জিজানে অবস্তানরত বাংলাদেশীর জন্য কন্সুলেট সেবা

  • Update Time : ০৮:৪৭:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মে ২০২১
  • / 317
সৌদি আরব প্রতিনিধি:
জিজান সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের জাজন অঞ্চলের প্রধান শহর। এ শহরের উত্তরে রয়েছে ইয়েমেন সীমান্ত। শহরটি কৃষি খামারের জন্য বিখ্যাত। অসংখ্য বাংলাদেশিরা এখানে আম, ডুমুর, এবং পেঁপের মত গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফলের চাষের কাজে নিয়োজিত।
.
এ শহরের গড়ে উঠছে সৌদি সালতানাতের বৃহৎ বিনিয়োগে বিশেষ অর্থ ও বাণিজ্যকেন্দ্র। প্রায় ১ লক্ষ বাংলাদেশী এই জিজান শহরে বসবাস করেন। তারা বিভিন্ন পেশায় যেমন: মহিলা গৃহকর্মী, কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার, কার্পেন্টার, প্লাম্বার, মেইনটেনেন্স ওয়ার্কার, ড্রাইভারসহ নানা পেশায় নিয়োজিত।
.
কোভিড পরিস্থিতির কারণে সৌদি সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রায় ০৮ মাস পর বাংলাদেশ দুতাবাস, জেদ্দা হতে আমরা প্রায় ১৬-১৭ জন কর্মকর্তা কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল – এর নেতৃত্বে সরাসরি সেখানে তাদের বিভিন্ন সেবা যেমন: পাসপোর্ট রি ইস্যু,প্রবাসী মেম্বারশীপ কার্ড ইস্যু/ডেলিভারী, স্পেশাল এক্সিট প্রোগ্রামের আওতায় যারা স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত যেতে ইচ্ছুক, তাদের বিষয় প্রসেস করা, আউটপাস ইস্যুসহ প্রবাসী বাংলাদেশীদের নানামুখী আইনী সহায়তা প্রদান, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড ইস্যুসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রবাসীদের দড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যে এখানে ২ দিন অবস্থান করবেন।
.
No description available.
.
কনস্যুলার সেবাটি কনসাল জেনারেল নাজমুল হক সরাসরি তত্ত্বাবধান করছেন। তিনি নিজেই প্রবাসীদের কথা সরাসরি শুনছেন এবংতাৎক্ষণিক সমাধান করার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছেন। প্রবাসীদের নানামুখি সমস্যা যেমন কফিলের হুরুপ প্রদান, বেতন ভাতাদি সঠিকভাবে না পাওয়াসহ অনেক সমস্যা বিদ্যমান। সেই সমস্যাগুলো দুতাবাসের শ্রম কল্যাণ উইংয়ের প্রথম সচিব মো: আরিফুজ্জামান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: সিরাজুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ সেগুলো বিদ্যমান সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের জন্য আইনী পরামর্শসহ Special Exit program (SEP) এর আওতায় যারা দেশে যেতে ইচ্ছুক তাদের আবেদন প্রসেস করছেন।
.
দুতাবাসের কর্মকর্তাদের এমন উদ্যোগের কারণে সম্মানিত প্রবাসীরা অত্যন্ত খুশি। তারা দুতাবাসের এমন উদ্যোগে অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কারণ এই সেবাটি তারা যদি জেদ্দায় গিয়ে নিতে হতো তাহলে কোম্পানী হতে বিনা বেতনে কমপক্ষে ২ দিন ছুটি নিতে হতো। সেটা তারা স্বস্থানে বসেই ছুটির দিনেই সেবাটি পাচ্ছেন।

Please Share This Post in Your Social Media


জিজানে অবস্তানরত বাংলাদেশীর জন্য কন্সুলেট সেবা

Update Time : ০৮:৪৭:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মে ২০২১
সৌদি আরব প্রতিনিধি:
জিজান সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের জাজন অঞ্চলের প্রধান শহর। এ শহরের উত্তরে রয়েছে ইয়েমেন সীমান্ত। শহরটি কৃষি খামারের জন্য বিখ্যাত। অসংখ্য বাংলাদেশিরা এখানে আম, ডুমুর, এবং পেঁপের মত গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফলের চাষের কাজে নিয়োজিত।
.
এ শহরের গড়ে উঠছে সৌদি সালতানাতের বৃহৎ বিনিয়োগে বিশেষ অর্থ ও বাণিজ্যকেন্দ্র। প্রায় ১ লক্ষ বাংলাদেশী এই জিজান শহরে বসবাস করেন। তারা বিভিন্ন পেশায় যেমন: মহিলা গৃহকর্মী, কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার, কার্পেন্টার, প্লাম্বার, মেইনটেনেন্স ওয়ার্কার, ড্রাইভারসহ নানা পেশায় নিয়োজিত।
.
কোভিড পরিস্থিতির কারণে সৌদি সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রায় ০৮ মাস পর বাংলাদেশ দুতাবাস, জেদ্দা হতে আমরা প্রায় ১৬-১৭ জন কর্মকর্তা কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল – এর নেতৃত্বে সরাসরি সেখানে তাদের বিভিন্ন সেবা যেমন: পাসপোর্ট রি ইস্যু,প্রবাসী মেম্বারশীপ কার্ড ইস্যু/ডেলিভারী, স্পেশাল এক্সিট প্রোগ্রামের আওতায় যারা স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত যেতে ইচ্ছুক, তাদের বিষয় প্রসেস করা, আউটপাস ইস্যুসহ প্রবাসী বাংলাদেশীদের নানামুখী আইনী সহায়তা প্রদান, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড ইস্যুসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রবাসীদের দড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যে এখানে ২ দিন অবস্থান করবেন।
.
No description available.
.
কনস্যুলার সেবাটি কনসাল জেনারেল নাজমুল হক সরাসরি তত্ত্বাবধান করছেন। তিনি নিজেই প্রবাসীদের কথা সরাসরি শুনছেন এবংতাৎক্ষণিক সমাধান করার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছেন। প্রবাসীদের নানামুখি সমস্যা যেমন কফিলের হুরুপ প্রদান, বেতন ভাতাদি সঠিকভাবে না পাওয়াসহ অনেক সমস্যা বিদ্যমান। সেই সমস্যাগুলো দুতাবাসের শ্রম কল্যাণ উইংয়ের প্রথম সচিব মো: আরিফুজ্জামান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: সিরাজুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ সেগুলো বিদ্যমান সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের জন্য আইনী পরামর্শসহ Special Exit program (SEP) এর আওতায় যারা দেশে যেতে ইচ্ছুক তাদের আবেদন প্রসেস করছেন।
.
দুতাবাসের কর্মকর্তাদের এমন উদ্যোগের কারণে সম্মানিত প্রবাসীরা অত্যন্ত খুশি। তারা দুতাবাসের এমন উদ্যোগে অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কারণ এই সেবাটি তারা যদি জেদ্দায় গিয়ে নিতে হতো তাহলে কোম্পানী হতে বিনা বেতনে কমপক্ষে ২ দিন ছুটি নিতে হতো। সেটা তারা স্বস্থানে বসেই ছুটির দিনেই সেবাটি পাচ্ছেন।