বুধবার এমন বেশকিছু খবর নজরে এসেছে শাকিব খানের।

তিনি বলেন, আমাকে জড়িয়ে যেসব সংবাদ হয়েছে সেগুলো পুরোপুরি মনগড়া-আজগুবি। অনেকটা হাওয়া থেকে পাওয়া নিউজ।

শাকিব বিষয়টিকে ‘ফেইক’ উল্লেখ করে বলেন, অনেকসময় দেখি সেনসেটিভ বিষয়ে আমার সাথে কথা না বলে আমার ‘মন্তব্য’ তুলে দেয়া হয়। পরে অনেকেই আমাকে বলে, আমি এটা বলেছি, ওটা বলেছি। এসবে খুব বিব্রত হই।

“যে বা যারা আমাকে জড়িয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার নিউজ করেছে কেউ আমার সাথে কথা বলেনি। যারা নিউজ করেছে অনেককে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না; আবার চিনলেও গত ছয়মাসেও তাদের সাথে দেখা হয়নি, এসব নিয়ে আলাপ হয়নি।”

এর আগে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির টানা দুইবার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন শাকিব খান। সংশ্লিষ্টদের মতে, শাকিবের সেই মেয়াদে সমিতির সৌন্দর্য বৃদ্ধি, বাগান তৈরিসহ শিল্পীদের স্বার্থরক্ষায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছিল।

একাধিক সিনিয়র শিল্পীদের কথা, তখন সকল শিল্পীদের মধ্যে একতা ছিল। পারস্পরিক বন্ধন অটুট ছিল। শিল্পীর বিপদে তাকে দূরে ঠেলে দেয়া হতো না। ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ ছিল। তার পরবর্তীকালে যারাই ক্ষমতায় এসেছেন, তারা শিল্পীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সঠিক সিদ্ধান্ত নেননি। শিল্পীদের মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়েছে, একতা নেই। অনেকেই তাই সমিতি বিমুখ।

কথা প্রসঙ্গে শাকিব খান জানান, তার সিনেমার ব্যস্ততা তূলনামূলক বেড়ে যাওয়ায় তৃতীয়বার স্বেচ্ছায় নির্বাচনে অংশ নেননি। আগামীতে ইন্ডাস্ট্রি চাঙ্গা করতে তার পূর্ণ মনোযোগ কাজে থাকবে। তাই তিনি নির্বাচন করবেন না।

শাকিব খান বলেন, আরও আগে নিপুণ আমাকে বলেছিল রিয়াজ ভাইদের নিয়ে আমাকে রেখে নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু তখনই আমি না করে দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, নির্বাচন করলে পরপর দুবার নির্বাচিত হওয়ার পর তৃতীয়বারও করতাম। সেচ্ছায় যেহেতু সরে এসেছি আর এসবে নিজেকে জড়াতে চাই না।

শাকিব খান মনে করেন, সমিতি নিয়ে মাতামাতি ও নির্বাচন করলে ইন্ডাস্ট্রি কোনোভাবেই আগাবে না। ইন্ডাস্ট্রি এগিয়ে নিতে হলে ভালো ভালো কাজ করতে হবে। ভালো কাজের জন্য চেষ্টা মূখ্য, সমিতি বা নির্বাচন নয়।

শাকিবের প্রশ্ন, রাজ্জাক আঙ্কেল (নায়করাজ রাজ্জাক) নির্বাচন করে কতদিন ছিলেন? বলিউডের অমিতাভ বচ্চন তার সমগ্র ক্যারিয়ারে কোনো সংগঠন নিয়ে এতো মাথা ঘামিয়েছিলেন? তাছাড়া ইন্ডাস্ট্রি এগিয়ে নিতে সংগঠনের মূলই বা কতটুকু?