ডিভোর্সের পরও পাসপোর্টে তামিমার স্বামী রাকিব!

  • Update Time : ১১:২২:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 279

নিজস্ব প্রতিনিধি:

বাংলাদেশের ক্রিকেটে ‘ব্যাড বয়’ খ্যাত নাসির হোসেন এবং তামিমা তাম্মির বিয়ের পর থেকেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তামিমার আগের স্বামী রাকিব হাসানকে ডিভোর্স না দিয়েই নাসিরকে বিয়ে করেছেন বলে প্রথম অভিযোগ তোলেন রাকিব। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে আদালতে মামলাও করছেন তিনি।

এদিকে বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বনানীতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে বিয়ে নিয়ে উদ্ভুত আলোচনা-সমালোচনার জবাব দিয়েছেন ক্রিকেটার নাসির ও তামিমা তাম্মি। ব্রিফিংয়ে নাসির ও তামিমা দাবি করেন, তারা দেশের আইন ও ধর্মীয় বিধান মেনে বিয়ে করেছেন। রাকিবের সঙ্গে তামিমার বৈবাহিক সম্পর্ক শেষ হয়েছে প্রায় পাঁচ বছর আগে। ২০১৬ সালে তামিমা ডিভোর্সের আবেদন করেন এবং ২০১৭ সালে ডিভোর্স হয়।

কিন্তু বিপত্তি বাধে অন্যখানে। সংবাদ সম্মেলনে তামিমা যে কাগজ উপস্থাপন করেছেন, তাতে দেখা যায় ২০১৬ সালের ২৩ ডিসেম্বর নিজে রাকিব হাসানকে ‘তালাক নোটিশ’ দিয়েছেন। অন্যদিকে নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে মামলার ডকেটে পাসপোর্টের যে নথি সংযুক্ত করেছেন রাকিবের আইনজীবী ইশরাত হাসান সেটিতে দেখা যায়, ২০১৮ সালে করা পাসপোর্ট ইস্যুতে স্বামীর ঘরে রাকিব হাসানের নাম ‘উল্লেখ’ করেছেন তামিমা। একই সঙ্গে ইমার্জেন্সি কন্ট্রাকেও স্বামী রাকিব হাসানের নাম উল্লেখ রয়েছে।

২০১৮ সালের ৪ মার্চ পাসপোর্টটি প্রদান করা হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে এবং ২০২৩ সালের ৩ মার্চ এটির মেয়াদ শেষ হবে।

পাসপোর্টের ধরণ বলছে, এটি রি-ইস্যু করা। পাসপোর্টটির বর্তমান নম্বর বিআর দিয়ে শুরু হয়ে ৫৩ ডিজিট উল্লেখ করে শেষ হয়েছে। অন্যদিকে তার পুরাতন পাসপোর্টটি বিএ দিয়ে শুরু হয়ে ১১ ডিজিট উল্লেখ করে শেষ হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, কোনটি সঠিক? ডিভোর্স পেপার না কি পাসপোর্ট?

এ বিষয়ে রাকিব হাসানের আইনজীবী ইশারত হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, তামিমা সুলতানা আমার মক্কেল রাকিবের স্ত্রী হয়েও তাকে তালাক না দিয়ে ক্রিকেটার নাসিরকে বিয়ে করেছেন। যা আইনসিদ্ধ নয়। এখানে রাকিব হাসান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে এবং তার মানহানি হয়েছে।

এ সংক্রান্তে পাসপোর্টের কপিসহ অন্যান্য নথি আমরা মামলার ডকেটে সংযুক্ত করেছি। এসব ডকুমেন্ট আদালত বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা পূর্বক নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে আমরা আশাবাদী। ইতোমধ্যে মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলাটি তদন্ত করে আগামী ৩০ মার্চ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

ইশরাত হাসান আরও বলেন, মামলায় তামিমা সুলতানা তাম্মিকে এক নম্বর ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে। দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪৯৪, ৪৯৭, ৪৯৮, ৫০০ এবং ৩৪ ধারায় এ মামলা করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বাদীর সঙ্গে ১ নম্বর আসামি তামিমা সুলতানার ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ৩,০০,০০১ (তিন লক্ষ এক) টাকা দেনমোহর ধার্যে বিবাহ সম্পন্ন হয় এবং রেজিস্ট্রি হয়। বিয়ের পর থেকে বাদী ও ১ নম্বর আসামি স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করতে থাকেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের সংসারে বাদীর ঔরসে ১নং আসামির গর্ভে একজন কন্যা সন্তানের জন্ম হয়, যার নাম রাখা হয় তোবা হাসান, বয়স-৮ বছর। ১ নম্বর আসামি (তাম্মি) পেশায় একজন কেবিন ক্রু। তিনি সৌদি এয়ারলাইন্সে কর্মরত। চাকরির সুবাদে তিনি গত ১০ মার্চ সৌদিতে গিয়েছিলেন। করোনা মহামারির কারণে জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হলে সেখানেই অবস্থান করতে থাকেন।

গেল ১৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেছেন ক্রিকেটার নাসির হোসেন। বিয়েকে স্মরণীয় করতে ভালোবাসা দিবসটিকেই বেছে নেন তিনি। নাসিরের স্ত্রীর নাম তামিমা তাম্মি। পেশায় কেবিন ক্রু। কিন্তু বিয়ের সপ্তাহ পার না হতেই চরম বিতর্ক শুরু হয়েছে।

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নাসিরের স্ত্রীকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সকাল থেকে সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তামিমার আরেক স্বামী ও সন্তানের ছবি। রাকিব নামে ওই স্বামীর সঙ্গে তার বিয়ে হয় ১১ বছর আগে। সেই ঘরে কন্যা সন্তানের বয়স এখন নয় বছর।

নাসিরের সঙ্গে বিয়ের ভিডিও ও খবর ছড়িয়ে পড়ায় বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় এ জিডিটি করেন বলে নিশ্চিত করেন উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও (ওসি) শাহ মো. আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস।

জিডিতে রাকিব উল্লেখ করেন, তামিমার সঙ্গে এখনো তার ডিভোর্স হয়নি। ডিভোর্স ছাড়া স্ত্রী কীভাবে অন্যের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন সেই প্রশ্ন তার। এজন্য স্ত্রীর বিরুদ্ধে জিডি করেছেন তিনি।

পরে জিডির কপি ও তাদের বিয়ের কাবিননামাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। জিডিতে রাকিব অভিযোগ করেছেন, তার সঙ্গে সংসার করা অবস্থায় তামিমা গোপনে আরেকজনের কাছে চলে যায়। সেখানে ছয় মাস সংসারও করেন।

জিডি সূত্রে আরও জানা যায়, তামিমা ছয় মাস যে ছেলের সঙ্গে সংসার করেছেন ওই ছেলের নাম অলক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি অডিও ক্লিপে এই ছেলের বিষয়েই নাসির ও রাকিবের মধ্যে কথোপকথন হয়।

শনিবার রাকিব তামিমা ও তার সম্পর্কের নানা বিষয়ে কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, তামিমাকে তিনি দুইবার বিয়ে করেছেন। অর্থাৎ তামিমার জীবনে তিন স্বামী (নাসির হোসেন, অলোক ও রাকিব) এলেও বিয়ে করেছেন চারবার।

রাকিব বলেন, প্রেম করে বিয়ে করেছিলাম। সে আসলে আমাকে চাপ দিয়েই বিয়ে করেছিল। প্রথমে আমরা টাঙ্গাইলে কোর্ট ম্যারেজ করেছিলাম। পরে আমরা বিয়ে করি বরিশালে। আমার বউকেই দুইবার বিয়ে করেছি। এরপর সংসার শুরু করি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ডিভোর্সের পরও পাসপোর্টে তামিমার স্বামী রাকিব!

Update Time : ১১:২২:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

নিজস্ব প্রতিনিধি:

বাংলাদেশের ক্রিকেটে ‘ব্যাড বয়’ খ্যাত নাসির হোসেন এবং তামিমা তাম্মির বিয়ের পর থেকেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তামিমার আগের স্বামী রাকিব হাসানকে ডিভোর্স না দিয়েই নাসিরকে বিয়ে করেছেন বলে প্রথম অভিযোগ তোলেন রাকিব। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে আদালতে মামলাও করছেন তিনি।

এদিকে বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বনানীতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে বিয়ে নিয়ে উদ্ভুত আলোচনা-সমালোচনার জবাব দিয়েছেন ক্রিকেটার নাসির ও তামিমা তাম্মি। ব্রিফিংয়ে নাসির ও তামিমা দাবি করেন, তারা দেশের আইন ও ধর্মীয় বিধান মেনে বিয়ে করেছেন। রাকিবের সঙ্গে তামিমার বৈবাহিক সম্পর্ক শেষ হয়েছে প্রায় পাঁচ বছর আগে। ২০১৬ সালে তামিমা ডিভোর্সের আবেদন করেন এবং ২০১৭ সালে ডিভোর্স হয়।

কিন্তু বিপত্তি বাধে অন্যখানে। সংবাদ সম্মেলনে তামিমা যে কাগজ উপস্থাপন করেছেন, তাতে দেখা যায় ২০১৬ সালের ২৩ ডিসেম্বর নিজে রাকিব হাসানকে ‘তালাক নোটিশ’ দিয়েছেন। অন্যদিকে নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে মামলার ডকেটে পাসপোর্টের যে নথি সংযুক্ত করেছেন রাকিবের আইনজীবী ইশরাত হাসান সেটিতে দেখা যায়, ২০১৮ সালে করা পাসপোর্ট ইস্যুতে স্বামীর ঘরে রাকিব হাসানের নাম ‘উল্লেখ’ করেছেন তামিমা। একই সঙ্গে ইমার্জেন্সি কন্ট্রাকেও স্বামী রাকিব হাসানের নাম উল্লেখ রয়েছে।

২০১৮ সালের ৪ মার্চ পাসপোর্টটি প্রদান করা হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে এবং ২০২৩ সালের ৩ মার্চ এটির মেয়াদ শেষ হবে।

পাসপোর্টের ধরণ বলছে, এটি রি-ইস্যু করা। পাসপোর্টটির বর্তমান নম্বর বিআর দিয়ে শুরু হয়ে ৫৩ ডিজিট উল্লেখ করে শেষ হয়েছে। অন্যদিকে তার পুরাতন পাসপোর্টটি বিএ দিয়ে শুরু হয়ে ১১ ডিজিট উল্লেখ করে শেষ হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, কোনটি সঠিক? ডিভোর্স পেপার না কি পাসপোর্ট?

এ বিষয়ে রাকিব হাসানের আইনজীবী ইশারত হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, তামিমা সুলতানা আমার মক্কেল রাকিবের স্ত্রী হয়েও তাকে তালাক না দিয়ে ক্রিকেটার নাসিরকে বিয়ে করেছেন। যা আইনসিদ্ধ নয়। এখানে রাকিব হাসান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে এবং তার মানহানি হয়েছে।

এ সংক্রান্তে পাসপোর্টের কপিসহ অন্যান্য নথি আমরা মামলার ডকেটে সংযুক্ত করেছি। এসব ডকুমেন্ট আদালত বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা পূর্বক নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে আমরা আশাবাদী। ইতোমধ্যে মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলাটি তদন্ত করে আগামী ৩০ মার্চ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

ইশরাত হাসান আরও বলেন, মামলায় তামিমা সুলতানা তাম্মিকে এক নম্বর ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে। দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪৯৪, ৪৯৭, ৪৯৮, ৫০০ এবং ৩৪ ধারায় এ মামলা করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বাদীর সঙ্গে ১ নম্বর আসামি তামিমা সুলতানার ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ৩,০০,০০১ (তিন লক্ষ এক) টাকা দেনমোহর ধার্যে বিবাহ সম্পন্ন হয় এবং রেজিস্ট্রি হয়। বিয়ের পর থেকে বাদী ও ১ নম্বর আসামি স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করতে থাকেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের সংসারে বাদীর ঔরসে ১নং আসামির গর্ভে একজন কন্যা সন্তানের জন্ম হয়, যার নাম রাখা হয় তোবা হাসান, বয়স-৮ বছর। ১ নম্বর আসামি (তাম্মি) পেশায় একজন কেবিন ক্রু। তিনি সৌদি এয়ারলাইন্সে কর্মরত। চাকরির সুবাদে তিনি গত ১০ মার্চ সৌদিতে গিয়েছিলেন। করোনা মহামারির কারণে জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হলে সেখানেই অবস্থান করতে থাকেন।

গেল ১৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেছেন ক্রিকেটার নাসির হোসেন। বিয়েকে স্মরণীয় করতে ভালোবাসা দিবসটিকেই বেছে নেন তিনি। নাসিরের স্ত্রীর নাম তামিমা তাম্মি। পেশায় কেবিন ক্রু। কিন্তু বিয়ের সপ্তাহ পার না হতেই চরম বিতর্ক শুরু হয়েছে।

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নাসিরের স্ত্রীকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সকাল থেকে সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তামিমার আরেক স্বামী ও সন্তানের ছবি। রাকিব নামে ওই স্বামীর সঙ্গে তার বিয়ে হয় ১১ বছর আগে। সেই ঘরে কন্যা সন্তানের বয়স এখন নয় বছর।

নাসিরের সঙ্গে বিয়ের ভিডিও ও খবর ছড়িয়ে পড়ায় বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় এ জিডিটি করেন বলে নিশ্চিত করেন উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও (ওসি) শাহ মো. আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস।

জিডিতে রাকিব উল্লেখ করেন, তামিমার সঙ্গে এখনো তার ডিভোর্স হয়নি। ডিভোর্স ছাড়া স্ত্রী কীভাবে অন্যের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন সেই প্রশ্ন তার। এজন্য স্ত্রীর বিরুদ্ধে জিডি করেছেন তিনি।

পরে জিডির কপি ও তাদের বিয়ের কাবিননামাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। জিডিতে রাকিব অভিযোগ করেছেন, তার সঙ্গে সংসার করা অবস্থায় তামিমা গোপনে আরেকজনের কাছে চলে যায়। সেখানে ছয় মাস সংসারও করেন।

জিডি সূত্রে আরও জানা যায়, তামিমা ছয় মাস যে ছেলের সঙ্গে সংসার করেছেন ওই ছেলের নাম অলক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি অডিও ক্লিপে এই ছেলের বিষয়েই নাসির ও রাকিবের মধ্যে কথোপকথন হয়।

শনিবার রাকিব তামিমা ও তার সম্পর্কের নানা বিষয়ে কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, তামিমাকে তিনি দুইবার বিয়ে করেছেন। অর্থাৎ তামিমার জীবনে তিন স্বামী (নাসির হোসেন, অলোক ও রাকিব) এলেও বিয়ে করেছেন চারবার।

রাকিব বলেন, প্রেম করে বিয়ে করেছিলাম। সে আসলে আমাকে চাপ দিয়েই বিয়ে করেছিল। প্রথমে আমরা টাঙ্গাইলে কোর্ট ম্যারেজ করেছিলাম। পরে আমরা বিয়ে করি বরিশালে। আমার বউকেই দুইবার বিয়ে করেছি। এরপর সংসার শুরু করি।