সিলেটে কয়েক দফায় ভূমিকম্পের পর মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে এবার ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে সিসিক। ইতোমধ্যে ছয়টি মার্কেট, এক দোকান ও একটি আবাসিক ভবনকে ১০ দিনের জন্য বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিসিকের প্রকৌশল বিভাগ সিলেটের ঝুঁকিপূর্ণ ২২ ভবন চিহ্নিত করেছে।
ভূমিকম্পের ‘ডেঞ্জার জোন’ হিসেবে পরিচিত সিলেটে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল ভবনগুলো। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে এসব ভবন ভেঙে পড়ে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রবিবার (৩০ মে ) বিকেলে সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে সিসিকের অভিযানকারী দল নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে অভিযান পরিচালনা করেছে।
সিসিক সূত্র জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকায় রয়েছে সুরমা মার্কেট, সিটি সুপার মার্কেট, মধুবন সুপার মার্কেট, সমবায় মার্কেট, মিতালী ম্যানশন ও রাজা ম্যানশন মার্কেট। এসব মার্কেট আগামী ১০ দিনের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে মার্কেট কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা সিসিকের নির্দেশনা মেনে নেন।
এদিকে জিন্দাবাজারের জেন্টস গ্যালারি নামক একটি দোকান ও পনিটুলার একটি আবাসিক ভবন ১০ দিনের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রয়েছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উত্তর পাশের কালেক্টরেট ভবন, জেলরোডস্থ সমবায় ব্যাংক ভবন, একই এলাকায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সাবেক কার্যালয় ভবন, দরগাগেটের হোটেল আজমির, টিলাগড় কালাশীলের মান্নান ভিউ, শেখঘাট শুভেচ্ছা-২২৬ নম্বর ভবন, যতরপুরের নবপুষ্প ২৬/এ বাসা, চৌকিদেখির ৫১/৩ সরকার ভবনসহ আরও কয়েকটি ভবন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী বলেন, সিসিক অভিযান চালিয়ে তালিকাভুক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আগামী ১০ দিনের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে অভিযানও চালিয়ে যাচ্ছে সিসিক। কেউ যদি নির্দেশনা না মানেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।