মফিজুর রহমান বলেন, “পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া আমি ও আমার বাবা বিগত ৬০ বছর ধরে বাগানের আম খেয়ে আসছি। ঘটনার দিন আমি বাগানের গাছ কেটে ফেলার কথা জানতে পেয়ে দ্রুত বাগানে ছুটে এসে দেখি আমার বাগানের আম গাছগুলো কেটে ফেলছে। পরে আমি খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারলাম মৃত দোবির খাঁ ছেলে জামসেদ আলী (৪৫), জমসেদ আলী ছেলে মোবারক, মহসিন, মতিন, মোতালেব, মকলেছ, আজিত খাঁ ছেলে আসাদুল, আরিফুল,আসাদুলের স্ত্রী রিনা বেগম (৩৫), আরিফুলের স্ত্রী রিতা বেগম, মৃত ঘেতু খাঁ ছেলে আব্দুল খাঁ, আব্দুল খাঁ ছেলে আজবাহার (৩৪), রেজা (২৮),আব্দুল খাঁ স্ত্রী রহিমা বেগম এরা সবাই মিলে এক যোগে আমার বাগানের আমগাছ গুলো কেটে ফেলছে। কেন গাছ কাটা হচ্ছে জানতে চাইলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা এবং তাদের হতে থাকা দা, হাসুয়া, লাঠি, পাচা নিয়ে আমাকে তেড়ে আসে। এরপর বিবাদীগনের লোকজন লাঠি, লোহার রড, দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে আমাকে মারধর শুরু করে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।”
.
তিনি আরও বলেন, “এ বিষয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানায় আমি একটা অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগটি চলমান, যার তদন্তের দায়িত্বে আছেন, এসআই তারিক বিন খালিদ। আমি ঘটনার সাথে সাথে তাকে ফোন করে বলি, স্যার আমার আমের গাছ গুলো কেটে ফেলছে আপনি কিছু করেন। তিনি বলেন আমি ব্যস্ত আছি আমি দেখছি কি করা যায়।”
“অনেক বার তাকে ফোন করে যখন তার ওপর আমি আশা ভরসা না পেয়ে, আমি ওসি তদন্ত এস, এম সাদাদ স্যার এর কাছে গিয়ে এ বিষয়ে খুলে বলি, তিনি সঙ্গে সঙ্গে ফোর্স নিয়ে সরজমিন এসে ৬ জন আসামিকে আটক করে নিয়ে যায়।”
.
বাগান মালিক মফিজুর রহমানের পিতা হাবিবুর রহমন বলেন, “এলাকায় সবুজের ছায়া দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের এই স্বপ্ন ধ্বংস করে দিল। আমাদের কোনো শত্রু নাই। কারও সঙ্গে বিরোধ নাই। অবৈধ ভাবে আমার গাছ গুলো কেটে ফেলেছে ও জমি দখল করার পায়তারা করছে তারা। আমি আইনকে সন্মান করি তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আইন বিভাগের কাছে বিচার দাবি করছি।”
.
এ বিষয়ে বাগাতিপাড়ার মডেল থানার ওসি তদন্ত বলেন, “বাগানটি আমি পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। এরি মধ্যে ৬ জন কে আটক করা হয়েছে।”