নেত্রকোনায় দাফনের ২ মাস পর মরদেহ উত্তোলন

  • Update Time : ১০:০৫:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১
  • / 201

নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি:

নেত্রকোনার পূর্বধলায় ভুল চিকিৎসায় হাবিবুর রহমান (৩৫) নামের এক যুবকের মৃত্যুর দুইমাস পর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।

রোববার (১৮ জুলাই) সকালে আদালতের নির্দেশে পূর্বধলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন বেগম সেতুর উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

হাবিবুর রহমান উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের দুগাছি গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে।

মামলার বাদী মো. স্বপন মিয়া জানান, আমার ভাইয়ের থুতনির নিচে একটি টিউমার দেখা দিলে ময়মনসিংহ ডাক্তারের কাছে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাই। সেখানে ডাক্তার অপারেশন করে টিউমার অপসারণ করার জন্য পরামর্শ দিলে টাকা জোগাড় করে অপারেশন করব বলে বাড়িতে নিয়ে আসি।

পরবর্তীতে গত ১৮ মে (মঙ্গলবার) এলাকার কাপাসিয়া গ্রামের মৃত ফজু মুন্সির ছেলে পল্লী চিকিৎসক নুরুল আমিন অপারেশন করার ব্যবস্থা করে দিবেন বলে আশ্বাস দেন। প্রথমে কাপাসিয়া বাজারের তার নিজস্ব চেম্বারে নিয়ে যান। পরে ময়মনসিংহের চরপাড়া হাসপাতালের সামনে বিএন ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে বিশেষজ্ঞ সার্জন ছাড়াই তার অপারেশন করা হলে প্রচুর রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে নুরুল আমিন সেখান থেকে পালিয়ে যান। নুরুল আমিনের লোকজনের চাপে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করা হয়।

হাবিবুর রহমানের স্ত্রী নূরজাহান বেগম জানান, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়া নুরুল আমিন নিজেই অপারেশনের নামে ভুল চিকিৎসায় আমার স্বামীকে হত্যা করে। নুরুল আমিনের লোকজনের হুমকি ও স্থানীয় লোকজনের আশ্বাসে প্রথমে মামলা করা হয়নি। বর্তমানে আমি ছেলে মেয়েদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম জানান, ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে পূর্বধলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন বেগম সেতু বলেন, আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করে সুরতহাল রিপোর্ট করে নেত্রকোনা পাঠানো হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media


নেত্রকোনায় দাফনের ২ মাস পর মরদেহ উত্তোলন

Update Time : ১০:০৫:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১

নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি:

নেত্রকোনার পূর্বধলায় ভুল চিকিৎসায় হাবিবুর রহমান (৩৫) নামের এক যুবকের মৃত্যুর দুইমাস পর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।

রোববার (১৮ জুলাই) সকালে আদালতের নির্দেশে পূর্বধলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন বেগম সেতুর উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

হাবিবুর রহমান উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের দুগাছি গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে।

মামলার বাদী মো. স্বপন মিয়া জানান, আমার ভাইয়ের থুতনির নিচে একটি টিউমার দেখা দিলে ময়মনসিংহ ডাক্তারের কাছে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাই। সেখানে ডাক্তার অপারেশন করে টিউমার অপসারণ করার জন্য পরামর্শ দিলে টাকা জোগাড় করে অপারেশন করব বলে বাড়িতে নিয়ে আসি।

পরবর্তীতে গত ১৮ মে (মঙ্গলবার) এলাকার কাপাসিয়া গ্রামের মৃত ফজু মুন্সির ছেলে পল্লী চিকিৎসক নুরুল আমিন অপারেশন করার ব্যবস্থা করে দিবেন বলে আশ্বাস দেন। প্রথমে কাপাসিয়া বাজারের তার নিজস্ব চেম্বারে নিয়ে যান। পরে ময়মনসিংহের চরপাড়া হাসপাতালের সামনে বিএন ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে বিশেষজ্ঞ সার্জন ছাড়াই তার অপারেশন করা হলে প্রচুর রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে নুরুল আমিন সেখান থেকে পালিয়ে যান। নুরুল আমিনের লোকজনের চাপে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করা হয়।

হাবিবুর রহমানের স্ত্রী নূরজাহান বেগম জানান, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়া নুরুল আমিন নিজেই অপারেশনের নামে ভুল চিকিৎসায় আমার স্বামীকে হত্যা করে। নুরুল আমিনের লোকজনের হুমকি ও স্থানীয় লোকজনের আশ্বাসে প্রথমে মামলা করা হয়নি। বর্তমানে আমি ছেলে মেয়েদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম জানান, ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে পূর্বধলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন বেগম সেতু বলেন, আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করে সুরতহাল রিপোর্ট করে নেত্রকোনা পাঠানো হয়েছে।